হটনিউজ ডেস্ক:
সজিনা একটি অতিপরিচিত পুষ্টি ও খাদ্যগুণ সমৃদ্ধ সবজি। এতে প্রায় ৩০০ রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া শরীরের প্রয়োজনীয় সব ভিটামিনের সাথে অত্যাবশ্যকীয় সব এমিনো এসিড সজিনা পাতায় আছে বলে সজিনাকে ‘পুষ্টির ডিনামাইট’ বলা হয়। সজিনার পাশাপাশি সজিনা পাতা পুষ্টি ঘাটতি পূরণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সজিনা পাতার গুঁড়োরও বিশেষ গুণাগুণ রয়েছে। পাতায় কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন সি এবং কলা থেকে ১৫ গুণ বেশি পটাসিয়াম রয়েছে। এতে দুধের চেয়েও বেশি ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও জিংক রয়েছে। সজিনা পাতাকে শাক হিসেবে খাওয়া হয়। এতে তাদের শ্রমজনিত ক্লান্তি, শরীরের ব্যথা ইত্যাদি দূর হয়।
চলুন জেনে নিই সজনে পাতার কিছু গুণাগুণ:
শাক,ভর্তা হিসেবে খাওয়া যায় মুখে রুচি আসে।
সজনের পাতার (কচি নয়) রস প্রতিদিন নিয়ম করে ৪-৬ চা চামচ খেলে উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।
প্রাথমিক অবস্থায় টিউমার ধরা পরলে তাতে সজনে পাতা বেটে প্রলেপের মতো ব্যবহার করলে টিউমারের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ব্যথা বা আঘাত পেলে দেহের কোনো অংশ ফুলে উঠলে একই উপায়ে তা নিরাময় করা সম্ভব।
সজনে পাতা ১/২ মগ পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি দিয়ে ভালো করে প্রতিদিন কুলকুচো করতে হবে। এতে মাড়ির সকল সমস্যার সমাধান হয়।
পাতার শাক খেলে জ্বর ও যন্ত্রণাদায়ক সর্দি আরোগ্য হয়।
অপুষ্টি হলো অন্ধত্বের অন্যতম কারণ। অন্ধত্ব নিবারণে প্রচুর –এ ভিটামিন সমৃদ্ধ সজনে পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন Indian royal common wealth society for blind.
বেশ কয়েকটি প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে যে সজনে ও সজনে পাতায় পাওয়া ইনসুলিন জাতীয় প্রোটিন রক্তে শর্করাকে হ্রাস করতে পারে। পাতায় পাওয়া উদ্ভিদের রাসায়নিকগুলি শরীরের চিনিকে আরও ভালভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে সহায়তা করে এবং এটি শরীর কীভাবে ইনসুলিন নিঃসরণ করে তা প্রভাবিত করতে পারে।যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী।
ল্যাব পরীক্ষায় দেখা গেছে, সজনে পাতার নির্যাস অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার কোষগুলোর বৃদ্ধি ধীর করে দেয় এবং কেমোথেরাপি আরও ভালভাবে কাজ করতে সহায়তা করে। অন্যান্য ল্যাব স্টাডিতে দেখা গেছে যে সজনে পাতা, বাকল এবং শিকড়গুলির ক্যান্সার বিরোধী প্রভাব রয়েছে যা নতুন ওষুধের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
কিছু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, সজনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য-উদ্দীপক রাসায়নিকগুলো মস্তিষ্কের স্ট্রেস এবং প্রদাহ নিরাময় করতে পারে।
এছাড়া করোনার এই ক্রান্তিকালে সবাই বলছে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য। এই সজনে কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও অনন্য ভূমিকা পালন করে।
লেখা- হাবিবা নাজলীন লীনা; শিক্ষানবিশ, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।