সকল মেনু

মোবাইলে নিজেই তুলুন নিজের ছবি

 শানজানা জামান, ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর:  ডিজিটাল ক্যামেরা, কিংবা ক্যামেরার সুবিধাসম্পন্ন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে অনেকেই আজকাল নিজেই নিজের (self) ছবি তোলায় ব্যস্ত। এ ধরণের ছবিকেই বলা হচ্ছে ‘সেলফি’।

আগে শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে এর ব্যবহার সীমাবদ্ধ থাকলেও ২০১৩ সালের সবচেয়ে জনপ্রিয় শব্দ হিসেবে `সেলফি` স্থান করে নেয় অক্সফোর্ড অভিধানে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইদানিং সেলফির প্রচলন ব্যাপকতা পেয়েছে। আসুন, জেনে নেয়া যাক চমৎকার সেলফি তোলার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টিপস।

নিজেকে দেখে নিন:
সেলফি তোলার আগে আপাদমস্তক নিজেকে একবার আয়নায় দেখে নিন। পোশাক, চুল কিংবা অন্যান্য সাজগোজ সংক্রান্ত বিষয়গুলো ঠিকঠাক আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন।

কম্পোজ করুন:
ছবির কম্পোজিশনটা কেমন হবে তা আগে থেকে ভেবে নিন। কেমন পোজ দেবেন, ফ্রেমটা কেমন হবে ইত্যাদি বিষয় নির্ধারণ করুন। যাদের স্মার্টফোনে ফ্রন্ট-ভিউ ক্যামেরা আছে তাঁরা সেটি ব্যবহার করে দূরত্ব, ফ্রেমিং ইত্যাদি চেক করে নিতে পারেন।

আলোক সতর্কতা:
ছবি তোলার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খুব বেশি উজ্জ্বল বা অতিরিক্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশে তোলা ছবি আপনাকে হতাশ করতে বাধ্য। তাই ছবি তোলার আগে আলো সঠিক পরিমানে আছে কিনা তা দেখে নিন।

ব্যাকগ্রাউন্ড চেক:
সেলফির ব্যাকগ্রাউন্ড নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নোংরা দেয়ালের সামনে বা অপরিচ্ছন্ন বেডরুমকে ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার না করাই ভালো। প্রকৃতি সবসময়ই ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে চমৎকার। ঐতিহাসিক কোন স্থানে ভ্রমণে গেলে ঐতিহাসিক স্থাপনাকেও ব্যাকগ্রাউন্ড বানাতে পারেন। আর যদি ইনডোরে করতে চান তাহলে ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই হয় এমন যে কোনো কিছুকেই ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন বইয়ের তাক, টেক্সচারসমৃদ্ধ পর্দা ইত্যাদি। তবে খেয়াল রাখুন ব্যাকগ্রাউন্ডটি যেন পরিচ্ছন্ন থাকে এবং তাতে এমন কিছু না থাকে যাতে দর্শকের মনোযোগ বিক্ষিপ্ত হয়।

নিজেকে স্থির রাখুন:
ছবি তোলার ক্ষেত্রে খুবই চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয় হল নিজেকে এবং ছবি তোলায় ব্যস্ত হাতটিকে স্থির রাখা। আর সেলফি তোলার ক্ষেত্রে তা আরও কঠিন। তাই প্রথমে কয়েকটি ছবি তুলে প্র্যাকটিস করে নিতে পারেন। আসল ছবি তোলার একটা গভীর নিঃশ্বাস নিন, আপনার ছবির জন্যে দেয়া পোজটিকে শিথিল রাখার চেষ্টা করুন।

আত্মবিশ্বাসী থাকুন:
সেলফি তোলার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসী ভাব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। এক্সপ্রেশনে কৃত্রিমতা পরিহার করে ন্যাচারাল লুক দেয়ার ব্যপারে মনযোগী হন, মুখে থাক একটুখানি হাসি।

সময়জ্ঞানের পরিচয় দিন:
সেলফি তোলার নির্দিষ্ট কোন সময় না থাকলেও কিছু কিছু সময় এটি থেকে বিরত থাকাই বাঞ্ছনীয়। যেমন গাড়ি ড্রাইভ করার সময়, কারও শেষকৃত্য অনুস্থানে, বিষাদগ্রস্ত বন্ধুকে পাশে রেখে ইত্যাদি ক্ষেত্রে সেলফি তুলতে যাওয়াটা ঠিক হবে না।

মোটকথা সেলফি তোলার ক্ষেত্রে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। নানা অ্যাঙ্গেল থেকে একসাথে অনেকগুলো ছবি তুলুন। এতে ভালো ছবি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন, উদ্ভাবনী কোনো পোজে নিজের ছবি তুলে তৈরি করুন স্বকীয় স্টাইল। সবচেয়ে বড় কথা- পুরো ব্যাপারটি উপভোগ করার চেষ্টা করুন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top