সকল মেনু

বগুড়ায় হরতালে মহাসড়ক অবরোধ, জজকোর্ট ও থানায় ককটেল হামলা

bogra pic (1) --04-11-13  বগুড়া অফিস:   ১৮ দলের ডাকা ৬০ ঘন্টা হরতালের প্রথম দিন  সোমবার মহাসড়ক অবরোধ, গাড়ী ভাংচুর , জজ কোর্ট ও থানায় ককটেল বিষ্ফোরন , রাস্তায় আগুন ,  মিছিল সমাবেশের  মধ্য দিয়ে  বগুড়ায় হরতাল পালিত হচ্ছে। ককটেলে একজন এজিপি সহ দু’জন আহত হয়েছে। গতকাল রোববার রাত  থেকে বিজিবি মোতয়েন করার পর টহল জোরদার করেছে। সকাল ৭টায় হরতালের সমর্থনে শহরের নবাববাড়ী রোডস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে যুবদল, মহিলা দল ও ছাত্রদল কর্মীরা একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক দক্ষিণ করে । শহরের সুত্রাপুর এলাকা থেকে শিবির কর্মীরা একটি মিছিল করে খান্দার এলাকায় গিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। এ ছাড়া শহরের  পিটিআই মোড়, চারমাথা , তিনমাথা , সাবগ্রাম সহ বিভিন্ন পয়েন্টে  পিকেটিং ও মিছিল করেছে  জামায়াত ও শিবির কর্মীরা। শহরের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ –র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। যাবাহন চলাচল করছে না। ট্রেন চলাচল করছে। হরতালের সমর্থনে শহর ও উপজেলা পর্যায়ে পিকেটিং ও মিছিল করছে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। সকাল ৭টায় জেলার শাজাহানপুর উপজেলার নয় মাইলে দু’টি ট্রাক ভাংচুর করেছে পিকেটাররা। ওই ট্রাকের চালক সামান্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এ সময় হরতালকারীরা বগুড়া –-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করে। শহরের মাটিডালী বিমান মোড়ে হরতালের সমর্থনে মিছিল করে ১৮ দল। উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেলসহ বিএনপি , জামায়াত ও ইসলামী  ওইক্যজোটের নেতারা এতে অংশ নেন। সকালে মহাস্থান সিনেমা হলের সামনে এক আ’লীগ নেতার  মোটর সাইকেলে আগুন দেয় পিকেটাররা। এ ছাড়া শহরের বাইরে সর্বাতœক হরতাল পালিত হচ্ছে। দুপুর ১২টায় জেলা জজকোর্ট চত্বরে কে বা পর পর দু’টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এতে এজিপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সালেক (৪৮) সহ একজন  বাদাম বিক্রেতা আহত হয়েছেন। এসময় কোর্ট এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। তখন নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আহত এজিপিকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রায় একই সময় সদর থানা লক্ষ্য করে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দূর্বৃত্তরা। বিকেলে জিরো পয়েন্ট সাতমাথায় সামবেশ করে ১৮ দল।

শেরপুর ঃ সকালে ধুনট রোড মোড়ে রাস্তায় টায়ার জালিয়ে সড়ক অবরোধ করে হরতাল সমর্থকরা। সেখানে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কেএম মাহবুবুর রহমান হারেজ ,পৌর মেয়র ও বিএনপি নেতা স্বাধীন কুমার কুন্ডু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান ,উপজেলা জামায়াতের আমীর মানছুরুর রহমান, সেক্রেটারী দবিবুর রহমান, রেজাউল করিম বাবলু , কাজী কালাম, যুবদলের শফিকুল ইসলাম আরফান ,আল মামুন, ছাত্রদলের আব্দুর রাজ্জাক , ওবাইদুর রহমান,  ছাত্রশিবিরের আব্দুল হালিম , মাসুদ রানা প্রমুখ। শেরপুরে কোন যানবাহন চলেনি। এ ছাড়া অন্যান্য উপজেলায় সর্বাত্তক হরতাল চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top