সকল মেনু

‘দেশ ও জাতির কল্যাণে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে’

হটনিউজ ডেস্ক:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশ ও জাতির কল্যাণে গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে সশস্ত্র বাহিনীকে ভূমিকা রাখতে হবে।আজ বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, জাতির পিতা আমাদের জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা করে দিয়ে গেছেন। আমরা এর আলোকে যুগোপযোগী প্রতিরক্ষা নীতিমালা করছি। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমরা সেভাবেই সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন করছি। শেখ হাসিনা বলেন, দেশে এগিয়ে যাচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনীও। আমরা আমাদের উন্নয়নের কার্যক্রমের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ভবিষ্যতে ডিফেন্স কলেজেরও আধুনিকায়ন করা হবে। বাংলাদেশের উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে দরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় দুর্নীতি ও দুর্যোগের দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হলেও বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। দারিদ্র্যের হার কমিয়ে এনেছি।তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এক সময় বিশ্ববাসী দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য চিনত। তবে সে অবস্থা এখন আর নেই। আমাদের জিডিপি বেড়েছে। রাস্তাঘাটের উন্নতি হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। আমরা স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছি, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে। মানুষের আয় এবং জীবনযাত্রার মানও বেড়েছে। সুনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করা ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনেকেই যখন সেতু নির্মাণ থেকে সরে দাঁড়ায়, তখন আমরা বলেছিলাম নিজস্ব অর্থায়নে সেতু করবো। এ একটি সিদ্ধান্তই বিশ্বের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি বদলে দিয়েছে। বিশ্ববাসী এখন জেনেছে আমরাও পারি।রাজধানী ঢাকার সঙ্গে অন্যান্য জেলার এবং সামগ্রিকভাবে পুরো দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে এ কাজে সেনাবাহিনীর সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top