সকল মেনু

বোয়ালমারীতে চেক জালিয়াতির ঘটনায় আটক-১

 লিটু সিকদার, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ  ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার এম এইচ গোল্ডেন জুটমিলস লিঃ এর  পরিচালকের স্বাক্ষর জাল করে অর্থ আতœসাত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়,থানাধীন চুতুল গ্রামের ফারুখ ঠাকুরের ছেলে বিলাশ ঠাকুর ১৩ মার্চ জুট মিলের পরিচালক মোজাফর হোসেন চুন্নুর অফিস থেকে তার একটি চেক  (নং ৭০৪৮৮৫৯) চুরি করে নিয়ে পরিচালকের স্বাক্ষর জাল করে এক লক্ষ টাকার অংক বসিয়ে চেকটি ১৭ মার্চ সোমবার সকালে স্থানীয় সোনালী ব্যাংকে জমা দেয়। এ সময় চেকের স্বাক্ষর জাল বলে সংশি¬ষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার সন্দেহ হলে তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি পরিচালক মোজাফর হোসেন চুন্নুকে অবহিত করলে তিনি ব্যাংকে কোন চেক পাঠাননি বলে জানালে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা  পড়ে। এ ঘটনায় পরিচালক মোজাফর হোসেন চুন্নু থানায় সোমবার একটি অভিযোগ দায়ের  করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই পুলিশ বিলাশ ঠাকুরকে আটক করে। পরে মঙ্গবার সকালে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।এ ব্যাপারে ১৮ মার্চ বিকালে বোয়ালমারী থানা ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চেক জালিয়তির ঘটনায় সকালে বিলাশ ঠাকুরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে  এম এইচ গোল্ডেন জুট মিলের পরিচালক (প্রশাসন) এর ব্যক্তিগত একাউন্ট থেকে ব্যক্তিগত সহকারী কতৃক চেক জালিয়াতির মাধ্যমে কয়েক লক্ষ টাকা আতœসাৎ করার ঘটনায় মামলা করে বিপাকে পড়েছে পরিচালক প্রশাসন । এ ব্যাপারে জুট মিলের পরিচালক  মোজাফার হোসেন চুন্নু গতকাল বিকেলে স্থানীয় প্রেসক্লাবে বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মামলা করার প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন আমার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে উপজেলার চতুল গ্রামের বিলাশ ঠাকুর গত ৬ মাস যাবৎ চাকুরী করে আসছে। ১৩ মার্চ বিলাশ ঠাকুর সোনালী ব্যাংকের ১ লক্ষ টাকার একটি চেক (৭০৪৮৮৫৯) নিয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক কতৃপক্ষের চেকের স্বাক্ষর জাল সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি আমাকে অবহিত করে।
এ বিষয়ে মিল কতৃপক্ষ বিলাশ ঠাকুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে আমার একাউন্টের চেক বইয়ের পাতা ছিড়ে  জাল  স্বাক্ষর করে টাকা উত্তোলন করতে যাওয়ার কথা  স্বীকার করে। প্রথমে  আমি তার পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করি তারা কোন সমাধান না দেয়ায় বাধ্য হয়ে আমি বাদী হয়ে ১৭.০৩.১৪ তারিখে বোয়ালমারী থানায় মামলা দাযের করি। বোয়ালমারী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ফরিদপুর জেল হাজতে প্রেরণ করে। এদিকে এই ঘটনা মিথ্যা দাবী করে বিলাশ ঠাকুরের পরিবার মিথ্যা চাঁদা বাজি মামলা করার পায়তারা করছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে বিলাশ ঠাকুরের পরিবার বলেন, মোজাফার হোসেন চুন্নু তার মিলে আটকিয়ে রেখে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে স্বীকারুক্তী দিতে বাধ্য করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top