সকল মেনু

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন সাকিবের

Shakib-Al-Hassanসাকিব আল হাসান বলেছেন, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ে বাংলাদেশের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। গত পাঁচ বছরে অনেক খেলোয়াড় নিয়মিত পারফর্ম করায় দলের এমন আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে। যার সর্বশেষ তালিকায় যুক্ত হয়েছেন সোহাগ গাজী। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ম্যাচে সেঞ্চুরি এবং বল হাতে হ্যাট্রিক করা প্রথম ক্রিকেটার গাজী।

নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ড্র হওয়া প্রথম টেস্টে সাকিব দুর্দান্ত একটি ক্যাচ লুফে নিয়ে গাজীর হ্যাট্রিক পূর্ণ করেন। প্রথম টেস্ট ড্র হলেও বাংলাদেশ দলের অনেক উন্নতি ছিল লক্ষ্যনীয়।
সাকিব বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক হওয়ার সময় থেকে ড্রেসিং রুমের আলোচনায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এই পরিবর্তনের সময়ে সাকিবের যথেষ্ট অবদান রয়েছে- বিশেষ করে তিন বছর আগে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪-০ ম্যাচে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে তার ভূমিকা ছিল অসাধারণ।

তিনি বলেন, ‘ছয় বছর আগে আমি যখন শুরু করি তখন আমাদের লক্ষ্য ছিল টেষ্টে পাঁচ দিন খেলা। তারপর লক্ষ্য ছিল টেস্ট ম্যাচ ড্র করা। আর এখন আমরা জয়ের জন্য খেলতে নামি। সময়ের সঙ্গে আমাদের দলের প্রতিটি ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে। এই দলটা বেশ কিছুদিন যাবত একত্রে খেলছে সুতরাং আমাদের আত্মবিশ্বাসটা এখন অনেক বেশি। আমরা এ সিরিজ জিততে চাই। আমাদের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে সুতরাং আমাদের সেরাটা বিলিয়ে দেয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘একটা দলে যখন চার-পাঁচজন পাফরমার থাকে তখন দলের অন্য খেলোয়াড়রা ভাল খেলতে চায়। সুতরাং ভাল করার জন্য সবার মধ্যেই একটা চ্যালেঞ্জ থাকে। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশ দলের জন্য সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক।’

সাকিবের নিজেরও পার্ফম করা দরকার। গত মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সর্ব শেষ টেস্ট জয়ে সাকিবের দু’টি অর্ধ-শতক ছিল। চট্টগ্রাম টেস্টে বল হাতে তেমন একটা ভাল করতে পারেননি তিনি। তবে ভাল করার জন্য নিজের মধ্যে তীব্র ক্ষুধা অনুভব করছেন বলে জানান তিনি। মূলত আবারো বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারে তালিকায় ফেরাটা তার জন্য একটা বাড়তি অনুপ্রেরণাও বটে।

তিনি বলেন, ‘র‌্যাংকিংয়ের দিকে তাকালে আমার নিজের জন্য এটা সহজেই একটি বাড়তি অনুপ্রেরণা। আমার লড়াইটা বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের সঙ্গে। তবে আমি নিজেকে কারো সঙ্গে তুলনা করি না। দলের কারণে সকলেই অবদান রাখতে চায়। কোন ক্রিকেটারই র‌্যাংকিংয়ের দিকে এক চোখ রাখে আমি এমনটা মনে করি না। তবে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকাটা অবশ্যই আনন্দ দেয়।’

২০১১ সালের পর এই দ্বিতীয়বার শীর্ষ টেস্ট অলরাউন্ডার হলেন সাকিব। অপর দিকে বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার জক ক্যালিসের মত খেলোয়াড়রা শীর্ষে থাকার যথেষ্ট সুযোগ পেয়ে থাকেন। কিন্তু বাংলাদেশ যেহেতু টেস্ট খেলার সিমিত সুযোগ পায় তাই সাকিবকে সব সময়ই এ স্বল্প সুযোগকেই কাজে লাগাতে হয়। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট তেমনই একটা সুযোগ এবং এ সিরিজে ভাল করাটা সাকিবের জন্য এক অনন্য সুযোগ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top