সকল মেনু

সেই আশরাফুলের কনস্টেবল স্ত্রী ও ইন্সপেক্টর গোবিন্দ ‘ক্লোজড’

হটনিউজ ডেস্ক:

সিলেটে ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ মারা যাওয়া পুলিশ কনস্টেবল আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী (এসএমপির কনস্টেবল) এবং এসএমপির রিজার্ভ ইন্সপেক্টর গোবিন্দ শুল্ক দাসকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদেরকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বুধবার দিবাগত রাত ১০টায় বিষয়টি এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা।
জানা গেছে, এসএমপির কনস্টেবল পদে থাকা আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আশরাফুলের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে। ছুটি কাটিয়ে গত ১৮ আগস্ট গ্রামের বাড়ি থেকে কর্মস্থল সিলেটে ফেরার পথে হবিগঞ্জের বাহুবলের মুগকান্দি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান আশরাফুল। এ ঘটনায় ওই সময় অপমৃত্যু মামলা হয়।

তবে গেল ১ সেপ্টেম্বর দৃশ্যপট পাল্টাতে শুরু করে। ওই দিন আশরাফুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন হাতে পেয়ে তার স্বজনরা সেটিতে দুটি ভিডিওক্লিপ পান। ওই ক্লিপ দুটির একটিতে আশরাফুলের স্ত্রীর সঙ্গে রিজার্ভ ইন্সপেক্টর গোবিন্দ শুল্ক দাসের অনৈতিক সম্পর্কের চিত্র ছিল। আরেকটিতে আশরাফুল তার স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী গোবিন্দকেকে মারধর করছেন, এমন চিত্র রয়েছে।

আশরাফুলের স্বজনদের ধারণা, এ মারধরের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আশরাফুলকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে তারা গত ৪ সেপ্টেম্বর সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনারের কাছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার অনুরোধ জানান।

জানা গেছে, আশরাফুলের নিহত হওয়ার বিষয়টি তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।

এছাড়া আশরাফুলের স্ত্রীর সঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশে কর্মরত গোবিন্দ দাসের অনৈতিক সম্পর্কের যে অভিযোগ ওঠে, তা খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর গঠিত এই কমিটির প্রধান করা হয় এসএমপির উপকমিশনার তোফায়েল আহমদকে।

তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কিনা, বুধবার রাতে এমন প্রশ্নে এসএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার জেদান আল মুসা ‘বিষয়টি জানেন না’ বলে মন্তব্য করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top