সকল মেনু

ছেলেকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাবা খুন, মায়ের আঙুল কর্তন

হটনিউজ ডেস্ক:

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ছেলেকে মারধরের প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিবেশীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার বাবা খুন হয়েছেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে তার মায়ের আঙুলও কর্তন করা হয়।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার সাহারবাটী ইউনিয়নের ধর্মচাকী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম ওমর আলী (৫০)। তিনি ধর্মচাকী গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত মজের আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় তিন নারীসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন- ধর্মচাকী গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে বুলু আলী, তার স্ত্রী সবেজান খাতুন, ছেলে জাহিদুল ইসলাম, পুত্রবধূ আয়েশা খাতুন ও বুলুর বড় ভাইয়ের মেয়ে সানজিদা খাতুন।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ধর্মচাকী গ্রামের ওমর আলীর ছেলে পারভেজ আলী ও তার প্রতিবেশীর ছেলে ৩০০ টাকা মজুরিতে একই গ্রামের জাহিদুল ইসলামের শ্রমিক হিসেবে মাঠে গমের খড় (নাড়া) কুড়ানোর কাজ করতেন।

খড়গুলো জাহিদুল ইসলাম গাড়ি করে বিভিন্ন গ্রামে বিক্রি করে আসছিলেন। তবে পারভেজ ও তার সহকর্মীকে জাহিদুল স্বল্প মজুরি দেয়ায় তারা অন্য গৃহস্থের বাড়িতে কাজ করতে যায়।

এ নিয়ে জাহিদ ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার বিকালে পারভেজকে মারধর করেন। ছেলেকে মারধরের বিষয়ে বাবা ওমর আলী রাতে জাহিদুল ইসলামের কাছে বলতে গেলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জাহিদ ও তার বাবা বুলু ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওমর আলীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন।

খবর পেয়ে ওমরের স্ত্রী পারভীনা খাতুন স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে হাতের এক আঙুল কর্তন করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওমর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা বুলুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top