সকল মেনু

আবারও কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে রাজধানী

হটনিউজ ডেস্ক: দুইদিনের গরমের পর আবারও কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে রাজধানী ঢাকা। সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে প্রথমে ধুলোঝড়, পরে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় অফিস ফেরত যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন। ধুলোঝড়ের কবলে পড়েন অনেকেই। ঝড়ের সঙ্গে ছিল বাতাসের প্রচণ্ড দাপট। ঝড়ের পরে রাজধানীর অনেক রাস্তায় পানি জমে মানুষ ও যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎও চলে গেছে রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায়। তবে গাছপালা উপড়ে যাওয়ায় আর বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় রাজধানীর তেজগাঁও এলাকা রাত আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত ছিল ভূতুড়ে এলাকা। আজ বুধবার দুপুরের পর থেকেই আকাশে রোদের তেজ কমতে শুরু করে। বিকেলের আকাশ ছিল মেঘলা। এরপর সন্ধ্যায় শুরু হয় ধুলোঝড়।

গুলশান-২ থেকে লিমন আহমেদ জানান, গুলশান-২ চত্বরে বাস থেকে নেমে ধুলোঝড়ের কবলে পড়েন তিনি। তীব্র বাতাসে পড়ে যান রাস্তায়। পরে উঠে দাঁড়িয়ে একটি ছাউনির নিচে অবস্থান নেন। একই ধরনের অভিজ্ঞতার শিকার হন ওই সময় রাস্তায় থাকা সাধারণ মানুষও। রাজধানীর নাখালপাড়া এলাকার বাসিন্দা তরিকুর রহমান জানান, ঝড়ের কবলে পড়ে ইন্দিরা রোড এলাকার একটি দোকানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন তিনি। ওই সময় ঝড়ের তোড়ে ওই এলাকার একটি গাছ ভেঙে রাস্তায় পড়ে যায়। গাছটি সরাতে না পারায় রাত পৌনে নয়টা পর্যন্ত ওই রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঝড়ের পরে পুলিশের সহযোগিতায় তেজগাঁও এলাকার রাস্তা থেকে গাছ সরাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর আরও অনেক এলাকায় গাছপালা ভেঙে রাস্তা ও বাসা-বাড়ির ওপরে পড়েছে। তবে বৃষ্টি থামার পরে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তেজগাঁও এলাকার রাস্তা থেকে গাছ সরানোর কাজ শুরু করে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, ঢাকা ছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা,বরিশাল এবং পটুয়াখালী অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ ,ঢাকা, মাদারীপুর, ফরিদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, যশোর, কুষ্টিয়া এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে একই বেগে বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। অন্য এলাকায় ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

 

আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, আরও প্রায় ঘণ্টাখানেক (রাত ১০টা পর্যন্ত) দেশের নানা অঞ্চলে এই ঝড়-বৃষ্টি হতে থাকবে। এরপর কমে আসবে ঝড়ের গতি। তিনি বলেন, এই মৌসুমে এই ধরনের ঝড় খুবই স্বাভাবিক। আগামীকালও যদি এই ধরনের বজ্রমেঘমালা সৃষ্টি হয় তাহলে কালও এই ধরনের ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ১ ডিগ্রি। এছাড়া সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রাজারহাটে ৪৩ মিলিমিটার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top