সকল মেনু

আঁতুরঘরেই অস্তিত্ব হারাচ্ছে বিএনপি

রাজনীতি নিয়ে যারা কম বেশি ভাবেন তাদের কাছে প্রশ্নটি অপ্রাসঙ্গিক মনে হবে না হয়তো। কিন্তু যারা কিছুদিন আগেও নাস্তিক্যবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা হিসেবে আওয়ামী লীগকে ধোলাই করার পরিকল্পনা করেছিলেন তারা একটু নড়েচড়েই বসবেন। কারণ এই মুহূর্তে বিএনপিকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে যারা রাজনীতির মাঠ আঁকড়ে আছেন তাদের ঔদ্ধত্য খোদ বিএনপির জন্য উদ্বেগজনকই বটে।

এরপরেও ‘শেষকথাহীন’ রাজনীতির গতিগন্তব্য উপলব্ধি করার চেষ্টা থেমে নেই। যুগের দাবিতে যে কোনো রাজনৈতিক দলই কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে। আপাতদৃষ্টিতে তা অনেকের জন্য বিভ্রান্তিকরও মনে হতে পারে।

তবে বাংলাদেশের রাজনীতির মঞ্চে গৌরবজ্জ্বল আসনটি অলঙ্কৃত করে রাখা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলটি (বিএনপি) একেবারেই অস্তিত্ব হারাতে বসেছে- এমন প্রশ্ন তোলা কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়ানোর মতই?

স্বাধীনতার পর গত চার দশকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা-দুর্ঘটনা। গণতান্ত্রিক ধারা বার বার আটকে গেছে অন্ধকার গলিপথে। রক্তাক্ত হয়েছে পথ। তবুও এগিয়ে গেছে দেশ। অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। পরিবর্তন এসেছে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতায় যে রক্ত ঝরেছে তা বিগত সময়ের সব স্মৃতিকে ম্লান করে দিয়েছে। দেশের রাজনীতির ললাটে ভয়াবহ সহিংসতার স্মৃতি এঁকে দিয়েছে ২০১৩ সাল। মুক্তিযুদ্ধের পর এত রক্তপাত আর হয়নি। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সংঘাত-সহিংসতা থামাতে রাজনৈতিক দলগুলোর নিষ্ক্রিয় ভূমিকা মানুষকে ক্ষুব্ধ ও শঙ্কিত করেছে।

প্রশ্ন উঠেছে প্রাণসংহারক এ সহিংসতা থেকে রাজনৈতিক দলের অর্জন কী? ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি (ওয়ান ইলেভেন) গভীর রাজনৈতিক সঙ্কট ঘনীভূত হওয়ার পর দেশে গণতান্ত্রিক যাত্রা ব্যাহত হয়েছে। নতুন হিসাব নিকাশের মুখে পড়তে হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোকে।

সেই সঙ্কট পেরিয়ে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় নতুন করে গণতান্ত্রিক পথ চলা। নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে সবচেয়ে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। আর ভুলপথে হাঁটার কারণে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়ে খেসারত দিতে হয়েছে বিএনপিকে।

জন্ম থেকেই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। একাত্তরের ভয়াবহ স্মৃতির প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ সাক্ষী হিসেবে এদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি একধরনের ক্ষমাহীন বোধই কাজ করে আসছে। স্বাধীনতার চেতনাকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে রাজনীতিতে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হিসেবে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতিটি জোরেসোরেই এসেছে। আর এ প্রতিশ্রুতি বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের কার্যকরভাবেই টাতে পেরেছে আওয়ামী লীগ। সরকারের বসার বছরখানেক পরই শুরু হয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া। রাজনৈতিক কৌশলগত কারণেই হোক কিংবা অনিবার্য কারণেই হোক সরকারের শেষ সময়েই শুরু হয় মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় দেয়া।

বিরোধীদল হিসেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও এসব রায় নিয়ে নীরবতা অবলম্বন করে বিএনপি। তবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক প্রধানতম জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা যথার্থ কারণেই প্রশ্নবিদ্ধ। একাত্তরে যুদ্ধাপরাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িতরাই আজ এ দলটির নীতিনির্ধারক ও নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করছে। সে কারণেই নীতিগতভাবে যুদ্ধাপরাধী বা মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের পক্ষেই দলটি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অব্স্থান স্পষ্ট।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দৃঢ় অবস্থান আর বিরোধীদলের প্রধান শরিকের সে প্রতিশ্রুতির তীব্র ও মরণপণ বিরোধিতার মধ্য দিয়ে স্পষ্টত নাজুক অবস্থার মুখেই পড়তে হয়েছে বিএনপিকে। আর এ পরিস্থিতি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে দৃশ্যত কোনো সর্বজনগ্রাহ্য পন্থা বের করতে পারেনি দলটি। তাই যুদ্ধাপরাধীর বিচার ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান অস্পষ্টই থেকে গেছে।

