হটনিউজ ডেস্ক:
ভাঙচুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে সৈকত নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ঘটনা জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তবে, কারা ঘর বাড়ি ভাঙচুর করেছে, তা জানি না। আমরা লিটন ও জয়কে গ্রেপ্তারের জন্য ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এ সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহৎ আন্দোলন করা হবে।’
ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যর সাইদুল আলম লিটনের বাবা আলতাফ হোসেন হাওলাদার জানান, কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। তাঁর পিঠেও কিলঘুষি দেওয়া হয়।
লিটনের মা নুরজাহান বেগম এবং ভাই ফারুক হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তাঁদের বাসায় অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন। লিটন কোথায়, তাও তাঁরা জানেন না।
জাহিদ হোসেন জয়ের মা জ্যোৎস্না বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে কিছুই জানে না। এর আগেও আমাদের ঘর ভাঙচুর হয়েছে। এবার দুই থেকে তিনশ ছেলেমেয়ে এসে টিভি, ফ্রিজ, আলমারি ভেঙেছে।’ ভাঙচুরকারীরা স্বর্ণ ও নগদ অর্থ লুটপাট চালিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
‘লিটন জনপ্রতিনিধি সুলভ আচরণ করেননি’ উল্লেখ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ঘটনাস্থল ও সড়ক থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি করেছেন, সেগুলো আমরা দেখছি। ভাঙচুরের বিষয়ে আমার জানা নেই।’
বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পুরো বিষয়টি আমরা জেনেছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।