সকল মেনু

একের পর এক বের হওয়া লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা, আহাজারি

হটনিউজ ডেস্ক:

আগুনে পুড়া ধ্বংসস্তূপ থেকে একের পর এক লাশ বের করা হচ্ছিল। বাইরে অপেক্ষায় স্বজনরা। একটি লাশ বের করা হলেই ছুটে যান তারা। কিন্তু চিনতে পারছিলেন না। পুড়ে এমন অবস্থা যে, লাশ চেনার কোনো উপায় নেই। এতে তাদের আহাজারি আরও বেড়ে যায়, যাতে কারখানা এলাকার আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।

শুক্রবার দেড়টার দিকে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের সেজান জুস কারখানার সামনে। এই কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ইতোমধ্যে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনো লাশ উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।

সেখান থেকে অন্তত ৪৯টি লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসাপাতালে পাঠানো হয়। ৪৯ মরদেহের একটিও শনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা।
ঘটনাস্থল থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক দেবাশীস বর্ধন গণমাধ্যমকে জানান, এখন পর্যন্ত কারখানার ভেতর থেকে ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর মেডিকেলে তিনজন মারা গেছেন। আজকে উদ্ধার করা লাশগুলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে মরদেহ শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ওই কারখানা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ভবনের অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে বিভিন্ন তলা থেকে লাফিয়ে পড়েন অনেক শ্রমিক। এতে ওই রাতেই তিনজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, আহতও হন বেশ কিছু শ্রমিক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top