সকল মেনু

হোটেলে নিয়ে ‘দেবরের’ জননাঙ্গ কর্তন, ‘ভাবি’ রিমান্ডে

স্বামীর ছোট ভাই সামিউলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ফাতেমা আক্তার। স্বামীকে তালাক না দিয়েই ২০১৯ সালে দেবরকে বিয়ে করেন ফাতেমা। গোপনে শারীরিক সম্পর্ক করতেন দুজনে।

সামিউল তাঁর স্টিলের প্লেনশিটের দোকানের চাকরির টাকাও রাখতেন ফাতেমার কাছে। গত মাসে সামিউলকে বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেন পরিবারের সদস্যরা। আর তখনই বাঁধে বিপত্তি।

সামিউলের বিয়ের ব্যাপারে সম্মতি দেননি ফাতেমা। এই নিয়ে ঝামেলাও তৈরি হয় দুজনের মধ্যে। কিন্তু বাড়ির চাপে সামিউল কোনো উপায় না দেখে ফাতেমার কাছে তাঁর জমানো টাকা ফেরত চান। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ফাতেমা।

গত ৯ নভেম্বর সামিউল ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাসা থেকে কাজের উদ্দেশে বের হলে ফাতেমা তাঁকে ফোন দিয়ে জানান, তিনি রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবাজারে কেনাকাটা করে পীর ইয়ামেনি মার্কেটের সামনে যাবেন। সেখানে গেলে সামিউলকে তাঁর জমানো টাকা দেবেন।

সামিউল সেই টাকা নেওয়ার জন্য পীর ইয়ামেনি মার্কেটের সামনে যান। তখন ফাতেমা আক্তার তাঁকে জানান, রাস্তায় পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া ঠিক হবে না। এরপর ফাতেমা সামিউলকে পীর ইয়ামেনি মার্কেটের আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান।

হোটেলের ৪১৪ নম্বর কক্ষে নেওয়ার পর সামিউলকে চেতনানাশক স্প্রে করে অজ্ঞান করা হয়। তারপর তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে জননাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। কাটার পর ফাতেমা তাঁর অজ্ঞাত দুই-তিনজন সহযোগীকে নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে সামিউলকে ন্যাশনাল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা না হওয়ায় তাঁকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। মিটফোর্ডেও চিকিৎসা না হওয়ায় সর্বশেষ সামিউলকে আল মানার হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার সামিউলের মেজ ভাই আফজাল হোসেন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় হত্যা চেষ্টার মামলা করেন। রাতেই মামলার প্রধান আসামি ফাতেমা আক্তারকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পশ্চিমদি গ্রামের বাবার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। মামলাটির তদন্ত করছেন শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অমল কৃষ্ণ দে। তিনিই আজ বুধবার পরিবারের বরাত দিয়ে এনটিভি অনলাইনকে এসব তথ্য জানান।

অমল কৃষ্ণ দে বলেন, বুধবার ফাতেমাকে আদালতে তোলা হয়। মামলা তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। পরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঞা শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আমি বিষয়টির অধিকতর তদন্তের জন্য ফাতেমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top