সকল মেনু

বঙ্গবন্ধু হত্যা রহস্য উদঘাটনে কমিশন গঠনের দাবি

Press-Club-bg20130814042431আছাদুজ্জামান,হটনিউজ২৪বিডি.কম,ঢাকা:পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল রহস্য উদঘাটনে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীরা।বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত এক আলোচনা সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়।বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী, সাংবাদিক এবিএম মূসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক, বিএফইউজে’ সভাপতি আবদুল জলিল ভূঁইয়া, ডিউজে সভাপতি ওমর ফারুক। সভাটি পরিচালনা করেন ডিউজে সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ।হাসানুল হক ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আবারো হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে। ১৫ আগস্টের হত্যাকারীরা আবারো ষড়যন্ত্র করছে। মিথ্যাচার মোকাবেলা না করা গেলে বঙ্গবন্ধুকে দ্বিতীয়বার হত্যা থেকে রক্ষা করা যাবে না। এটা একটা কঠিন সময়। স্বাধীনতা বিরোধীদের মূল কৌশল মিথ্যাচার, অপপ্রচার আর নাশকতার কৌশলকে ব্যবহার করে ধুম্রজাল ছড়াচ্ছে।সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মাঝামাঝি থাকার সুযোগ নেই। যারা সমদূরত্বের নামে দূরে দূরে থাকছেন তারা আত্মহত্যা করছেন। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে কার পক্ষে যাবেন আপনারা। আপনাদের হয় খালেদা জিয়া, তেতুল হুজুরের পক্ষে যেতে হবে নয়তো শেখ হাসিনার পক্ষে আসতে হবে।বঙ্গবন্ধুকে দলীয় কারাগার থেকে মুক্তি দিতে হবে মন্তব্য করে ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধু মরেননি। তিনি আমাদের মধ্যে চির অমর হয়ে থাকবেন। কিন্তু তাকে দলীয় রাজনীতির কারাগার থেকে মুক্ত করে সবার জন্য করে দিতে হবে। তিনি যাতে সব মানুষের কাছে সার্বজনীন নেতা হয়ে থাকেন।জিয়াউর রহমানকে চতুর্থ মীরজাফর হিসেবে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, ১৭৫৭ সালে প্রথম মীর জাফর, ২য় মীর জাফর একাত্তরের আলবদর-রাজাকাররা, ৩য় মীর জাফর মোস্তাক আহমেদ। বাহাত্তরের সংবিধানকে পদদলিত করে, সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্প ছড়িয়ে ৪র্থ মীর জাফর হয়েছেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। আবদুল গাফফার চৌধুরী বলেন, একটি ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী বঙ্গবন্ধুর ছবির পাশে নিজের ছবি লাগান তখন তা বঙ্গবন্ধুর জন্য চরম অপমান। আওয়ামী লীগকে আগেও বলেছি, এখনো বলছি বঙ্গবন্ধুকে দলীয় রাজনীতি থেকে মুক্তি দিয়ে জাতীয় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।তিনি বলেন, কেন আমরা বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতে পারলাম না। এখন এটা একটা গোঁজা মিলের সংবিধান হয়েছে। শেখ হাসিনার উত্থানে আমাদের উত্থান, শেখ হাসিনার পতনে আমাদের পতন তাই সমালোচনা করি।এবিএম মূসা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল। ১৫ আগস্টের হত্যাকারীদের মূল খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য আমরা কেন বেসরকারিভাবে হলেও একটি কমিশন গঠন করছি না? তিনি বলেন, আমার ৬২ বছরের জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল ছিল বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা না করা। সমালোচনা মানে বিরোধিতা নয়। এজন্যই এ সরকারের সমালোচনা করি। যতদিন বেঁচে আছি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বেঁচে থাকবো।আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের সার্বিক বিষয়, চক্রান্তকারী ও ষড়যন্ত্রের মূল রহস্য উদঘাটনে একটি কমিশন গঠন করতে হবে। এর মাধ্যমে লুকায়িত সত্য জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন ব্যক্তির নাম নয়। এটি একটি বিপ্লবের নাম।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান মিলন, ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ বদরুল আহসান, কবি আসাদ চৌধুরী, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবেক মহাসচিব শাহজাহান মিয়া, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি শাহেদ চৌধুরী প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top