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা আর কার্যকর করার ঘটনায় ২০১৩ সালজুড়েই দেশ ছিল সহিংসতায় উত্তাল। তবে উত্তাল এ সময়েই বিরোধীদলের তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা সরকার পতনের আন্দোলনের ছকটি এলোমেলো হয়ে যায়।

মূলত, গেল বছরের পুরোটা জুড়েই রাজপথের আন্দোলনে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল জামায়াতে ইসলামী আর এর সহযোগী ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের। যুদ্ধাপরাধীদের ইস্যুটিকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের বিষয়ে পরিণত করতে রাজপথে নামে তারা। বিপরীত দিকে দলীয় কোন্দল আর সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে বেহাল সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে টালমাটাল বিএনপিতে দেখা দেয় হতাশা। জামায়াত-শিবির যখন ১৮ দলের নামে একাই রাজপথ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তখন বিএনপির নেতারা গা এলিয়ে আয়েশ করেছেন।

২০১৩ সালের পুরোটা জুড়ে তীব্র আন্দোলনে দেশ কেঁপে উঠলেও এ আন্দোলনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল ধূম্রজাল। তৃণমূলের অনেকেই বুঝতে পারেনি দেশকাঁপানো এ আন্দোলন কি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি, নাকি সরকার পতন, নাকি যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য। আন্দোলনের মাঠে অকাতরে রক্ত দেয়া জামায়াত-শিবির এটাকে তাদের শীর্ষ নেতাদের পক্ষে শক্তি প্রদর্শন কিংবা সাংগঠনিক শক্তিকে জানান দেয়া হিসেবে দেখতে পারে। আর বিএনপি এ শক্তিকে নিজেদের পক্ষে কাজে লাগানোর স্বপ্ন দেখেছে।

যুদ্ধাপরাধীর রায়কে কেন্দ্র করে দেশে হঠাৎ করেই জাতীয় নতুন এক চেতনার উন্মেষ হয় শাহবাগে। গণজাগরণ মঞ্চের সেই উত্থানকে বিএনপির তরুণ প্রজন্মের বড় একটি অংশ সমর্থন দিয়ে গলা মেলালেও পরে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। এনিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয় দলের ভেতরেই। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভূমিকায় দলের মৌলিক অবস্থান নিয়েই দেখা দেয় প্রশ্ন। জামায়াত-বিএনপির বিভ্রান্তিকর এ আগুনে ঘি ঢালে অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম।

দেশজুড়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় গেল বছরে দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। সচেতন মানুষ প্রাণসংহারি এ সহিংসতার জন্য একমাত্র জামায়াত-শিবিরের দিকেই আঙ্গুল তুলেছে। আগেই বলেছি এক্ষেত্রে ত্রাণকর্তা হিসেবে দেখা যায়নি কোনো দলকে।

এ পরিস্থিতির মুখেই গেল বছরের ১৫ জুনে চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পায় বিএনপি প্রার্থীরা। এতে দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ে সীমাহীন। এ আত্মবিশ্বাস থেকেই তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুকে সামনে রেখে তারা মূলত নেমে পড়ে সরকার পতন আন্দোলনে। সমঝোতা আর সংলাপের পথ পরিহার করে জোর করে সরকারকে ছুড়ে ফেলার পরিকল্পনা করে দলের ভেতরের কিছু অতিউৎসাহীরা। আর তাতেই পাল্টে যায় সব হিসাব নিকাশ।

এসব ঘটনা থেকে কখনও বলা যাবে না বিএনপি তার অস্তিত্ব হারিয়েছে। বরং বলা যায় দলটি তার পথ আর মৌল নীতি থেকে সরে গেছে। এ কারণেই প্রধান বিরোধী এ দলকে নির্বাচনের বাইরে রেখেই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব হয়েছে। সম্ভব হয়েছে বিতর্কিত সরকার গঠনও।

বিতর্কিত নতুন এ সরকারের প্রথম উপহার উপজেলা নির্বাচন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন ভুল ছিল উপলব্ধি করে অনেকটা তৃণমূলের চাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দলটি। সিটি নির্বাচনের ধারাবাহিকতা উপজেলা নির্বাচনেও দেখতে চেয়েছে তারা। বিপুল জয়ের প্রত্যাশাও ছিল। কিন্তু প্রথম দফায় শতাধিক উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলে সে প্রত্যাশা অনেকটা ম্লান হয়েছে। অনেক উপজেলায় বিদ্রোহী ভারাক্রান্ত আওয়ামী লীগের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হতে হয়েছে বিএনপিকে। যেখানে বিশাল ব্যবধান হওয়ার কথা সেখানে বিএনপিকে জিততে করতে হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখা গেছে দ্বিতীয় দফায় ১১৪টি উপজেলায়। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই জিততে হয়েছে বিএনপি প্রার্থীকে। সিটি নির্বাচনের পর তৃণমূলে যে আস্থা তৈরি হয়েছিল উপজেলা নির্বাচনে তা মিইয়ে গেছে ততটাই। যদিও ভোটগ্রহণে সরকারদলীয় সমর্থকদের প্রভাব আর নাশকতাকে এর কারণ হিসেবে তুলে ধরেছে দলটি।

