সকল মেনু

কুষ্টিয়ায় মানিককে পিটিয়ে হত্যা করেছে সৎ মা ও পিতাসহ সহযোগীরা

 কাঞ্চন কুমার,কুষ্টিয়া:  কুষ্টিয়ার হাটশ হরিপুর গ্রামে সৎ মা, পিতা ও সৎ ভায়েরা পিটিয়ে এবং গলায় ফাঁশ লাগিয়ে হত্যা করেছে মানিক (২৫) নামের এক ভ্যান চালক যুবককে। নিজবাড়ির একটি কক্ষ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতের কোন এক সময়ে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর গ্রামের গোরস্তান পাড়া এলাকার আফজাল হোসেন’র বাড়িতে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলের সর্বনিকটতম ঘরের বাসিন্দা নিহতের চাচী ডাকু সর্দারের স্ত্রী মনোরা খাতুন (৪৮) জানান, সন্ধার পর নিহত মানিক’র সাথে তার সৎ মা নাসিমা (৪২) ও পিতা আফজাল মালিথা (৫২)’র তুমুল ঝগড়া হয় বাড়ির জমি ভাগ করার বিষয় নিয়ে। এরপর বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মানিকের নিজ ঘরে তালাবদ্ধ অবস্থায় প্রতিবেশীরা দেখতে পায় মানিকের ঝুলন্ত লাশ। ইউপি সদস্য মজিদ বিশ্বাস জানায়, নিহত মানিককে খুব ছোট রেখেই তার মা মারা যায়; এ অবস্থায় মানিককে লালন পালন করেন দাদী রেজিয়া খাতুন (৭০)। বর্তমানে তাদের বসতবাড়ির জায়গাটি মূলত: দাদীর সম্পত্তি, দাদীর ইচ্ছা জমি টুকু মানিককে লিখে দেয়া। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৎ মা নাসিমা, পিতা আফজাল মালিথা, সৎ ভাই আক্তার ও মুক্তারদের সাথে মানিকের সম্পর্কের অবনতি এবং প্রায়ই তাদের মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। তারই এক পর্যায়ে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।

লাশ উদ্ধার কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত কুষ্টিয়া মডেল থানার এস আই ইকবাল জানান, লাশের সুরতহাল প্রস্তুতকালে গলায় ফাঁসের চিহ্নসহ দেহের বিভিন্ন অঙ্গে মারাত্মক জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে তা ময়না তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্থানীয়দের দ্বারা আটকৃত নিহতের সৎ মা নাসিমা (৪২) ও পিতা আফজাল মালিথা (৫২)কে জিজ্ঞাসা চলছে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্য বেলায়েত হোসেন জানান, বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়দের দেয়া সংবাদ পেয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এই হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top