হট নিউজ ২৪:

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ইনজেকশন দিয়ে ও ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেছে পল্লী চিকিৎসক। ধর্ষক ওই পল্লী চিকিৎসকের নাম সাইফুল ইসলাম (৩২)। সাইফুল ইসলাম ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর চাচাতো ভাই। এই ঘটনায় সাইফুল ইসলামকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল রবিবার সকালে উপজেলার সেজিয়া বাজারের নাজ ফার্মেসিতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। সে সেজিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। সেজিয়া বাজারের নাজ ফার্মেসিতে ডাক্তারি ও ওষুধ বিক্রি করতো ধর্ষক সাইফুল।
জানা যায়, রবিবার সকালে পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামের কাছে চিকিৎসার জন্য পরিবারের কথা মতো নাজ ফার্মেসিতে যায় ওই ছাত্রী। সেখানে গেলে সাইফুল ইসলাম তার শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করে। সেই সঙ্গে একটি ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। এরপর মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ধর্ষণ করে সাইফুল ইসলাম।

স্কুলছাত্রীর মা আরও বলেন, খবর পেয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়ার কথা বলেন। বর্তমানে তার অবস্থা গুরুতর। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পল্লী চিকিৎসক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।