সকল মেনু

রহস্যই রয়ে গেল হত্যাকাণ্ড

ঢাকা, ১১ ফেব্রুয়ারি (হটনিউজ24বিডি) : সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনো থমকে আছে। ১১ ফেব্রুয়ারি তাদের হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পার হলেও হত্যার রহস্যের কোনো কূলকিনারা হয়নি।

তদন্তকারীরা এখন ডিএনএ টেস্টের ফলাফলের আশায় হাত-পা গুটিয়ে বসে আছেন। এই তদন্ত নিয়ে এখন হতাশা দুই পরিবারে।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে যে ডিএনএ টেস্টের আশায় ছিল র‌্যাব তাও এখন ফিকে হয়ে আসছে। হত্যাকাণ্ডের আলামত, রক্তমাখা কাপড়সহ আরো কিছু আলামত আমেরিকার ডিএনএ ল্যাবে পাঠিয়ে দুইজনের ডিএনএ প্রোফাইল পায় র‌্যাব। কিন্তু সেই প্রোফাইলের সঙ্গে এই মামলায় আটক আটজনের কারুরই ডিএনএ প্রোফাইলই মেলেনি।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান জানান, এরপর তারা আরো কিছু আলামত পাঠিয়েছেন আমেরিকায়। এখন তারা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছেন।

এদিকে বাংলাদেশে অপরাধীদের ডিএনএ তথ্যভাণ্ডার না থাকায় আমেরিকা থেকে পাওয়া ডিএনএ প্রোফাইল মিলিয়ে দেখার সুযোগও খুব সীমিত। বাংলাদেশে সাধারণত অজ্ঞাতপরিচয় লাশ এবং পিতৃত্ব ও মাতৃত্ব নির্ধারণে ডিএনএ টেস্ট কাজে লাগানো হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের কোনো অপরাধী শনাক্ত এবং বিচারের মুখোমুখি হয়েছে কিনা তা তার জানা নেই।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নেসা রুনি।

এ হত্যাকাণ্ডের পর তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের চিহ্নিত এবং গ্রেফতারের কথা বলেছিলেন। কিন্তু দু’বছরেও হত্যারহস্যের কিনারা হয়নি। থানা পুলিশ ও ডিবির তদন্তে ব্যর্থতার পর হত্যাকাণ্ডের ছয় মাস পর আদালতের নির্দেশে তদন্ত দেওয়া হয় র‌্যাবকে। আর র‌্যাব তদন্ত করছে দেড় বছর ধরে। তারা সাংবাদিক দম্পতির লাশ কবর থেকে তুলে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তও করে। এই তদন্তকালে মোট আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা সাধারণ ভাসমান অপরাধী। আর তাদের আটক করা হয় চোর বা ডাকাত হিসেবে। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনো তথ্য পায়নি তদন্তকারীরা।

এই তদন্ত নিয়ে এখন পুরোপুরি হতাশ সাগর-রুনির পরিবারের সদস্যরা। রুনির ভাই নওশের রোমান জানান, তারা জানেন না তদন্তের নামে এখন কী হচ্ছে। তাদের সঙ্গে তদন্তকারীরা দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগও রাখছেন না। আর জানতে চাইলেও কোনো জবাব পাওয়া যায় না। সাগরের মা সালেহা মুনিরও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, মূল অপরাধীদের এখনো চিহ্নিত করা হয়নি। তাদের আটকের কোনো লক্ষণও নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top