সকল মেনু

বিমানের পেছনেও লোকসানের ভূত

5996467738_117b2eff12_oহটনিউজ২৪বিড.কম,ঢাকা, ২৯ আগস্ট: বাংলাদেশ বিমানের পেছনেও লেগে আছে লোকসানের ভূত। কিছুতে লোকসান পিছু ছাড়ছে না এ খাতটির।গত ১২ বছরের মধ্যে ৯ বছরই লোকসানে ছিল এ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি। ৯ বছরে প্রতিষ্ঠানটির মোট লোকসান গুণতে হয়েছে ২০ হাজার ১ শ কোটি টাকা।রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতির কারণে বিমান বাংলাদেশ লাভের মুখ দেখতে পারছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাছাড়া আন্তর্জাতিক সেবার সাথে বিমান তাল মিলিয়ে চলতে পারছে না বলে লোকসানের পাশাপাশি বিমানের ঋণের পরিমান দিন দিন বাড়ছে।অর্থনৈতিক সমীক্ষার তথ্যানুযায়ী, ২০০০-২০০১ থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছরে মাত্র ৩ বছর নামেমাত্র লাভ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আর বাকি নয় বছর লোকসানের সঙ্গে বসবাস করেছে বিমান খাত।জানা যায়, বিমানের বহির্গমন যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। রাজস্ব বেড়েছে বিমানের কার্গো পরিবহন, গ্রাউন্ড হ্যন্ডলিং এবং আনুষঙ্গিক খাতগুলো থেকেও। কিন্তু এগুলোর কিছুই কমাতে পারেনি লোকসানের পরিমাণ।বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা যায়, এ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে অভ্যন্তরীণ ২টি এবং আর্ন্তজাতিক ১৫টি গন্তব্যে সার্ভিস পরিচালনা করছে।

আন্তর্জাতিক গন্তব্যের মধ্যে বিমান সার্কভুক্ত দেশে ২টি, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ৩টি, মধ্যপ্রাচ্যে ৮টি এবং ইউরোপে ২টি গন্তব্যে সার্ভিস পরিচালনা করে আসছে।সূত্রে আরো জানা যায়, বিমান বহরে মোট ১৩টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে একটি বি ৭৪৭-৪০০, দুইটি বি ৭৭৭-৩০০ইআর, চারটি ডিসি ১০-১৩-৩০, তিনটি এয়ারবাস ৩১০-৩০০, দুইটি বি৭৩৭-৮০০ এবং একটি এফ২৮।প্রধানত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করে বিমান বাংলাদেশ। এছাড়াও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও এর কার্যক্রম পরিচালিত হয়।বিশ্বের প্রায় ৪২ টি দেশের সাথে এর আকাশ সেবার চুক্তি থাকলেও মাত্র ১৫টি দেশে এর কার্যক্রম পরিচালনা করে।কেন এই লোকসান, তা ব্যাখ্যা করতে নারাজ বিমান কর্তৃপক্ষ। আর বিশ্লেষকরা এজন্য দুষছেন বিমানের অদক্ষতাকে।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন,‘দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার কথা। কিন্ত আমাদের দেশের চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। রাষ্ট্রের উন্নয়নে ভূমিকা তো রাখছেই না, বরং অধিকাংশ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানই এখন রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান বলেন,‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স শুধু ব্যবসায়িকভাবে পরিচালিত হয় না, সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে।’মন্ত্রী আরো বলেন,‘বিশ্ব বাজারে উড়োজাহাজের জ্বালানি তেলের দামের ঊর্ধ্বগতি, বিমান বহরে বিদ্যমান পুরানো উড়োজাহাজের অধিকতর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়, লিজ উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনায় লিজ রেন্ট প্রভৃতি কারণে বিমানের সমস্যা রয়ে গেছে।

তবে সমস্যা মোকাবিলায় আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top