সকল মেনু

রাস্তায় পাঠদান

xTeacher20131104065809.jpg.pagespeed.ic.VUEYQjms03 ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতনিধি, ৪ নভেম্বর:  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ষরিষারচর-নতুনহাটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে গ্রামের রাস্তায়।

স্কুল কর্তৃপক্ষ অন্যত্র স্থান না পেয়ে রাস্তাকেই বেছে নিয়েছেন। বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ২ মাস যাবৎ খোলা জায়গায় পাঠদান চলছে। বাঞ্ছারামপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ক্লাসরুমগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে প্রায় একযুগ হতে চলছে। উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ শিক্ষাঅনুপযোগি ক্লাস রুমের কথা অকপটে স্বীকার করে নিজেদের অসাহায়ত্বের কথা জানিয়েছেন।  বিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯৭৬ সালে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নতুন হাটি গ্রামে ষরিষারচর-নতুনহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে বিদ্যালয়ে একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১৫২ জন শিক্ষার্থী এবং ৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। গত ৭ জুলাই, ২০০১ সালে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়। তবে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং রোজার বন্ধে শিক্ষার্থীদের একেবারেই পড়ানো হয়না। কেবল চাকরি রক্ষার্থে বাধ্য হয়েই ক্লাস নেন শিক্ষকরা। গতকাল রোববার সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের বাইরে খোলা জায়গায় এবং বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গ্রামের ব্যস্ত সড়কে মাদুর পেতে শিক্ষার্থীরা পাঠ নিচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে শিক্ষার্থীরা স্কুলের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে আশ্রয় নেয় বলে জানালেন শিক্ষকরা। এছাড়া সড়কটি মাত্র দুই ফিটের মতো চওড়া। সেখানে মাদুর পেতে শিক্ষার্থীরা বসলে চলাচলের আর কোনো স্থান ফাঁক থাকেনা। তার পরেও গ্রামের লোকজন শিশুদের শিক্ষার জন্য এ অত্যাচার মুখবুজে সহ্য করে যাচ্ছেন। এলাকার স্থানীয় যুবক রফিক শিকদার জানান, রিক্সা, সাইকেল বা মোটর সাইকেলে যাতায়াতকারীরা শিক্ষা-বিভাগকে গালমন্দ করে পথটুকু হেঁটেই চলে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক প্রদীপ কুমার দাস বলেন, “রোজার আগে ছাদের পলেস্তরা পড়ে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রের মাথা ফেটে যায়। বিষয়টি শিক্ষা অফিসকে জানালে তাদের নির্দেশে ভবনে ক্লাস নেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় খোলা জাযগায় ক্লাস নিতে হচ্ছে। আর এজন্যই বৃষ্টি এলে পাঠদান বন্ধ থাকে।” উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন, “বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবনে পাঠদান নিষেধ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ে অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরীভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে বরাদ্ধ এখনো পাইনি।”

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top