সকল মেনু

অনুপ্রবেশকারীরাই দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে: কাদের

হটনিউজ ডেস্ক:

দলে অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেয়া যাবে না বলে নেতাকর্মীদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক উপকমিটির উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। তিনি বলেন, আমি একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই– অনুপ্রবেশকারীরাই দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। দুঃসময়ের পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা কখনও দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজ করে না। সম্প্রতি দেখা গেছে, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের জন্য অনুপ্রবেশকারীরাই দায়ী।

তিনি বলেন, দুঃসময়ে দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীরাই দলকে ধরে রাখে। সুসময়ের বসন্তের কোকিল দুঃসময়ে থাকে না। তাই আমি সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে বলব– দলের কোনো স্তরে কোনোভাবেই অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় ও প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকেই বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে আসছে। তার সুদক্ষ নেতৃত্ব ও নিরলস পর্যবেক্ষণের কারণে সরকার শুরু থেকেই করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ ভাইরাসের অতীত ইতিহাস না থাকায় চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ একটি নতুন অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখা দিয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে অল্প সময়ে জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা দানে আমাদের এখন সক্ষমতা তৈরি হয়েছে, যা দিন দিন বাড়ছে।

তিনি বলেন, জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সুযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে পর্যাপ্ত। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও চিকিৎসাসেবার সুযোগ দিন দিন বাড়ছে। দেশে এখন আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা হচ্ছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে আমাদের বিদেশমুখিতা কমিয়ে আনতে হবে। বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোকে রূপান্তর করতে হবে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ কথা সত্য যে, এখনো কোথাও কোথাও স্বাস্থ্যসেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। গ্রামাঞ্চলে এখনো স্বাস্থ্যসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছেনি। দেশরত্ন শেখ হাসিনা চিকিৎসকদের গ্রামমুখী হওয়ার যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা যথাযথভাবে পালন করলে গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবার মান আরও উন্নীত হবে। শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক নয়, চিকিৎসা ব্যবস্থাকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। এ খাতে ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বাড়াতে এবং অনিয়ম দূর করতে সম্প্রতি নেয়া হয়েছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। এসব কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। চিকিৎসা ব্যবস্থা একটি টিম ওয়ার্ক। চিকিৎসক নার্স টেকনোলজিস্ট স্বাস্থ্যকর্মী চিকিৎসা সরঞ্জামসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে গড়ে তুলতে হবে শক্তিশালী টিম ওয়ার্ক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top