তবে সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়েছে জামায়াত। দেশজুড়ে সহিংসতার আগুন জ্বালিয়েও উপজেলা নির্বাচনে নিজস্ব অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে সংগঠনটি। প্রথম দফায় ১২টি আর দ্বিতীয় দফায় ৮টি উপজেলায় জামায়াত প্রার্থীর বিজয়কে বিএনপির পরাজয় হিসেবেই দেখছেন অনেকে।

সবচেয়ে বড় ঘটনাটা ঘটেছে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়ায়। বিএনপির একচ্ছত্র ঘাঁটি আর দুর্গ হিসেবে চিহ্নিত (তারেক রহমানের রাজনীতির মডেল জেলা) এ জেলায় ভরাডুবি হয়েছে দলীয় প্রার্থীদের। গেল বছরে আন্দোলনে বগুড়ার রাজপথে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের কোনো নেতার শক্ত অবস্থান চোখে পড়েনি। পক্ষান্তরে জামায়াত-শিবির পুরো জেলাতেই তীব্র আন্দোলনে ভীতসন্ত্রস্ত করে তোলে মানুষকে।

২০১৩ সাল জুড়ে বগুড়ায় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোটের আন্দোলন সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে জামায়াত-শিবিরের ১৯ নেতাকর্মী। অর্ধশতাধিক মামলায় আসামি হয়েছে এ সংগঠনের পৌনে দুই লাখ নেতাকর্মী। জামায়াতের জেলা আমির পর পর দু’বার গ্রেপ্তার হয়েছেন।

পক্ষান্তরে বিএনপির জেলা নেতারা গায়ে বাতাস লাগিয়ে ফুরফুরে মেজাজে ঘুরেছেন। আর তারই ফল স্বরূপ, ১০টির মধ্যে ৬টি উপজেলাতেই বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছে জামায়াতের প্রার্থী। যেখানে ২০০৮ সালের নির্বাচনের ১২টি উপজেলার মধ্যে বিএনপি ৪টি, জামায়াত ৩টি এবং আওয়ামী লীগ ৫টিতে চেয়ারম্যান পায়।

বগুড়ায় বিএনপি প্রার্থীদের ভরাডুবির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে জামায়াত সমর্থক সাংবাদিক মোস্তফা মোঘল বলেন, ‘সরকারবিরোধী আন্দোলনে বগুড়া বিএনপি ভূমিকায় চরম হতাশ নেতাকর্মীরা। অ্যান্টি আওয়ামী লীগের লোকজন আর ভরসা করতে পারছে না বিএনপির ওপর। তারা সরকারবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতকেই পারফেক্ট মনে করছে।’

জামায়াতের দলীয় সূত্রমতে, সাম্প্রতিক সরকারবিরোধী আন্দোলনের পর থেকে বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ বিরোধীরা। তারা বিএনপির জায়গায় জামায়াতের ভূমিকাকেই সঠিক মনে করছে। এছাড়া কেউ কেউ দলের দুর্বল সাংগঠনিক পরিস্থিতিকেও বগুড়ায় জামায়াতের উত্থানের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করছেন।

বিএনপি তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য জামায়াতকে বারবার ব্যবহার করে আসছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নেতারা। আগামীতে জামায়াত জোটবদ্ধভাবেই রাজনীতির মাঠে থাকবে। তবে ব্যবহার হতে নয়, বরং অন্য দলকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে। এমন বক্তব্য জামায়াত নেতাদের।

বগুড়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা আলমগীর হুসাইন বাংলামেইলকে বলেন, ‘কোনো আন্দোলনের জন্য বিএনপির ওপর আর ভরসা করা যাবে না। আগামীতে জামায়াত জোটবদ্ধভাবেই এগিয়ে যাবে, তবে কারো নির্দেশের অপেক্ষায় নয়, নিজেদের ছকেই সামনে এগিয়ে যাবে।’

জামায়াতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন চাঁন জানালেন, বিএনপি সহযোগিতা না করলে জামায়াতের পক্ষে রাজপথে আন্দোলন করা সম্ভব ছিল না। তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরে বললেন, জামায়াতকে বেশি ছাড় দেয়া ভুল হয়ে গেছে।

শুধু বগুড়ায় নয়, পুরো দেশেই জামায়াত-বিএনপির জোটে বিশ্বাস-অবিশ্বাসে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। বিএনপিকে উপরে ওঠার সিঁড়ি হিসেবেই দেখতে চাইছে জামায়াত। বিগত সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে সংগঠনটির বিতর্কিত শক্তি প্রদর্শনের পর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। বড় আস্থার জায়গা আরো শক্তিশালী হয়েছে। আগামীতে যে কোনো ইস্যুতে জোটের কাছে দাবি আদায়ে যা বড় নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলেই তাদের বিশ্বাস। আর এমন পরিস্থিতিতে গৌরবময় অস্তিত্ব হারিয়ে বিএনপির জিম্মি হয়ে পড়াটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top