সকল মেনু

ফরিদপুরে স্কুলছাত্র হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসপি আলিমুজ্জামান

হটনিউজ ডেস্ক:
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রেমঘটিত বিরোধের জেরে মো. শাহেদ শেখ (১৭) নামে এক স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান (বিপিএম-সেবা)।

বুধবার দুপুরে তদন্তের অংশ হিসেবে উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের রায়ের পানাইল গ্রামে হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশ সুপার। এ সময় নিহত শাহেদ শেখের মা শিল্পী বেগম, দাদী রাহেলা বেগম, ফুফা লিটন খানসহ আশপাশের লোকজনের সাথে হত্যাকান্ডের প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য কথা বলেন। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মামলার বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার করতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর, থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান, টগরবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মিয়া আসাদুজ্জামান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইল গ্রামের জসীম শেখের স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সাথে শাহেদের প্রেমের সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহে ওই ছাত্রীর চাচাতো ভাই লাদেন শেখ বিষয়টি নিয়ে শাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে গত ৩০ জানুয়ারি। এর জের ধরে লাদেন শেখ প্রতিশোধ নিতে ইব্রাহিমসহ আরো কয়েকজন শাহেদের বাড়ির সামনে ওইদিন তার ওপর বাঁশের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে শাহেদ মারাত্বক আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩০ জানুয়ারি রাতে মারা যায়। শাহেদ আলফাডাঙ্গা উপজেলার অনির্বাণ প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাইস্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।

হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার আলফাডাঙ্গার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় নিহত শাহেদ শেখের ফুফা লিটন খান বাদী হয়ে গত ৩১ জানুয়ারি ৭ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top