সকল মেনু

২ ডাক্তারের পরকীয়ার খবরে স্বাস্থ্য বিভাগে তোলপাড়

রিপন হোসেন,যশোর থেকে : যশোর আড়াইশ’ বেড জেনারেল হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মনির হাসান ও ডাক্তার ইলাবতী মন্ডল পরকীয়ার খবরে যশোরের স্বাস্থ্য বিভাগে শুরু হয়েছে ব্যাপক তোলপাড় । হাসপাতালের সীমানা ছাড়িয়ে এ খবর পৌঁছে গেছে যশোর পুলিশ প্রশাসনের কান পর্যন্ত। খবরটি নিয়ে বিব্রত স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি স্বাচিপ ও ড্যাব কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক করেও কোন সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাচিপ নেতারা। এদিকে ডাক্তার মনির হাসানের বিরুদ্ধে ডাক্তার ইলাবতী মন্ডলসহ একাধিক নারীতে আসক্তির অভিযোগ তুলে স্ত্রী লাইলী ইয়াসমিন তার উপর শারিরিক নির্যাতন ও মারপিটের অভিযোগ এনেছেন। একই সাথে লাইলী ইয়াসমিন তার ঘর ভাঙ্গার অভিযোগে ডাক্তার ইলাবতী মন্ডল , ডাক্তার মনির হাসান ও ডাক্তার হিমাদ্রী শেখর সরকারের বিরুদ্ধে যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। যার নম্বর ৬০০। তারিখ ১৫ই আগষ্ট । রাত ১০টা । তবে লাইলীর অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই উল্লেখ করে ডা. ইলা মন্ডল বলেছেন, তিনি একজন সন্দেহ বাতিক মহিলা। সে শুধু আমাকে নয়, তার স্বামী ডাক্তার মনির হাসানকে জড়িয়ে হাসপাতালের আরো একাধিক মহিলা ডাক্তারের পরকীয়ার খবর রটিয়েছে। তিনি বলেন এর জন্য ডাক্তার মনির হাসান দায়ী। কারন সে একজন চরিত্রহীন পুরুষ। এদিকে ডাক্তার মনির হাসানের বক্তব্য হচ্ছে সে স্ত্রী কর্তৃক মানসিক ও শারিরিক নির্যাতনের শিকার। তার স্ত্রী লাইলী একজন মানসিক রোগী। সে অকারনে তাকে সন্দেহ করে। কোন নারীর সাথে কথা বলতে দেখলেই সে ভাবে তার সাথে আমার প্রেমজ সম্পর্ক আছে। যা বাস্তবে অসম্ভব। তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে লাইলী ইয়াসমিন বলেন, ডাক্তার মনির হাসান একজন চরিত্রহীন । নারী দেখলেই তার মাথা ঠিক থাকে না। তার কাছে তার নারী সহকর্মীরাও নিরাপদ নয়। রোগী দেখার নাম করে সে বহু মেয়ের সর্বনাশ করেছে। এই চরিত্রহীনতার কারনে তাকে জরুরী বিভাগের দায়িত্ব থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে অব্যাহতি দেয়। আরএমওর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়ে সে একাধিক নার্সের সর্বনাশ  করেছে ।কিন্তু  মানসম্মান আর চাকরীর ভয়ে তারা কেউ মুখ খুলতে পারেননি। নিরবে তাদের অনেকে এসব সহ্য করেছেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে গেলে তাকে সে দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়। সন্তান আর সংসারের কথা ভেবে এতো দিন চুপ করে ছিলাম। যখনই এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি তখন আমার উপর চলেছে মারাতœক নির্যাতন। গত ৫ /৭ বছরে বিনা মারপিটে আমার একটি দিনও পার হয়নি। তার পরও স্বামী আর সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পরিস্থিতি দিন দিন সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই শেষ চেষ্টা হিসেবে তিনি থানা পুলিশ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করেন।

