হটনিউজ ডেস্ক:
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা না করে বিএনপিকে নিজেদের ঘর সামলাতে বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিতে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রগতিশীল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী)।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ অনেক কিছুতে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক সূচকে ভারত ও পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছে। এই যে পদ্মা সেতু যুক্ত হয়ে গেল, এ বিষয়ে সবাই ইতিবাচক কথা বলছে। কিন্তু বিএনপি কিছুই বলছে না। তারা শুধু আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক কথা বলে যাচ্ছে।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদকে দলের কারণ দর্শানোর নোটিশ ও তাঁর জবাবের প্রসঙ্গ টেনে কথা বলেন হাছান মাহমুদ। তিনি বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, আওয়ামী লীগের সমালোচনা না করে নিজেদের ঘর সামলান।
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ১৪ ডিসেম্বর হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও দলের আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে নোটিশ করা হয়। শওকত মাহমুদ আগেই জবাব দেন। হাফিজ উদ্দিন গতকাল শনিবার সকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নোটিশের জবাব পাঠানোর পর বনানীতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজ উদ্দিন আহমদ জানান, কারণ দর্শানোর নোটিশে আক্রমণাত্মক ভাষায় কৈফিয়ত তলব করায় তিনি অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেছেন।
একজন ভাইস চেয়ারম্যানকে একজন যুগ্ম মহাসচিব কারণ দর্শাতে নোটিশ দিতে পারেন কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁকে ১১টি বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়, সব কটির জবাব দিয়েছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতা দখল করে হাট বসালেন, তখন যাঁরা সেই হাটে ছিলেন, এখন তাঁরাই বিএনপির বড় নেতা।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ এনে যেসব বিশিষ্ট নাগরিক রাষ্ট্রপতি বরাবর চিঠি দিয়েছেন, তাঁদের নিয়েও কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যাঁরা চিঠি দিয়েছেন, তাঁরা সবাই বিএনপি ঘরানার। নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষ থেকে গতকাল আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ তদন্ত করে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন তাঁরা। তাঁরা রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিতভাবে এ দাবি জানিয়েছেন। তাতে বলা হয়, বর্তমান ইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিভিন্নভাবে গুরুতর অসদাচরণে লিপ্ত। তাঁরা গুরুতর আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন, যা অভিশংসনযোগ্য অপরাধ। ১৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বরাবর দেওয়া আবেদনে কমিশনের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়, তা সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।