কামাল হোসেন মাসুদ, নোয়াখালী প্রতিনিধি: ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালীণ সময়ে নোয়াখালীর সবচেয়ে বড় গণহত্যার স্থান বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর। সেদিন স্থানীয় রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকিস্তানীরা ৫৪জন সাধারণ মানুষকে হত্যা করে। তাদের অপরাধ ছিল তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করতো। দীর্ঘ ৪২ বছর পর অবশেষে সে স্থানে নির্মিত হতে যাচ্ছে স্মৃতি স্তম্ভ। মঙ্গলবার গোপালপুর গণশহীদ স্মৃতি সংসদ আয়োজিত স্মরণসভা ও মিলাদ মাহফিলে স্মৃতি স্তম্ভের নকশা উন্মোচন করেন নোয়াখালীর জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এ বি এম জাফর উল্যা। সংসদের সভাপতি গণহত্যায় শহীদের সন্তান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও শিল্পপতি এ টি এম এনায়েত উল্যা, বেগমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ভিপি মোহাম্মদ উল্যা, যুুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলতাফ হোসেন বাচ্চু। বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন, বেগমগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাবেক কমান্ডার আবুল হোসেন বাঙালী, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহবুবুর রহমান, গোপাল পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিনয় ভুষন রায়, চৌমুহনী প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ ছিদ্দিকী বাবু, স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রুমি, সাংবাদিক আনোয়ার পারভেজ, শেখ সিরাজ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করে ৭১’র ১৯ আগস্ট রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানীদের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞে ৫৪জন শহীদকে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।