সকল মেনু

সাজাপ্রাপ্ত ২ রয়টার্স সাংবাদিকের মুক্তির আহ্বান জাতিসংঘের

আন্ত: ডেস্ক: রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যার তথ্য সংগ্রহের সময় আটক ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের হাইকমিশনার মিশেল ব্লাচেত। সোমবার ওই দুই সাংবাদিককে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মিয়ানমার।এরপর ব্লাচেত এই আহ্বান জানান। ৩২ বছর বয়সী ওয়া লোন ও ২৮ বছরের কিয়াও সোয়ে ও নামের ওই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ উপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শক ও সংস্থা এই সাংবাদিকদের বেকসুর খালাস দাবি করে আসছিল।

আটক হওয়ার সময়ে ওই দুই সাংবাদিক রাখাইনের ইন দীন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গা হত্যার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। সেনা অভিযানের মধ্যে এই রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্থানীয় অধিবাসী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মিলে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়। রয়টার্স ওই ঘটনার খবর প্রকাশের পর মিয়ানমার প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা হত্যার দায়ে কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মীকে কারাদণ্ড দেয়।

সোমবার রায় ঘোষণার সময় ইয়াঙ্গুনের উত্তর জেলা জজ ইয়ে লউইন বলেন, দুই সাংবাদিক মিয়ানমারের ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘন করেছেন। তাদের সাত বছর কারাদণ্ড দেওয়া হলো। ১২ ডিসেম্বর থেকে তাদের দণ্ড কার্যকর হচ্ছে বলে বিবেচনায় নেওয়া হবে। এরপর ব্লাচেত বলেন,‘তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করার প্রক্রিয়াটি স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। এতে করে মিয়ানমারের সব সাংবাদিকদের বার্তা দেওয়া হলো যে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন না। তাদের সেল্ফ সেন্সরশিপ করতে হবে।’

এদিকে তাদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে দেশটিতে অবস্থিত জাতিসংঘ দফতরও। মিয়ানমারে জাতিসংঘের রেসিডেন্ট অ্যান্ড হিউম্যানিটেরিয়ান কো-অর্ডিনেটর কেনাত অস্তবি বলেন, রয়টার্সের সাংবাদিক ওয়া লন ও কিয়াউ সোয়ি উ’কে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার এবং সাংবাদিক হিসেবে তাদের কাজ অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়া উচিত। আমরা তাদের মুক্তি দেয়ার আহবান অব্যাহত রাখবো।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top