সকল মেনু

শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশকে বাঁচিয়েছেন

হটনিউজ ডেস্ক:

দেশকে ধ্বংস করার উদ্দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা মনে করেছিল শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, পুরো পরিবারকে মেরে ফেললে বাংলাদেশ ধ্বংস হবে। এমনকি দশ বছরের শিশু রাসেলকেও হত্যা করা হয়। ওরা পাকিস্তানের দোসর। তাই বাংলাদেশকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর রক্তের ধারা শেখ হাসিনা ক্ষমতা নিয়ে দেশেকে বাঁচিয়েছেন এটা এখন প্রমাণিত।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসেক্লাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শোকের মাস, ষড়যন্ত্রের মাস আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ সালে ইনডেমনিটি অর্ডিনেন্স জারি করা হয়। এর অর্থ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না। এই হত্যা মামলার বিচার পেতে হাইকোর্টেও বেগ পেতে হয়েছে। সাতজন বিচারপতি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার শুনানিতে বিব্রত হয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার তদন্তের সময়ই তার জড়িত থাকার তথ্যটি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান তখন বেঁচে না থাকায় আইনানুযায়ী তাকে অভিযোগ পত্রে আসামি হিসেবে দেখানো যায়নি। একারণে খন্দকার মোশতাককেও বাদ দেওয়া হয়েছিল।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও ছিল। জিয়াউর রহমান সরকার গঠনের পর শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করেছিলেন। তিনি পাকিস্তানের দোসরদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন। এতেই প্রমাণিত হয় না যে, জিয়াউর রহমান আর যাই হোক তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তিনি বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেননি। এই সব কর্মকাণ্ড থেকে আমাদের বুঝে নিতে হবে যে সেইদিন বঙ্গবন্ধু সহ তাঁর পরিবারের ১৭ জন সদস্যকে হত্যা হয়েছিল বাংলাদেশকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য।

মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ, কেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়, তার হত্যার বিচার পেতে কেন ২১ বছর অপেক্ষা করতে হয়, নেপথ্যে কারা ছিল তা নতুন প্রজন্ম জানতে চায়। তাই একটি কশিমন গঠন করা হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যেও নায়কদেও চিহ্নিত কওে শাস্তি দেওয়ার সুযোগ এসেছে। এই সুযোগকে হাতছাড়া করা হবে না।

মন্ত্রী বলেন, এরশাদের সময়, খালেদা জিয়ার সময় দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানো চেষ্টা করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্র থেকে আমরা উঠে এসেছি। এখন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে একটা মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। এটাই ছিল তাঁর পিতার কাছে অঙ্গীকার। তাঁর স্বপ্নই হচ্ছে তাঁর পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। তিনি বলে, বঙ্গবন্ধুর কাছে সকল প্রজন্মের ঋণ আছে। এই ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করতে হবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি বলেন, বাঙালি জাতি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কলঙ্কমুক্ত হওয়ার দিন গুণছে। তাই যারা এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযুষ বন্দোপাধ্যায় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, সাবেক রাষ্ট্রদূত আতিকুর রহমান, সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, সংগঠনের সদস্য সচিব প্রফেসর ডা. মামুন আল মাহতাব প্রমুখ আলোচনা করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top