সকল মেনু

রক্তাক্ত তরুণী, ছবিতে উত্তাল ইন্টারনেট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ২২ ফেব্রুয়ারি : গলার স্কার্ফটা রক্তে ভেজা। রক্তের ছিটে সাদা জামাটাতেও। হাত দিয়ে কোনও মতে গলার কাছটা চেপে ধরেছেন তরুণী। আঙুল দিয়ে চুঁইয়ে গড়াচ্ছে রক্ত।

একুশের যুবতীই এখন ইউক্রেনের বিদ্রোহী-মুখ। মুহূর্তের মধ্যে তাঁর ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। সেই সঙ্গে শেয়ার আর কমেন্টের বন্যা।

ইউক্রেনে সেদিন ইন্ডিপেনডেন্স স্কোয়ারে পুলিশি-সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ৭০ জন বিক্ষোভকারী। রবার-বুলেটের বদলে সেনা যুদ্ধাস্ত্র তুলে নিতেই পরিস্থিতি গড়ায় খারাপের দিকে।

বিদ্রোহীদের অভিযোগ, পেশাদার বন্দুকবাজ দিয়ে দেশের মানুষকে খুন করিয়েছে সরকার। দিনের শেষে তাই কিয়েভের রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় মৃতদেহের সারি। আহত আরও হাজার খানেক।

সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে ছড়িয়েছে ইউক্রেনের এই ছবি। বহুতলগুলোর ছাদ থেকে সরকারের নিযুক্ত পেশাদার বন্দুকবাজরা নিশানা করেছিল বিক্ষোভকারীদের। এমনই এক নিশানা হয়ে উঠেছিলেন ২১ বছরের ওলেসিয়া জুকোভস্কা। পেশায় চিকিৎসক।

যে কোনও বিক্ষোভে স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক হিসেবে ছুটে যেতেন ওলেসিয়া। জানুয়ারিতে নিজের শহর ক্রেমেনেটস-এ ফিরে গিয়েছিলেন। নতুন করে কিয়েভ উত্তপ্ত হচ্ছে খবর পেয়ে দু’দিন আগেই রাজধানীতে ফিরে আসেন।

গুলি লাগার মিনিট ২০ আগে টুইট করেন, ‘আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন। আজ সকাল থেকে ফের হিংসা-হানাহানি শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি খুব খারাপ দিকে গড়াতে পারে।’ তখনও জানেন না ওলেসিয়া, আর মাত্র কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে ঠিক কী ঘটতে চলেছে।

ওলেসিয়ার এর পরের টুইটটাই ছিল, ‘আমি মরতে চলেছি।’ টুইট করার কিছু ক্ষণের মধ্যেই জ্ঞান হারান তিনি। বন্ধুরা কোনও মতে নিয়ে যান স্থানীয় হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারে এ যাত্রা রক্ষা পেয়েছেন তিনি। কিয়েভের রাস্তায় পড়ে থাকা নিহত ওই বিক্ষোভকারীদের মতো পরিণতি হয়নি তাঁর।

আইনসভার সদস্যা আইরিনা হেরাশচেঙ্কো তাঁকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। তিনিই পরে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ওলেসিয়ার জ্ঞান ফিরেছে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top