সকল মেনু

এশিয়া কাপে নবাগত দেশ আফগানিস্তান

ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ২৪বিডি.কম) : ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। আর ১৯৮৪ সাল থেকে আয়োজন করা হয় এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত এশিয়া কাপ। 

এশিয়া কাপের সবচেয়ে বেশি শিরোপা জিতেছে ভারত (৫ বার)। এর পরেই রয়েছে শ্রীলঙ্কা (৪ বার)। এর আগে এশিয়া কাপের ১১টি আসর বসেছে। ২০০৮ সালের পর থেকে নিয়মিত প্রতি দুই বছর পর পর আয়োজিত হচ্ছে এশিয়া কাপ।

সর্বশেষ ২০১২ সালের আসরে বাংলাদেশ এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলে। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হার মানে টাইগাররা। যে হার ষোলো কোটি মানুষকে অশ্রুসিক্ত করেছিল। এশিয়া কাপের দ্বাদশ আসরের আয়োজকও বাংলাদেশ। যা ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে।

৩০ বছরের ইতিহাসে শ্রীলঙ্কা সর্বোচ্চ ১১ বার এশিয়া কাপে অংশ নিয়েছে। এরপর ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ১০ বার করে অংশ নিয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ছাড়াও এর আগে এশিয়া কাপে সহযোগী দেশ হিসেবে অংশ নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (২০০৪, ২০০৮) ও হংকং (২০০৪, ২০০৮)।

২০১৪ সালের আসরে আইসিসির সহযোগী দেশ হিসেবে এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছে আফগানিস্তান। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সঙ্গে লড়াই করবে ক্রিকেটে নবাগত দেশটি।

এদিকে নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রথমে পাকিস্তান এশিয়া কাপ খেলতে আসতে অস্বীকৃতি জানালেও শেষ পর্যন্ত তারাও আসছে। এশিয়া কাপের দ্বাদশ আসরে প্রতিটি দল চারটি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য পয়েন্ট থাকবে ৪। আর টাই হলে বা কোনো ফল না হলে পয়েন্ট থাকবে ২ করে।

একবার করে প্রত্যেকে প্রত্যেকের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়ার পর সর্বোচ্চ পয়েন্টধারী দুই দল ফাইনালে খেলবে। 

২৫ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এশিয়া কাপ। এই ভেন্যুতেই বাকি ৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বাদবাকি ৫টি ম্যাচসহ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

এশিয়া কাপের শিরোপা জিততে না পারলেও এশিয়া কাপ আয়োজনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখন শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে প্রথমস্থানে রয়েছে। এ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা সর্বোচ্চ চারবার এশিয়া কাপ আয়োজন করেছে। বাংলাদেশও চারবার আয়োজন করতে যাচ্ছে। 

এখন দেখা যাক গেল আসরের মতো এই আসরেও বাংলাদেশ ফাইনালে খেলতে পারে কিনা। তবে এবার ফাইনালে উঠলে ২০১২ সালের স্মৃৃতি কেউ দ্বিতীয়বার রোমন্থন করতে চাইবে না নিঃসন্দেহে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top