সকল মেনু

আজ শামসুদ্দীন মোল্লার ৩০তম মৃত্যু বার্ষিকী

হটনিউজ ডেস্ক:

আজ ১০ জুলাই প্রখ্যাত রাজনীতিক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাল্য বন্ধু বৃহত্তর ফরিদপুরের কৃতি সন্তান সাবেক এমএনএ শামসুদ্দীন মোল্লার ৩০তম মৃত্যু বার্ষিকী। শামসুদ্দীন মোল্লা এবং বঙ্গবন্ধু কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে একই ক্লাসে পড়াশোনা করতেন এবং দু’জনেই বেকার হোস্টেলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন,যদিও তাঁেদর বন্ধত্ব স্কুল জীবন থেকেই। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় নেওয়া শামসুদ্দীন মোল্লা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গ-সদরপুর আসন থেকে পাকিস্তান গণ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সংবিধান রচিয়েতা কমিটির অন্যতম সদস্য। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি শামসুদ্দীন মোল্লা পাকিস্তান যুগে পূর্ব পাকিস্তানের সাংবাদিক সমাজের জীবনমান উন্নয়নে সংগ্রাম করেছেন তিনি ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও পরে পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাই-প্রেসিডেন্ট ছিলেন,ফরিদপুর জেলা বারের সভাপতি থাকার সময়ে ফরিদপুর আইন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। রাজনীতি ও আইন পেশার পাশাপাশি তিনি ছিলেন শিক্ষা ব্রতী ও সমাজসেবক। তিনি ফরিদপুর রেড ক্রিসেন্টের সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচী বাস্তবায়নের ডাক দেওয়ার পর শামসুদ্দীন মোল্লাকে ফরিদপু জেলা গভর্নর হিসেবে নিয়োগ করেন।
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর ঢাকা শহরে প্রথম প্রকাশ্য প্রতিবাদী মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শামসুদ্দীন মোল্লা।এ ঘটনার পর জিয়াউর রহমান সরকার শামসুদ্দীন মোল্লাকে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দিয়ে ঢাকা শহরে মাইকিং করেছিলো। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে তিনি কর্মী বাহিনী নিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহন করেন এবং প্রতিরোধ সংগ্রামের প্রস্তুতি নেন। শামসুদ্দীন মোল্লার মৃত্যু বার্ষিকীতে শামসুদ্দীন মোল্লা স্মুতি সংসদ,ফরিদপুর প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক সংগঠন করোনাকালীন বিধিনিষেধ মেনে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top