সকল মেনু

খন্দকার মোশাররফ গ্রেফতার

 নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা, ১৩ মার্চ :  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী  ড. খন্দকার  মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জিত সাড়ে নয় কোটি টাকা যুক্তরাজ্যে পাচারের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বুধবার রাত ১০টা ২৫ মিনিটে গুলশানে তার নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের সহায়তায় দুদক উপপরিচালক আহসান আলী তাকে গ্রেফতার করেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি হটনিউজ২৪বিডি.কমকে নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতার করার পর খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে গুলশান থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার।

এদিকে গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর হটনিউজ২৪বিডি.কমকে জানান, খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে রমনা থানায় স্থানান্তর করার প্রস্তুতি চলছে। সেখানেই থানা হাজতে থাকবেন তিনি।

খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে গোয়েন্দা হেফাজতে রাখা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তাফিজুর রহমান জানান, যেহেতু এটি গোয়েন্দা-সংশ্লিষ্ট কোনো মামলা নয় সেহেতু তাকে থানা হাজতেই রাখা হবে।

অন্যদিকে রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মশিউর রহমান জানান, খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে আনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া তাকে কোথায় রাখা হবে।

তবে গোয়েন্দা কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, শেষ পর্যন্ত খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হবে। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার তাকে আদলতে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, ৬ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়ার বাদি হয়ে রমনা মডেল থানায় খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের ওই মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মন্ত্রী থাকার সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও মানিলন্ডারিং-এর মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা গোপন করে দেশে বিদ্যমান আইনের লঙ্ঘন করেছেন।

তিনি ও তার স্ত্রী মিসেস বিলকিস আক্তার হোসেনের যৌথনামে যুক্তরাজ্যের খওড়ুফং ঞঝই ঙভভংযড়ৎব চৎরাধঃব ইধহশ -এ আট লাখ চার হাজার ১৪২ দশমিক ৪৩ বিট্রিশ পাউন্ড (হিসাব নং- ১০৮৪৯২) জমা করেন,  যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮১ টাকা হয়।

তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই টাকা যুক্তরাজ্যে পাচার করেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণ পাওয়া যায়।

এর পর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০০২-এর ১৩ ধারা, ২০০৯-এর ৪ ধারা এবং ২০১২-এর ৪ ধারায় খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। তবে অর্থপাচারের সঙ্গে তার স্ত্রীর কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া না যাওয়ায় তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top