প্রাপ্ত সূত্রে জানা গেছে, যশোরের শার্শা উপজেলার ছেলে মনির হাসান ২০০৮ সালে যশোর আড়াইশ’ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ করার সুবাধে অল্প সময়ে তিনি অঢেল অর্থ বিত্তের মালিক বনে যান। পূর্ববর্তী কর্মস্থলেই তিনি রাজনৈতিক পরিচয়ে অনেক অবৈধ সুযোগ সুবিধা নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। একই সাথে ক্ষমতা ও অর্থের জোরে তিনি দ্রুত নারী আর মদের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। ফলে পূর্ববর্তী একাধিক কর্মস্থলে তিনি নানা ভাবে অপমানিত হয়ে বিভাগীয় শাস্তি ভোগ করেন। তবে নিজ এলাকায় পোষ্টিং হয়ে আসার কারনে ডা. মনির এবার ধরাকে সরা জ্ঞান করতে শুরু করেন। হাত মেলান যশোর জেনারেল হাসপাতালের কতিপয় চিহ্নিত দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তার সাথে। আর এই সুযোগে ডাক্তার মনিরের  অপকর্মের মাত্রা বেড়ে যায় বহু গুনে। তারই ধারাবাহিকতায় সে তার একাধিক নারী সহকর্মীকে নানা ভাবে ত্যক্ত বিরক্ত করে তোলেন। অনেকে ধুরন্ধর এই ডাক্তারের প্রলোভনে পড়ে ইতিমধ্যে তাদের মুল্যবান সম্পদ হারিয়ে বসেছে। আর যারা রাজি হয়নি তাদেরকে পোহাতে হয়েছে নানা রকমের ভোগান্তি আর শাস্তি। গত ২ বছর আগে জরুরী বিভাগের ইনচার্জ হিসেবে নিজ অফিস কক্ষে যশোরের একটি সরকারী কলেজের একজন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার কথা বলে শারিরিক ভাবে নির্যাতন করেন। খবর পেয়ে ওই শিক্ষার্থীর বন্ধুরা পর দিন ডা. মনিরকে বেদম মারপিট করেন। এ ঘটনার পর ডাক্তার মনিরকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিছু দিন পর তাকে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলে তিনি আবারও স্বমূর্তিতে আবিভূত হন। তিনি হাসপাতালের নার্সিং ইনস্টিটিউটের দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্স এবং ছাত্রী নার্সদের তার কক্ষে সময়ে অসময়ে ডেকে তিক্ত বিরক্ত করে তোলেন। এক পর্যায়ে তিনি সরকারী ছুটির দিনে একজন সিনিয়র ছাত্রী নার্সকে নিয়ে তার অফিস কক্ষে ফূর্তি করার সময় একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী তা দেখে ফেলেন। ঘটনাটি মুহুর্তে হাসপাতাল এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে কর্মচারীদের তোপের মুখে পড়েন ডা. মনির হাসান। পর দিন কর্তৃপক্ষ তাকে আরএমওর দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করেন। কিন্তু স্বাচিপের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারনে তার বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোন বড় ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে এরকম একজন বিতর্কীত ডাক্তারের ধারাবাহিক কর্মকান্ডে যশোরের স্বাস্থ্য বিভাগের ভাবমূর্তি পড়েছে প্রশ্নের মুখে। তারপরও এসব বিষয় গুলো এতো দিন ছিলো হাসপাতালের আভ্যান্তরীণ বিষয়। কিন্তু সম্প্রতি ডা. মনির হাসানের স্ত্রী লাইলী ইয়াসমিন যশোর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি জিডি করলে ঘটনাটি টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়। উন্মোচিত হয় ডা. মনির হাসানের নোংড়া চরিত্রের নানাদিক। ফলে এই বিষয়টি নিয়ে গত দুই দিনের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে নান অজানা তথ্য। ডা. মনির হাসানের একাধিক সহকর্মী বলেন, মনির হাসানের কুর্কীতির ঘটনা নতুন কোন বিষয় নয়। সে যেখানেই গেছে সেখানেই জন্ম দিয়েছে নানা অঘটন। তার মধ্যে নারী ঘটিত ঘটনাই বেশী। আর এই কারনে তার সংসার বার বার ভাঙ্গার উপক্রম হয়েছে। সম্প্রতি সহকর্মী ডাক্তার গাইনী কনসালটেন্ট ইলাবতী মন্ডল এর সাথে ডা. মনির হাসানের পরকীয়ার খবরে লাইলীর সংসারে ঝড় ওঠে। ডা. মনির ইলা মিত্রের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশী সময় ধরে। পেশাগত দায়িত্ব পালন ছাড়াও না না অজুহাতে তারা প্রায়ই দুইজনে একান্তে সময় কাটান। স্বীমী ডাক্তার হিমাদ্রী শেখরের ব্যস্ততার সুযোগ নেন তার স্ত্রী ডা. ইলা মিত্র। সরকারী চাকরী আর চেম্বারের ডিউটির ফাঁকে ফাঁকে এই ডাক্তার যুগল প্রায়ই বেরিয়ে পড়েন লং ড্রাইভে। আবাসিক হোটেল, পর্যটন কমপ্লেক্সসহ নানা স্থানে তাার একান্তে মিলিত হন – এমন সব অভিযোগ তুলে লাইলা ইসায়মিন বহুবার মনিরের সংসার ছেড়ে পিতৃলয়ে চলে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু ২টি সন্তানের ভবিষ্যত ভেবে তিনি স্বামীর এই দুঃশ্চরিত্রতা মেনে নিয়েছেন বার বার। কিন্তু সম্প্রতি ডা. ইলা মন্ডল ও ডা. মনির হাসানের মেলামেলা সব সীমা ছাড়িয়ে গেলে তা প্রতিরোধে আত্তিয় স্বজন, ডাক্তার যুগলের সহকর্মী আর স্থানীয় রাজনৈতিক নেতার স্মরনাপন্ন হন লাইলী ইয়াসমিন। আর এই অপরাধে ডাক্তার মনির হাসানের হাতে মারাতœক ভাবে নিযাতিত হতে হয় লাইলী কে। সর্বশেষ গত ১৫ই আগষ্ট রাতে ডা. ইলা মন্ডল সব বাঁধা পেরিয়ে পৌঁছে যান ডা. মনির হাসানের হাসপাতালের সরকারী কোয়াটারে। তিনি ডা. মনিরের উপস্থিতিতে লাইলীকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। নিজের সামনে স্ত্রীকে একজন বাইরের লোক নির্যাতন করলেও প্রেমের টানে ডা. মনির থাকেন নিরব। ফলে লজ্জা আর অপমানে সব সম্পর্কের ইতি টানতে মরিয়া হয়ে ওঠেন লাইলী ইয়াসমিন। কিন্তু প্রতিবেশীদের বাঁধার মুখে শেষ পর্যন্ত তিনি তার স্বামী ডা. মনির হাসান, তার প্রেমিকা ডা. ইলা মিত্র ও তার স্বামী ডা. হিমাদ্রী শেখরকে অভিযুক্ত করে যশোর কোতয়ালী থানায় একটি জিটি এন্ট্রি করেন। ঘটনার পর এই জিডি তুলে নিতে ডা. মনির ও ডা. ইলা মিত্র নানান ভাবে তাকে চাপ দিচ্ছেন বলে জানান লাইলী ইয়াসমিন। তিনি বলেন, তার স্বামীর কাছে তার সন্তান বা নিজের কোন মুল্য নেই। ডা. মনির তার প্রেমিকা ডা. ইলা মন্ডলের কথায় ওঠে আর বসে। কাজের অজুহাতে তারা দুইজন ঘন্টার পর ঘন্টা একত্রে কাটান। বিষয়টি জেনেও তিনি দীর্ঘ দিন মুখ বুঝে ছিলেন। স্বামীকে তিনি সংশোধন করার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করেন। কিন্তু তার প্রেমের রশি এতো শক্ত ছিলো যে তা তিনি ছিন্ন করতে পারেননি। উল্টো তার ১৫ বছরের সংসার এখন ভাংতে বসেছে। তিনি বলেন, এই ডা. ইলা মিত্রের পরামর্শে ২০১১ সালে মতের বিরুদ্ধে