সকল মেনু

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায় কক্সবাজারবাসী

PM-0120130902114427জেলা সংবাদদাতা, কক্সবাজার, ৩ সেপ্টেম্বর:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া সকল প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায় কক্সবাজার জেলাবাসী। কাল মঙ্গলবার নতুন প্রতিশ্রুতির আগেই প্রধানমন্ত্রী যেন আগের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে কথা বলেন এমনটা প্রত্যাশা করছেন সকলে।

কক্সবাজারের বিশিষ্টজনরা বলছেন, এ সরকার সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় বারের মতো কক্সবাজার সফরে আসছেন। তিনি ২০১১ সালে ৩ এপ্রিল কক্সবাজার সদরে আসেন। ওইদিন বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনের পাশাপাশি কক্সবাজার জেলেপার্ক মাঠে জনসভায় বক্তব্য রাখেন।

এরপর ২০১২ সালের ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর রামু উখিয়া ও টেকনাফে বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলার প্রেক্ষিতে ওই বছর ৮ অক্টোবর রামুতে আসেন প্রধানমন্ত্রী।

রামুর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী যে সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার সফল বাস্তবায়ন দেখেছে জেলাবাসি। ইতিমধ্যে রামু, উখিয়ার বৌদ্ধ বিহার ও বসতি নতুন করে তৈরী করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ২০১১ সালে ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন পুরোটা দেখতে পায়নি জেলাবাসি।

কক্সবাজারের বিশিষ্টজন সিভিল সোসাইটির সভাপতি সাংবাদিক ফজললু কাদের চৌধুরী রাইজিংবিডিকে জানান, ২০১১’র ৩ এপ্রিল প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের উন্নয়নে প্যাকেজ প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

এরমধ্যে অন্যতম ছিল, কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র করা, বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম নির্মাণ, টুরিস্ট পুলিশ গঠন, মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন, কক্সবাজারের প্রতিটি গ্রামে স্কুল নির্মাণ, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স কোর্স চালু, কক্সবাজার মহিলা কলেজে ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, কক্সবাজারে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্মাণ, বাঁকখালী নদী ড্রেজিং, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিকীকরণসহ অনেকেই। একই দিন প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ এবং কক্সবাজার-দোহাজারী রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

তিনি জানান, এসব প্রতিশ্রুতির আংশিক বাস্তবায়ন হলেও অন্যান্য প্রকল্প নিয়ে জেলাবাসি স্বপ্নে রয়েছেন। ইতিমধ্যে কক্সবাজারে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্মাণ শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ৩ সেপ্টেম্বর তার উদ্বোধন করবেন।

সরকার `টুরিস্ট পুলিশ` গঠন হয়েছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বিমানবন্দরকে আন্তজার্তিকমানের উন্নয়নের কাজ এগিয়ে চলছে।

তিনি জানান, ওই দিন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে রেলপথটি ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মিত হবে। কিন্তু তার কাজ এখনো শুরু হয়নি। অন্যান্য প্রতিশ্রুতিও অন্ধকারে।

কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা রাইজিংবিডিকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির রেললাইন দ্রুত সময়ে বাস্তবায়নের পক্ষে জেলাবাসি। একই সঙ্গে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম চাই।

অস্থায়ী স্টেডিয়াম নির্মাণ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থায়ীভাবে স্টেডিয়ামের দাবি মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে জেলার সচেতন মানুষ। এখন নতুন প্রতিশ্রুতির আগেই প্রধানমন্ত্রী আগের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য নিদের্শ দেবেন এমনটা জেলাবাসি প্রত্যাশা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top