সকল মেনু

মালয়েশিয়ার বিমানের খোঁজে বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান অব্যাহত

ঢাকা, ১৯ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানের খোঁজে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ কাজে নৌবাহিনীর দুটি ফ্রিগেট ও দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট (এমপিএ) সার্বক্ষণিক অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।

এবিষয়ে গণমাধ্যমকে অবহিত করতে বুধবার দুপুরে রাজধানীর নৌবাহিনীর সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত মঙ্গলবার থেকে বিএনএস ওমর ফারুকের পরিবর্তে নৌবাহিনীর সর্ববৃহৎ ও আধুনিক যুদ্ধজাহাজ সমুদ্রজয় অনুসন্ধানে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নৌবাহিনীর এ অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

অনুসন্ধান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নৌবাহিনী বঙ্গোপসাগরের নিজস্ব এলাকাকে ৮টি ভাগে বিভক্ত করে নিখোঁজ বিমানের সম্ভাব্য গতিপথ বিবেচনায় দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল দিক থেকে অনুসন্ধান কাজ শুরু করে। প্রথম ও দ্বিতীয় দিনে জাহাজ এবং এমপিএ ২৬ হাজার ৬৮১ বর্গ কি.মি. এলাকায় অনুসন্ধান চালায়। পরবর্তী তৃতীয় এবং চতুর্থ দিনে একইভাবে সর্বমোট ৩১ হাজার ৯৩০ বর্গ কি.মি. এবং পঞ্চম দিনে ২৮ হাজার ৪৪৮ বর্গ কি.মি. এলাকা অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে। বঙ্গোপসাগরে এ পর্যন্ত ৮৭ হাজার ৫৯ বর্গ কি.মি. এলাকা অনুসন্ধান সম্পন্ন হয়েছে।

বর্তমানে সমুদ্র এলাকার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় নিরবিচ্ছিন্ন ও সুষ্ঠুভাবে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরপরই গত ১৪ মার্চ মধ্যরাত হতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফ্রিগেট ওমর ফারুক অনুসন্ধান শুরু করে। পরদিন থেকে নৌবাহিনী জাহাজ বঙ্গবন্ধু এবং দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট এ কাজে যোগ দেয়। বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় নৌবাহিনীর দুটি ফ্রিগেট এবং দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট এর সমন্বয়ে অনুসন্ধান কাজ পরিচালিত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন- নৌ অপারেশন্স পরিদপ্তরের পরিচালক কমডোর সৈয়দ মকছুমুল হাকিম। এর আগে স্বাগত বক্তব্য দেন, নৌ গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক কমডোর এম রাশেদ আলী।

আরো উপস্থিত ছিলেন- সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশান্স) রিয়ার এডমিরাল এ এম এম এম আওরঙ্গজেব চৌধুরী ও অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স এর যাত্রীবাহী এমএইচ-৩৭০ (বোয়িং ৭৭৭) বিমানটি  ২২৭ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রুসহ স্থানীয় সময় রাত ১২ টা ৪০ এ বেইজিং এর উদ্দেশ্যে কুয়ালালামপুর থেকে যাত্রা শুরু করে। রাত ১টায় বিমানটির সাথে শেষ যোগাযোগের পর বিমানটি আনুমানিক রাত ২টা ৪০ হতে নিখোঁজ হয়ে যায়। বিমানটির সব ট্রান্সপন্ডার এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এর পরবর্তী গতিপথ এবং অবস্থান সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভবপর হয়নি বলে জানা যায়। তবে সমপ্রতি একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিমানটি তার পরিকল্পিত গতিপথ থেকে সরে গিয়ে পশ্চিম দিকে অথবা দক্ষিণ বা দক্ষিণ পশ্চিমে দিক পরিবর্তন করেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে উত্তর পশ্চিমের গতিপথ বঙ্গোপসাগর এর উপর দিয়েও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top