ডা. মনির তার স্ত্রীকে ডিএনসি করেন। ডা. নার্গিস আক্তার ইলা মন্ডলের পরামর্শে ডিএনসি অপারেশনের নামে লাইলী ইয়াসমিনের ইউট্রাষ্ট্র ফেলে দেন। ফলে স্ত্রীর মর্যাদা হারান ২ সন্তানের জননী লাইলী ইয়াসমিন। পরে কিছুটা সুস্থ্য হলে তিনি এই সর্বনাশের খবর পান। কিন্তু ততক্ষনে সব শেষ। তার পর থেকে লাইলী ইয়াসমিন স্ত্রী হিসেবে ডা. মনিরের শারিরিক চাহিদা ঠিক মতো পূরণ করতে পারছেন না। আর এই সুযোগ নিচ্ছেন ডা. ইলা মিত্র। তিনি দিনের পর দিন ডা. মনিরকে ভোগ করছেন বলেও দাবি করেন লাইলী ইয়াসমিন। আর ডা. ইলা মিত্রের কাছে সব কিছু পেয়ে সে এখন তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। ফলে তার ও তার ২ সন্তানের কপাল পুড়ছে। সারা দিন আর গভীর রাত পর্যন্ত ইলার সাথে সময় কাটিয়ে ঘরে ফিরে ডা. মনির তার স্ত্রী আর সন্তানের গায়ে হাত তুলতে দ্বিধা করে না। লাইলী ইয়াসমিন জানান, তার স্বামীর পর নারীতে আসক্তির ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এর আগে দড়াটানা হাসপাতালের চেম্বারে একজন সিস্টারকে নিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় আটক হন। কিন্তু সব কিছু সহ্য করেছি সন্তান আর সংসারের দিকে তাকিয়ে। কিন্তু বর্তমানে ডা. ইলা মিত্রের কারনে তার সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হচ্ছে। এখন হয়তো তার সংসার আর টিকবে না। তিনি বলেন, মনিরের তুলনায় ইলা মন্ডল বয়সে বড়। সে আমার বড় বোনের মতো। কিন্তু তার কারনে আজ আমি সংসার আর সন্তান হারাতে বসেছি। ফলে আমার হারানোর কিছু নেই। তিনি বলেন এই ঘটনা হাসপাতালের সবাই জানে। কিন্তু কেউ কোন বিচার করছে না দেখে বিষয়টি তিনি জেলা আওয়ামীলীগের একজন শীর্ষ নেতাকে বলতে বাধ্য হন। ওই নেতা সব ঘটনা শুনে ডা. মনির হাসানসহ একাধিক ব্যক্তিকে তিনি ডেকে সাবধান করেন। বিষয়টি দ্রুত মীমাংসা করারও তাগিদ দেন। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। ওই ঘটনার পর ডা. ইলা ও মনির আরো বেশী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। সে তাকে মারপিট করে বার বার ঘর থেকে বের করে দেন বলেও লাইলী দাবি করেন। লাইলী আশংকা করেন পরিস্থিতি দ্রুত যে ভাবে মোড় খাচ্ছে তাতে তিনি জীবন সংহারের আশংকা করছেন। তিনি বলেন, যে কোন সময় তাকে ও তার ২ সন্তানকে ডা. মনির ও ডা. ইলা ও তাদের ভাড়াটে গুন্ডারা বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। তিনি মৃত্যু আতঙ্কে ভুগছেন বলেও দাবি করেন। স্ত্রীর এসব অভিযোগ সম্পর্কে ডা. মনির হাসান বলেন, তার স্ত্রী মানসিক রোগী। সে সব সময় অকারনে তাকে সন্দেহ করে। তিনি নিজেকে সজ্জন হিসেবে দাবি করে বলেন, ডা. ইলা মন্ডলের সাথে তার কোন অবৈধ সম্পর্ক নেই। সহকর্মী আর প্রতিবেশী হিসেবে যতটুকু সদ্ভাব থাকার কথা তার বাইরে কোন কিছু নেই। স্ত্রী জিডি প্রসঙ্গে জিঙ্গাসা করলে তিনি বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বলেন, সে নয় বরং তার স্ত্রীর চলাফেরা বেপরোয়া। তার অনুপস্থিতির সুযোগে সে বিভিন্ন স্থানে এলামেলো ভাবে ঘুরে বড়ায়। তার বন্ধুর অভাব নেই। সে রান্না বান্না পর্যন্ত করে