সকল মেনু

আশ্বিনেরই আঙিনায় ছুটে এলো খেপা শ্রাবণ

caption-320131005153543 মেহেদি হাসান, হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা:  প্রচলিত আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি আমাদের মনের সব কথাই বলে গেছেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষণে কেমন করে যেন আসলেই মিলে যায় কবির গান কবিতা আমাদের জীবনতরঙ্গে। শুধু তাই নয়, যে ছবি কবি এঁকেছেন কলমের আঁচড়ে, সে ছবি যেন ধরা পড়েছে আলোকচিত্রীর ক্যামেরার চোখেও। এমনই কিছু ছবি মিলিয়ে নেওয়া যায় কবির কথায় কথায়… বৃষ্টি ও বজ্রে এই ছবিগুলো সংগৃহীত। তবে দেখলে মনে হয় যেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এরূপের মোহেই লিখেছেন অসাধারণ সব গান কবিতা।

‘বজ্রমাণিক দিয়ে গাঁথা আষাঢ় তোমার মালা
তোমার শ্যামল শোভার বুকে বিদ্যুতেরই জ্বালা…’ প্রকৃতির প্রতিটি অনুষঙ্গ কবি কত সূক্ষ্মচিত্তে দেখতেন তার একটি অনন্য উদাহরণ বোধহয় এটি।
সত্যিই তো! এক ক্লিকে উপরের ছবিতে একসঙ্গে সত্তরটি বজ্র ধরেছেন এক আলোকচিত্রী। যে আলো এরা ছড়াচ্ছে সেটাকে মাণিক ছাড়া আর কি বলা যায়!

 

‘শ্রাবণ তুমি বাতাসে কার আভাস পেলে
পথে তারি সকল বারি ঢেলে দিলে…’ কবির এই পথ যদি হয় আকাশ পথ, আর সে পথে যদি এমন করে দেখা মেলে বারি ধারা, তবে ‘শরৎ’ হয়ে বলতে ইচ্ছে করবে ‘মিলিয়ে দেব কালোয় আলো/সাজবে বাদল আকাশ মাঝে সোনার সাজে…’ ছবিটি বিমান থেকে তোলা বৃষ্টির দারুণ একটি মুহূর্ত।

 

‘ওই যে ঝড়ের মেঘের কোলে
বৃষ্টি আসে মুক্তকেশে আঁচলখানি দোলে
ওরই গানের তালে তালে…’ ছবিটি দেখে মন হয়তো আবার বলে উঠবে ‘ঘরছাড়া মোর মনের কথা যায় বুঝি ওই গাঁথি গাঁথি…’।

 

‘এই শ্রাবণের বুকের ভিতর আগুন আছে…’‘কোন খেপা শ্রাবণ ছুটে এল আশ্বিনেরই আঙিনায়

দুলিয়ে জটা ঘনঘটা পাগল হাওয়ার গান সে গায়.. .’ আশ্বিনে হঠাৎ গত দুদিনের বৃষ্টি এ গানটি বারে বারে বাজিয়ে চলেছে মনে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top