সকল মেনু

জুমা ও জুমার দিনের আমল

হটনিউজ ডেস্ক :

আল্লাহতায়ালা সমগ্র মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের মধ্যে কিছু বস্তুকে অন্য বস্তুর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। সাত দিন তৈরি করেছেন এবং অন্যান্য দিনের তুলনায় জুমার দিনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। জুমার দিনের ফজিলতের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে আল কোরআনে শুধু জুমার নামে একটি সুরা অবতীর্ণ হয়েছে। জুমার দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে : হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে দিনগুলোয় সূর্য উদিত হয় তার মধ্যে সর্বোত্তম হলো জুমার দিন। যেদিন হজরত আদম (আ.)-এর জন্ম হয়েছিল, যেদিন তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং যেদিন তাঁকে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে অবতরণ করা হয়েছিল। (মুসলিম, নাসায়ি, তিরমিজি)

রসুলুল্লাহ (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের সময় মদিনার নিকটবর্তী আমর ইবনে আউফ গোত্রের বসতি কুবায় কয়েকদিন অবস্থান করেন। কুবা থেকে রওনা হওয়ার এক দিন আগে বৃহস্পতিবার মসজিদে কুবার ভিত্তি স্থাপন করেছেন, এটিই ইসলামের প্রথম মসজিদ, যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল খোদাভীতির ওপর। শুক্রবার সকালে তিনি কুবা থেকে মদিনার উদ্দেশে রওনা হন। যখন সালিম ইবনে আউফ গোত্রের উপত্যকায় পৌঁছেন, তখন জুমার সময় হয়। রসুলুল্লাহ (সা.) যেখানে বর্তমানে ‘মসজিদে জুমা’ রয়েছে সেখানে জুমার নামাজ আদায় করেন। এটি ছিল রসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রথম জুমা। (আল বিনায়াহ্) জুমার দিন ফজরের নামাজে সুরা আলিফ-লাম-মিম সাজদা ও সুরা দাহার পড়া সুন্নত, জুমার দিন ফজরের নামাজে প্রথম রাকাতে সুরা আলিফ-লাম-মিম-সাজদা ও দ্বিতীয় রাকাতে সুরা দাহার তিলাওয়াত করা সুন্নাত। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সা.) জুমার দিন ফজরের নামাজে সুরা আলিফ-লাম-মিম সাজদা ও সুরা দাহর পডতেন। (বুখারি) সর্বদা জুমার দিন ফজরের নামাজে এ সুরাগুলো পাঠ করলে তাতে দোষের কিছু নেই, তবে যদি এমন আশঙ্কা থাকে যে সর্বদা জুমার দিন ফজরের নামাজে এ দুটি সুরা পাঠ করাকে মানুষ জরুরি মনে করা শুরু করেছে, তাহলে মাঝেমধ্যে ইমাম এ সুরাগুলো পাঠ করবেন না। এ ব্যাপারে হজরত আউস ইবনে আউস সাক্বাফি (রা.) বলেন, আমি রসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জুমার দিন সুন্নত তরিকায় ভালোভাবে গোসল করবে, সকাল সকাল মসজিদে আসার জন্য রওনা দেবে, হেঁটে আসবে, ইমামের নিকটবর্তী হয়ে বসবে, গুরুত্বসহকারে খুতবা শুনবে এবং অহেতুক কাজ ও কথা থেকে বিরত থাকবে, আল্লাহতায়ালা তাকে পূর্ণ এক বছর নফল রোজা ও এক বছর নফল নামাজ পড়ার সওয়াব দান করবেন।

লেখক : শিক্ষক, মদিনাতুল উলুম মাদরাসা, বসুন্ধরা, ঢাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top