সকল মেনু

ভাঙ্গায় স্কুলের জায়গা দখলের প্রতিবাদে ছাত্র শিক্ষকদের ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ

লিটু সিকদার, ফরিদপুর প্রতিনিধি, ২৩ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার স্বনাম ধন্য বিদ্যাপিঠ শরীফাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের জায়গা দখলের প্রতিবাদে গতকাল শনিবার সকালে স্কুলটির ছাত্র শিক্ষকগন ক্লাস বর্জন করেছে। ছাত্র শিক্ষকদের ক্লাস বর্জনকে সমর্থন দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকেরা মিলে বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেছে। জরুরী ভিত্তিতে স্কুলটির জায়গা দখলদার মুক্ত করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা। জায়গা পুনরুদ্বার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসুচী চলবে বলে জানিয়েছে ম্যানেজিং কমিটি।

জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতের কোন এক সময় আসাদুজ্জামান সাইনবোর্ড লাগিয়ে স্কুলটির একাংশ দখল নেয়। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সদস্য অনু লস্কর বলেন, ১৯৬২ সালে স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে ধীরেন্দ্র নাথ ভুইয়া সাড়ে তিন একর জমি দান করেন। কালের বির্বতনে স্কুলটি কলেজে রুপান্তরিত ও পাশেই বাজার স্থাপন হওয়ায় দেশের স্বনাম ধন্য প্রতিষ্ঠানে রুপ নেয়। স্কুলের জায়গা ও সংলগ্ন এলাকা হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবত্ব সম্পত্তি হওয়ায় এর উপর কুদৃষ্টি পড়ে কতিপয় কুচক্রি মহলের। তারা পেশি শক্তি ও কৌশল অবলম্বন করে ধীরে ধীরে স্কুলটির আশপাশের জায়গা দখল করে নেয়। গতকাল শনিবার সকালে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা সাইনবোর্ড দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। স্কুলটির প্রধান শিক্ষক মোঃ শাখাওয়াৎ হোসেন জানায়, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় এগারো’শ ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করে। তাদের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে  জরুরী ভিত্তিতে স্কুলটি দখল মুক্ত না করা হলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি আরো বলেন, সতীষ চন্দ্র ভৌমিক পাঠাগারটিও আসাদুজ্জামান দীর্ঘদিন যাবৎ দখল করে বসবাস করছেন। এলাকার সাবেক মেম্বার ছরোয়ার খান জানায়, পেশি শক্তি দেখিয়ে আসাদুজ্জামান শুধু স্কুলই দখলের চেষ্টা করেনি সে হিন্দুদের শত বছরের দেবত্ব সম্পত্তি ও পুজার মন্দির দখল করে নিয়েছে। তার ভয়ে এলাকার অনেকেই কথা বলেনা, কৌশলবাজ লোক হওয়ায় সব জায়গা সে ম্যানেজ করে চলে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী মোঃ আসাদুজ্জামান কবির বলেন, ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের কথা শুনেছি, জায়গাটি নিয়ে হাই-কোর্টে মামলা থাকায় আমরা নিরুপায় হয়ে গেছি। তারপরেও শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিব।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আসাদুজ্জামান বলেন, আমি আইনকে সম্মান দেখিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার সাথে আলোচনা না করে অহেতুক আন্দোলন করছে। আমি হাই কোর্টের রায় পেয়েছি তার ভিত্তিতেই আমি সাইনবোর্ড লাগিয়েছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top