সকল মেনু

সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচার মামলা ‘তারেকের বন্ধু হওয়ায় মামুন ষড়যন্ত্রের শিকার’

index আদালত প্রতিবেদক:  বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বন্ধু হওয়ার কারনে ব্যবসায়ি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে এই মামলায় আসমি করা হয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছে মামুনের আইনজীবী খায়রুল ইসলাম লিটন। ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মোতাহার হোসেনের আদালতে যুক্তিতর্কের শুনানিতে মামুনের পক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।  সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত আংশিক যুক্তিতর্ক শেষে আগামী ১৪ নভেম্বর অধিকতর যুক্তিতর্কের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। লিটন আদালতকে আরো বলেন ‘কারও বন্ধু হওয়াটা দোষের কিছু নয়। অথচ শুধুমাত্র তারেক রহমানের বন্ধু হওয়ার কারণে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন মামুন। এই মামলায় অর্থপাচারের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা বানোয়াট সাজানো। কারন চীনা কোম্পানি হারবিন পাওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং নির্মান কনাষ্ট্রাকশনের চেয়াম্যান খাদিজ ইসলামের সিঙ্গাপুরের ওভারসীজ চাইনিজ ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (ওসিবিসি) এ ৭ লক্ষ ৫ হাজার ইউএস ডলার দেয়। পরে খাদিজ ইসলাম মামুনের সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকের একাউন্টে টাকা পাঠায়। বাংলাদেশ থেকে কোনও টাকা তো আসামি মামুন পাচার করেননি। এছাড়া খাদিজা ইসলামকে এই মামলায় অথবা অন্য কোন মামলায় আসমিও করা হয়নি। করা হয়েছে এই মামলায় সাক্ষি। খাদিজা আদালতে সাক্ষি দিয়েও বলেছেন, মামুনকে তিনি কনসালন্টেসি ফি হিসাবে এই টাকা দিয়েছে।

এসময় তারেক রহমান প্রসঙ্গে লিটন আদালতকে বলেন, এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে তারেক রহমান একটি সাপ্লিমেন্টারি ভিসা গোল্ড কার্ডের মাধ্যমে মামুনের একাউন্ট থেকে টাকা তুলে খরচ করেছেন। যদি তাই হয়, তবে সাপ্লিমেন্টারি ভিসা গোল্ড কার্ড মামলার আলমত হিসাবে কেন জব্দ করেননি রাষ্ট্র পক্ষ? এছাড়া তারেক রহমান এই টাকা কোন কোন দেশে খরচ করেছেন তাও প্রমাণ করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।’

এদিকে আদালতে উপস্থিত মামুনের আইনজীবী বার কাউন্সিলের ভাইস-চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তারেক রহমানকে সাজা দেয়ার জন্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রায় দিয়ে জনগণের সামনে তারেক রহমানকে খলনায়ক বানাতে চায় সরকার। এদিকে মামুনের আরেক আইনজীবী জাহেদুল ইসলাম কোয়েল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই মামলার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিষ্টার ফখরুল ইসলামকে যুক্তিতর্কের শুনানী থেকে দূরে রাখার জন্য সরকার গোয়েন্দা পুলিশ দিয়ে হয়রানি করছে। গতকাল গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আর তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার চলছে। ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দুনীর্তি দমন কমিশন এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা করে।

এরপরে ২০১১ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও তার বন্ধু ব্যবসায়ি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট (অভিযোগ পত্র) দাখিল করেন দুদক। অভিযোগপত্রে বলা হয়, টঙ্গীর বিসিক শিল্প এলাকায় একটি ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যাদেশ পাইয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে “নির্মান কনষ্ট্রাকশন লি.” কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে তারা দুই জন মিলে গ্রহন করে ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে  থেকে ২০০৭ সালের ৩১ মে  পর্যন্ত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা  সিঙ্গাপুরের ৬৫, চুলিয়া ষ্ট্রীট এর ওভারসীজ চাইনিজ ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (ওসিবিসি) এ পাচার করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top