সকল মেনু

নারীর চেয়েও আকর্ষণীয় যে পশু!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ৩ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : সংযুক্ত আরব আমিরাতের লিওয়া গ্রামে এক ব্যতিক্রমী সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ছুটে এসেছে হাজার হাজার মানুষ। তাদের কেউ এসেছে অনুষ্ঠান উপভোগ করতে, আবার কেউবা এসেছে অংশ নিতে। তবে এটি কোনো গতানুগতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতা নয়। এখানকার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় যারা অংশ নিচ্ছেন তারা মানবী নয়, চতুষ্পদ জন্তু উট। তবে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী উটমালিকরা মনে করে থাকেন, তাদের উটগুলো তাদের সুন্দরী স্ত্রী এমনকি অন্য যে কোনো নারীদের চেয়েও বেশি রমনীয় এবং আকর্ষণীয়। এসব উটের দামও তাই অনেক বেশি। বিজয়ী উটগুলোর প্রতিটির দাম ২০ লাখ ডলার।
তাই বলে ভাববেন না যেনতেনভাবে তাদের এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। এসব পশুর জন্য  নিয়মিত সৌন্দর্য চর্চার ব্যবস্থা  রয়েছে। অনেক সময় তাদের বিভিন্ন বিউটি ট্রিটমেন্ট করানো হয়ে থাকে।  কারো ঠোঁটে দেয়া হয়েছে আলগা ফিলার। করো চোখে আবার বসানো হয়েছে কৃত্রিম পাঁপড়ি ।এছাড়া প্রতিযোগিতার জন্য নিয়ে আসা এসব পশুকে সাজানো হয়েছে মূল্যবান অলঙ্কার দিয়ে। সব মিলিয়ে এদের পেছনে বেশ মোটা অংকের অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়।
 দু’হাজার সালে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দূর দূরান্ত থেকে উটের মালিকরা ছুটে আসেন। মরুভূমির ওপর দিয়ে ছুটে আসতে অনেকের কয়েক মাস লেগে যায়। ভিআইপি দর্শকরা অবশ্য হেলিকপ্টারে করে আসেন।
এখানকার অন্যতম উট মালিক হলেন চার্লেত দুবোক। তার স্বাস্থ্যবান উটের সংখ্যা ৫০। গত কয়েক বছর ধরে তার উটটি সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, ‘অন্যদের যেখানে বড়জোর ২০-৩০টি উট রয়েছে সেখানে আমার উটের সংখ্যা হচ্ছে ৫০টির বেশি। ভালো উট কিনতে আমি ২ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ব্যয় করেছি।’ তার সবচেয়ে দামি উটের মূল্য ১৮ লাখ ডলার। ওয়াহিদা নামের এ উটটি তার সবচেয়ে প্রিয়। তিনি বলেন, ‘ওর গায়ের রং খুব সুন্দর। ওর ফিগারও খুব আকর্ষণীয়। তাই প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই ও সেরা হয়ে আসছে।’
এখানে শুধু উটদের দৈহিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতাই নয়, তাদের দুধ দোয়ানোর প্রতিযোগিতাও হয়ে থাকে। এখানে দশ বছরের কম বয়সী শিশুরা যারা তাদের বাচ্চা উটগুলোকে নিয়ে আসে তাদেরকেও পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে তাদের দেয়া হয় একটি নিশান পিকআক ট্রাক। যদিও এটি চালানোর উপযুক্ত হতে তাদের বেশ কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয়।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আসা এক উট মালিক তার পশুটিকে নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ওরা যে কোনো সুন্দরী নারীর চেয়েও আকর্ষণীয়। এমনকি ওরা ঘোড়ার চেয়েও দেখতে ভালো। বিশেষ করে ওদের পশমের সঙ্গে তো অন্য কোনো পশুর তুলনাই চলে না।’
অন্য একজনের উত্তেজনা আবার অন্যদের চেয়েও বেশি। তার ভাষায়, ‘ওরা দেখতে দারুন সেক্সি, তাই না?’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top