না। মান সম্মানের ভয়ে সব সহ্য করেছি। সে প্রায়ই বাজারসহ নানা স্থানে কাদের সাথে কিভাবে সময় কাটায় তা খুঁজে দেখার আহবান জানিয়ে বলেন, তার কারনে কর্মস্থলে চাকরি করার উপায় নেই। প্রতিবেশীদের সাথে নেই কোন সম্পর্ক। সবাই তাকে ঘৃণা করছে। পিতা মাতা আরআত্তিয় Jessore dr monir Hossen Pic স্বজনের সাথে তার কথাবার্তা পর্যন্ত বন্ধ। স্ত্রীর মন রক্ষা করতে গিয়ে পেশাগত ভাবে বার বার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন দাবি করে ডা. মনির বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিচ্ছে তাতে করে ওই নষ্ট মহিলার সাথে একঘরে বসবাস করা যায়না। কিন্তু শুধু সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি এখনো তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। তবে সে ইচ্ছা করলে চলে যেতে পারে। ডা. ইলা মিত্র এই প্রসঙ্গে বলেন, ডা. মনির আমার জুনিয়র। আমার স্বামী সংসার আছে। আমরা দুই জনই ডাক্তার। কি কারনে আমি মনিরের প্রতি আসক্ত হবো তা আপনাদের খুজে বের করতে হবে। আসলে মনিরের বউ একজন সন্দেহবাতিক মহিলা। সে অকারনে আমাকে ও মনিরকে জড়িয়ে মিথ্যা সন্দেহ করছ্ েকুৎসা রটাচ্ছে। জিডি প্রসঙ্গে বলেন, এ বিষয়ে লাইলা বিস্তারিত বলতে পারবে। তিনি বলেন ডা. মনির ও আমাকে জড়িয়ে স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করার বিষয়ে গত ১৫ তারিখে স্বামী ডা. হিমাদ্রী কে সাথে নিয়ে লাইলার বাসায় যায়। সে সময় ডা. মনিরও বাসায় ছিলেন। তার সামনেই তার স্ত্রী আমাকে দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। সে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি সহ্যের বাইরে গেলে আমি তার বাসা থেকে বের হয়ে আসি। আমার স্বামী ডা. হিমাদ্রী, ডা. শামীম আহম্মেদসহ অন্যরা কথা বলতে থাকেন। অথচ পর দিন শুনলাম আমরা নাকি তার সংসার ভাঙতে গিয়েছি। সে আমাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছে। তিনি এ ব্যাপারে সংবাদ পরিবেশন না করার দাবি জানান। এদিকে দুই ডাক্তারের পরকীয়ার খবর প্রকাশ না করার শর্তে যশোরের একাধিক স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকরা অর্ধ লাখ টাকার বানিজ্য করেছেন দাবি করে হাসপাতালের একাধিক ডাক্তার বলেন, এই ধরনের অপকর্মের সাথে যারা জড়িত তাদের শাস্তি হওয়া দরকার। তারা অবিলম্বে এই ঘটনায় অভিযুক্ত ২ ডাক্তারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। এদিকে এই বিষয়ে করনীয় নির্ধারনে গতকাল জেনারেল হাসপাতালের সুপার ডা. সালাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অভিযুক্ত ২ ডাক্তার ছাড়া বাকি সকলেই উপস্থিত ছিলেন। সভা থেকে অবিলম্বে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার ইতি টানার দাবি জানিয়ে বক্তারা সুপারকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। সভা শেষে বিষয়টি লিখিত আকারে স্বাস্থ্য সচিব ও মহা পরিচালককে অবহিত করার পাশাপাশি অবিলম্বে ডা. মনির হাসানকে অন্যত্র বদলীর সুপারিশ করেন সুপার ডা. সালাহ উদ্দিন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top