সকল মেনু

আসিয়ানের অর্থনৈতিক একত্রিকরণ সুবিধা চায় বাংলাদেশ

ঢাকা, ৩ মার্চ (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : আসিয়ানের অর্থনৈতিক একত্রীকরণের সুবিধা পেতে চায় বাংলাদেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদলে আঞ্চলিকভাবে অর্থনৈতিক একত্রীকরণের দিকে যাচ্ছে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলো। ২০১৫ সালের মধ্যেই এই দেশগুলো অর্থনৈতিক একত্রীকরণ চায়।

এর ফলে আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পণ্য পরিবহন, জনশক্তির আদান-প্রদান, মুক্তসেবার দুয়ার খুলে যাবে। পাশাপাশি শুল্ক ও অশুল্ক বাধাসহ কোনো ধরনের বাধা থাকবে না। বাংলাদেশও আসিয়ানভুক্ত দেশের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার মাধ্যমে এ একত্রীকরণ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। এই সুবিধা পেতে এরই মধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ। এ উদ্যোগ সফল করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে।

এরই অংশ হিসেবে ফিলিপাইনের সঙ্গে সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের মধ্যে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারের একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে। আগামী ৭ মার্চ এ চুক্তি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের আদলে আসিয়ান দেশগুলো অর্থনৈতিকভাবে একত্রীকরণ সম্ভব হলে এদের মধ্যকার বাণিজ্যে সব ধরনের শুল্ক ও অশুল্ক বাধা উঠে যাবে।

জনশক্তি ও সেবাখাতের প্রসারে সকল ধরনের বাধাও উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ সুযোগে আশিয়ানভুক্ত যে কোনো একটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার মাধ্যমে বাকি দেশগুলোতে বাণিজ্য বৃদ্ধি সম্ভব হবে। ফলে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আগে থেকেই সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে উদ্যোগী বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আরো শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরিতে করতে কাজ করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আশিয়ানভুক্ত বেশ কিছু দেশের সঙ্গে সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারের চুক্তি বাংলাদেশের সঙ্গে রয়েছে। বাকি দেশগুলোর সঙ্গেও বিষয়টি বর্তমানে আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। কূটনৈতিক ভাবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাজ করা হচ্ছে।

চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ফিলিপাইনের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে। এ প্রতিনিধি দলটি সফরকালে ৭ মার্চ বাংলাদেশের সঙ্গে ফিলিপাইনের ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারের একটি চুক্তি সই হবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের সরকারি ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকারের সুযোগ পাবে। আর একই ধরনের চুক্তি মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গেও করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, অনেক ক্ষেত্রে আশিয়ান বাজারে ব্যবসা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। কারণ, আশিয়ানের অনেক দেশই বাংলাদেশের মত একই ধরনের পন্য উৎপাদন করে।

তৈরি পোশাক শিল্প, ফার্মাসিটিক্যালস, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সক্ষমতা বাংলাদেশের মতই। তাই এসব পণ্য এ অঞ্চলে আশিয়ান দেশগুলোর বাজারে খুব প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।

এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের আসিয়ান দেশে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য অন্য উপায় খুঁজে বের করতে হবে। বিকল্প পণ্যের সাহায্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য সহযোগিতার জন্য অন্যান্য ক্ষেত্রগুলোকে খতিয়ে দেখতে হবে। এ বাজারে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সম্ভাবনাকে খতিয়ে দেখা যেতে পারে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন কূটনীতিকরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top