সকল মেনু

কমছে না চালের দাম

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
ঢাকা, ৩০ ডিসেম্বর: শনিবার ভোর পর্যন্ত কোনো হরতাল বা অবরোধ ছিল না। এ সময় দেশের বিভিন্ন মোকাম থেকে পাইকারি বাজারে ঢুকেছে বিপুল পরিমাণ চাল। গত কয়েক দিনের তুলনায় পরিবহন ভাড়াও অর্ধেকে নেমে এসেছে। তা সত্ত্বেও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে চালের দাম কমছে না, উল্টো বাড়ছে।

রাজধানীর বাবুবাজার ও বাদামতলী এলাকার পাইকারি চাল ব্যবসায়ীরা জানান, আগে প্রতি কেজি মিনিকেটের দাম ছিল ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা। গতকাল শনিবার তা ৪৪ থেকে ৪৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে। নতুন নাজিরশাইল চালের দাম আগে ছিল ৪২-৪৪ টাকা, বর্তমানে তা ৪৭-৫০ টাকা। পুরনো নাজিরশাইলের মজুদ কমে যাওয়ায় বর্তমানে তা ৫৫-৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বিআর ২৮ চাল আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ৩৭-৪০ টাকায়। এছাড়া গুটি ও স্বর্ণা ৩৩-৩৬ এবং মোটা ইরি ৩০-৩১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাদামতলী-বাবুবাজার চাল আড়তদার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি রাজনৈতিক সহিংসতায় পরিবহনের ওপর আঘাত আসায় বিভিন্ন স্থানে ভাড়া কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে কয়েক দিন ধরে পরিবহনের ওপর সহিংসতা কমে যাওয়ায় ভাড়া অনেকটা কমে এসেছে। আগে কুষ্টিয়া থেকে এক ট্রাক চাল আনতে ৩৮-৪০ হাজার টাকা ভাড়া গুনতে হতো। বর্তমানে তা কমে ২০-২২ হাজারে দাঁড়িয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভাড়া ছিল ৫০-৫৫ হাজার টাকা। বর্তমানে তা ২৩-২৫ হাজারে নেমে এসেছে। তা সত্ত্বেও কোনো কোনো মোকামে চালের দাম কেজিপ্রতি ১ টাকা বাড়ানো হয়েছে। কেন দাম বাড়াচ্ছে, তা বোধগম্য নয়।

বাদামতলী ও বাবুবাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, গত দেড় মাস টানা অবরোধের কারণে রাজধানীতে চালের সংকট দেখা দেয়। তবে গত কয়েকদিন অবরোধ না থাকায় বাজারে বিপুল পরিমাণ চাল ঢুকেছে। এ সময় চাহিদা বেশি থাকায় মজুদ ততটা গড়ে ওঠেনি। দীর্ঘদিনের সরবরাহ সংকট তিন-চারদিনে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। তবে এক সপ্তাহ থেকে ১০ দিন পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক থাকলে দামও কমে আসবে বলে তারা মনে করছেন।

নওগাঁর ডিএম চালকলের স্বত্বাধিকারী মাখন চন্দ্র চৌধুরী দাবি করেন, পরিবহন ভাড়া কমে আসায় চালের দামও কমতে শুরু করেছে। যারা বাড়তি ভাড়ায় চাল এনেছেন, তারা বেশি দাম নিচ্ছেন। তবে শিগগিরই তা কমে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

চালের মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর বলেন, যৌক্তিক কারণ ছাড়া চালের দাম বেড়ে যাওয়া মোটেও কাম্য নয়। এজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে এগিয়ে আসতে হবে। বাড়াতে হবে নজরদারি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top