সকল মেনু

উপজেলা নির্বাচন;আ’লীগ সুবিধাজনক অবস্থানে, বিএনপি কঠোর

 লিটু সিকদার, ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লায়, হাট-বাজারে ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামি ২৭ ফেব্র“য়ারি এখানে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় প্রার্থীদের প্রচারণার সময় তুলনামূলক কম হওয়ায় তাঁরা খুব ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিএনপির প্রার্থী থেকে জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে রয়েছেন। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জামাল উদ্দিন নান্নু মিয়া প্রার্থী হওয়ায় আ’লীগের প্রার্থী অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। বিএনপির প্রার্থীতা নিয়ে নিজ দলের মধ্যেই অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে। অপরদিকে উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমান স্থানীয় এমপি আব্দুর রহমান ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএম মোশাররফ হোসেনের মধ্যে দ্বন্দ্বের অবসান হওয়ায় আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মী অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে ভোটের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে সমর্থন পেয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন; ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে মিজানুর রহমান মৃধা মিলন ও বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান মোসা. রেখা পারভীন। অপরদিকে উপজেলা বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে সমর্থন প্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম। সমঝোতার মাধ্যমে প্রার্থী বাছাইয়ে ব্যর্থ হয়ে ভোটের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থী নির্বাচিত করার কথা থাকলেও আকস্মিকভাবে সিদ্দিকুর রহমানকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বিএনপির সমর্থন লাভ করেছে রূপপাত ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. কামরুজ্জামান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিলুফার ইয়াসমিন। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর জেলা জিয়া পরিষদের সহ-সভাপতি মো. সাহিদুল হক মন্টু চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেও পরবর্তীতে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জামাল উদ্দিন নান্নু মিয়া। এক সময়ের জনপ্রিয় এই নেতা জাতীয় রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও উপজেলা পরিষদের প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা নির্বাচনে আ’লীগ সমর্থিত প্রার্থীর সাথে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে ভোটাররা
মনে করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top