সকল মেনু

ক্ষেতলালে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ ১০জন গুরুত্বর আহত

02.10.2013  Joypurhater Khetlale Songghorso copy এসএস মিঠু , জয়পুরহাট থেকে : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার সহলাপাড়া গ্রামে পূর্ব ঘটনার জের ধরে বুধবার দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০জন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৮জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে সিবলি নামে একজনের অবস্থার অবনতি ঘটায় ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তাকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। উভয় পক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় বর্তমানে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট গ্রামবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, পাওনা টাকা ফেরতের দাবিতে রঘুনাথপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ওমর আলী সহলাপাড়া গ্রামে এসে দিনমজুর আলিমকে সোমবার রাতে মারপিট করে। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার রাতে আলিম তার লোকজন নিয়ে ওমর আলী ও তার সঙ্গী জুয়েলকে মারপিট করলে তারা আহত হয়।

 

বুধবার  এ নিয়ে উভয়পক্ষে সহলাপাড়া গ্রামে মীমাংসায় বসেন মেজবাহ চৌধূরী ও রঘুনাথপুর গ্রামের সিবলি আহম্মেদ। এ সময় আহত ওমর আলী ও জুয়েল সিএনজি নিয়ে ওই পথে হাসাপাতালে যাবার সময় সহলাপাড়ার লোকজন চড়াও হয়। খবর পেয়ে রঘুনাথপুর গ্রামবাসী সেখানে ছুটে এলে উভয়পক্ষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধে।

 

এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়। আহতরা হলো সহলাপাড়া গ্রামের নজাবত আলী মন্ডলের ছেলে মামুনুর রশিদ (৩১), আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুস সোবহান (৩৫), সাহাজুল ইসলামের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৩০) ও মৃত মোসলিম আলীর ছেলে সেকেন্দার আলী (৪৮) এবং রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে ওমর আলী (৩৫), ইদ্রিস আলী মাষ্টারের ছেলে সিবলি আহম্মেদ (৩২) ও তার ভাই জুয়েল (২৫),ফজলুর রহমানের ছেলে রতন (৩০) ও শাহাজুল ইসলামের ছেলে খায়রুল ইসলাম (২৫)।

 

এ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য ওমর আলী বলেন,‘মঙ্গলবার রাত ন’টায় সহলাপাড়া গ্রামের মোশারফ হোসেনের দোকানের পাশে বিশ্রাম নেয়ার সময় আলীম তাদের ওপর অতর্কিতে চড়াও হয়। এ সময় তার সঙ্গী আলিমকে ধরে ফেললে মেজবাহ চৌধূরী নেতৃত্বে ওই গ্রামের লোকজন তাদের মারপিট করে। পরের দিন সকালে আহত অবস্থায় হাসপাতালে যাবার পথেও সহলাপাড়ার লোকজন তাদের হামলা করে।

 

মেজবাহ চৌধূরী এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের সূচনা করেন ইউপি সদস্য ওমর আলী। তার কারণেই গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে। যা তিনি মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।

 

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল আনোয়ারুল ইসলাম বলেন,‘ এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top