সকল মেনু

পুলিশের সঙ্গে টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ যুবক নিহত

হটনিউজ ডেস্ক:

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- সাদ্দাম হোসেন (২২) ও আবদুল জলিল (৩২)।

পুলিশের দাবি, নিহত দুজন তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ও পলাতক আসামি। সাদ্দামের নামে ইয়াবাসহ ১৭ মামলা এবং জলিলের নামে ১৩টি মামলা রয়েছে। নিহত সাদ্দাম হোসেন উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের মৃত সুলতান আহমদ ওরফে চায় বাদশার ছেলে ও আবদুল জলিল (৩২) হোয়াইক্যং পশ্চিম মহেশখালীয়াপাড়ার মৃত অলি আহাম্মদের ছেলে।

সোমবার রাত ১টার দিকে উপজেলা হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কম্বোনিয়াপাড়ার বড়ছড়ায় উত্তরে খালের পাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, রাত ৮টার দিকে মৌলভীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকসহ পলাতক আসামি সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর সাদ্দামকে নিয়ে রাত ১টার দিকে ইয়াবা, অস্ত্র উদ্ধারে উপজেলা কম্বোনিয়া বড়ছড়ার মোহাম্মদ হাসান মেম্বারের বাড়ির উত্তরে খালপাড়ে পৌঁছালে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান, কনস্টেবল অভিজিৎ দাস ও মো. এমরান আহত হন। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

উভয়পক্ষের গোলাগুলির সময় পালাতে গিয়ে সাদ্দামসহ আবদুল জলিল গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যান।

গুরুতর আহত সাদ্দাম ও জলিলকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে সেখানে চিকিৎসাধীন তাদের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

পুলিশের আহত তিন সদস্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবাবড়ি, দুটি দেশীয় এলজি, ১৩টি গুলি ও এক লাখ ৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, নিহত দুজন পলাতক আসামি ও তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী। সাদ্দামের নামে ইয়াবাসহ ১৭ মামলা ও জলিলের নামে ১৩টি মামলা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top