নিজস্ব প্রতিবেদক:

পিছিয়ে পড়া সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী পাটনী সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসতে ভার্চুয়াল ফোরামের যাত্রা শুরু হয়েছে।একদল উদ্যমী তরুণ-তরুণীর উদ্যোগে গত কয়েক মাস আগে পাটনী কমিউনিটি ভার্চুয়াল ফোরামের যাত্রা শুরু হয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাইরের পাটনী সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠীর জন্যও কাজ করবে ফোরামটি।

এ ফোরামের স্বপ্নদ্রষ্টা ইন্দ্রজিত দাস ও চন্দ্রা দাস জানান, যে প্রকৃতপক্ষে পাটনী কমিউনিটি বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতের ৪৭ জনসহ প্রায় ৮ শতাধিক সদস্য রয়েছে এই ফোরামের অধীনে।তিনি আরো বলেন, সুযোগের অভাবে পাটনি কমিউনিটির সদস্যরা শিক্ষা দীক্ষায় অন্যান্য সম্প্রদায় থেকে অনেকটা পিছিয়ে তবে সুযোগ পেলে এরা অন্য কোন সম্প্রদায় থেকে পিছিয়ে নেই সেটা ইতিমধ্য প্রমাণিত। বর্তমানে এই সম্প্রদায়ের অনেকেই সরকারি বেসরকারি সংস্থায় উচ্চ পদে কর্মরত রয়েছে শিক্ষা দীক্ষায়ও অনেকটাই এগিয়ে। তবে প্রকৃত অর্থে এর সংখ্যা খুব কম। কিছু কিছু এলাকায় বিকল্প পেশা না থাকাই পাটনী কমিউনিটির অনেক সদস্য মানবেতর জীবনযাপন করছে।

তাদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করবে ফোরামটি। বিগত কয়েক মাসে এই ফোরামের কার্যক্রম চোখে পড়ার মতন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফোরামের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে অনেক সামাজিক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলো সম্প্রদায়ের একজন ৭৩ বছরের বৃদ্ধ মহিলাকে প্রতিমাসে ফোরামের পক্ষ থেকে এক হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়। যশোরের একজন গরীব মেধাবী ছাত্রীকে এইচএসসি ভর্তির জন্য ৩ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। একই সম্প্রদায়ের ঝিনাইদহ জেলায় অবস্থিত বিশ্বজিৎ দাস নামক একজন অসুস্থ রোগীকে (কিডনি রোগে আক্রান্ত) ফোরামের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে ।

সদস্যদের প্রয়োজনে রক্তদানসহ নানান সামাজিক কার্যক্রম ফোরামের পক্ষ থেকে চলমান রয়েছে। এই ভার্চুয়াল ফোরামের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন বর্তমান ১৮ জন এডমিন ও মডারেটর এবং তাদের এই কাজে পরামর্শ দিচ্ছেন ১১ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা মন্ডলী আর এই উপদেষ্টা মন্ডলীর নেতৃত্বে রয়েছেন পাটনী কমিউনিটির অহংকার সরকারের মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত সাবেক উপ -পরিচালক ড. সাধন কুমার বিশ্বাস বলেও জানান তিনি।