সকল মেনু

খোকসা হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ছুটিতে!

AMBULANCE20120215162526 কাঞ্চন কুমার,কুষ্টিয়া:  ১৮ দল আহুত টানা ৬০ ঘন্টার হরতালে ভোগান্তীতে রোগীরা। হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ছুটিতে থাকায় কাঁটার উপর বিশ ফোঁড়া হয়ে দাড়িয়েছে ভূক্তভোগীদের। সোমবার ভোরে উপজেলার থানা পাড়ার রেজাউল করিম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। দিশেহারা রোগীর স্বজনেরা এ্যাম্পুলেন্স ড্রাইভার এলিমকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কামরুজ্জামান সোহেল এর কাছে ফোন করে জানতে পারেন এ্যাম্বুলেন্স ডাইভার ছুটিতে আছে। এ সময় রিক্সা ভ্যানে করে কোন রকমে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যায় রোগীর স্বজনরা। রোগীর অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার জরুরী ভিত্তিতে রোগীকে ঢাকায় স্থানান্তরের জন্য পরামর্শ দেন। হাসপাতালে এ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে অবশেষে সোমবার সকালে কুষ্টিয়া থেকে একটি বেসরকারী হাসপাতালের এ্যাম্বুুলেন্স নিয়ে এসে রোগীকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। সরেজমিনে হাসপাতালে গেলে রোগীদের কাছ থেকে অভিযোগের সত্যতা মেলে। ভূক্তভোগী রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার এলিম নিজের খেয়াল খুশিমত এ্যাম্বুলেন্স চালায়। হাসপাতালের সরকারী এ্যাম্বুলেন্স খারাপ অজুহাত তুলে নিজের ব্যক্তিগত এ্যাম্বুলেন্সে বেশি ভাড়ায় রোগী অন্যত্র নিতে বাধ্য করায়। এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষ নজর না দেওয়ায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ড্রাইভার এলিম। এ ব্যপারে টিএইচএ আব্দুস সালাম মুকুল এর সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন ঈদের সময় ড্রাইভারকে ছুটি দেয়া হয়নি এ কারণে এখন ছুটি দেয়া হয়েছে। হরতালের সময় জরুরী মুহুর্তে কেন ছুটি দেয়া হল এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হেনা মোঃ মুস্তাফা কামাল সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ্যাম্বুলেন্স একটি অতি জরুরী বিষয়। হরতালের সময় তা আরও বেশি জরুরী। এ সময় এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার ছুটিতে যাওয়া প্রশাসনিক দুর্বলতার পরিচয়। ড্রাইভারকে ছুটি দিয়ে টিএইচ এ অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। তবে ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনরা বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top