সকল মেনু

দুঃস্বপ্ন হতে পারে একটি মারাত্মক রোগের লক্ষণ!

 নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা, ১১ মার্চ : স্বপ্ন দেখা একটি সাধারণ ব্যাপার। আমাদের অবচেতন মনে ঘুমন্ত অবস্থায় আমরা যে কাল্পনিক ঘটনা গুলো অনুভব করি সেগুলোকেই আমরা স্বপ্ন বলি। এছাড়া মাঝে মাঝে আমরা বাস্তব জীবনের ছোটোখাটো ঘটনাও স্বপ্নে দেখে থাকি। আমাদের জীবনের নানা ধরণের ঘটনা আমাদের কাছে স্বপ্ন হয়ে আসে।

স্বপ্ন সম্পর্কে আমাদের একটি বেশ ভালো অনুভূতি রয়েছে। কিন্তু দুঃস্বপ্ন আমাদের কাছে অনেক দুর্বিষহ ব্যাপার। স্বপ্ন দেখতে অনেকেই পছন্দ করেন কিন্তু কেউই দুঃস্বপ্ন দেখতে চান না। কিন্তু চাইলেই তো আর স্বপ্ন দেখা যায় না। অনেক কিছু আছে যা আমাদের স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রন করে। যেমন, শব্দ, গন্ধ, ভয়, মানসিক অবস্থা, ঘুমের অবস্থান, অতীত স্মৃতি ইত্যাদি। দুঃস্বপ্ন মানুষ দেখে ভয় এবং মানসিক অবস্থা থেকে। সাইকোলজিস্টদের মতে মারাত্মক বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষজন দুঃস্বপ্ন দেখার সমস্যাতেও পড়েন। সাধারণ ভয় থেকে অনেকে দুঃস্বপ্ন দেখে থাকতে পারেন। বিশেষ করে বাচ্চা বা কিশোর বয়সীরা। কিন্তু একজন তরুণ বা বয়স্ক মানুষের বারবার এবং প্রায় রাতে দুঃস্বপ্ন দেখা মারাত্মক বিষণ্ণতা রোগের লক্ষণ হিসেবে ধরেন তারা।

কারণ একজন কিশোর বয়সী বা তরুণ বয়সী মানুষ যে ধরণের স্বপ্ন দেখেন সে ধরণের স্বপ্ন একজন বয়স্ক মানুষ দেখেন না। এর কারণ হলো একেকজনের বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানের পরিধি।

প্রায় রাতে দুঃস্বপ্ন দেখাকে সাইকোলজিস্টদের মতে ‘পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার’ বলা হয়। তাই দুঃস্বপ্নকে হালকা দৃষ্টিতে দেখার কোনো কারন নেই। ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন দেখা শুরু করলে যত দ্রুত সম্ভব ভালো একজন সাইকোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।

দুঃস্বপ্ন থেকে দূরে থাকার কিছু টিপসঃ

  • – আপনার মনের কথা কাউকে বিশ্বস্ত বলে ফেলুন। মনের ভয় দূর করুন।
  • – দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে গেলে আপনি যা স্বপ্নে দেখছেন তা লেখার চেষ্টা করুন। এটিকে মজার কিছু হিসেবে দেখার চেষ্টা করুন।
  • – নিয়মিত একই সময়ে ঘুমানোর এবং ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করুন।
  • – নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন সারাদিন। বিষণ্ণ হওয়ার সুযোগ দেবেন না নিজেকে।
  • – রাতের বেলা কোন ভয়ের মুভি দেখা থেকে বিরত থাকুন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top