সকল মেনু

প্রধান বিচারপতি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা দিয়ে বাসায় ফিরলেন

হটনিউজ ডেস্ক: প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা ঢাকেশ্বরী মন্দিরে লক্ষ্মীপূজা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল পাঁচটা ৩৫ মিনিটের দিকে তার হেয়ার রোডের বাসা থেকে স্ত্রীসহ মন্দিরের উদ্দেশে রওনা হন। এরপর তিনি ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা দেন। সেখান থেকে পাঁচটা ৫৫ মিনিটে বের হন। ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ম্যানেজার তপন চ্যাটার্জী এ তথ্য জানান। সন্ধ্যা ছয়টা ২৫ মিনিটে বাসায় প্রবেশ করেন প্রধান বিচারপতি । ছয়টা ৪০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ রিডার মাহবুব হাসান তার বাস ভবনে প্রবেশ করেন এবং সাতটা দুই মিনিটে বের হয়ে যান। এর আগে মন্দিরে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর সাক্ষাৎ হয়। রানা দাশ গুপ্ত জানান, প্রধান বিচারপতি সুস্থ আছেন, স্বাভাবিক আছেন। জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি এসেছিলেন। ১৫ মিনিট ছিলেন। তার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি।’ মন্দিরে থাকাবস্থায় প্রধান বিচারপতি অসুস্থ ছিলেন কিনা, এমন প্রশ্নে সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘তিনি তো হেঁটে গেলেন, হেঁটে আসলেন।’প্রধান বিচারপতির বাসা থেকে বের হচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের রিডার মাহবুব হাসানএর আগে বৃহস্পতিবার আনুষঙ্গিক কাজ সারতে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনে যান। যদিও হাইকমিশনে এসকে সিনহার যাওয়ার তথ্য নিশ্চিতের বিষয়ে দায়িত্বশীল কোনও পক্ষই উদ্ধৃত হয়ে বক্তব্য দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

রাষ্ট্রীয় একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় প্রধান বিচারপতি তার বাসভবন থেকে বের হয়ে পুনরায় ফিরে আসেন দুপুর দেড়টার দিকে। পুরোটা সময় তার সঙ্গে নিয়মিত টহল বাহিনী ছিল। প্রধান বিচারপতি তার সাদা রঙের গাড়িটিই ব্যবহার করেছেন।

কূটনৈতিকসূত্রে জানা গেছে, সাধারণত কোনও ব্যক্তি ভিসা সংক্রান্ত আবেদন করলে এ সংক্রান্ত তথ্য তৃতীয় কোনও পক্ষকেই জানানো হয় না। সে কারণেই সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে এ বিষয়ে মন্তব্য চাওয়া হয়নি।

জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে তিনি আমার সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। আমি জানি না। আপনার মুখেই প্রথম শুনলাম।’

প্রধান বিচারপতির সম্ভাব্য বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কোনও পক্ষই কথা বলতে চায়নি। তবে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি তো এর আগে বহুবার অস্ট্রেলিয়া, কানাডায় গিয়েছেন। আমার জানা মতে, তার এক মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন এবং এক মেয়ে কানাডায় থাকেন। এসব দেশে এর আগেও উনি গিয়েছেন। এখন উনি দেশের বাইরে যাবেন কিনা, গেলে কোথায় যাবেন সেটা সম্পূর্ণ ওনার নিজস্ব বিষয়। কাজেই এগুলো নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করাই ভালো।’ বিকালে যোগাযোগ করা হলে মাহবুবে আলমের মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রধান বিচারপতি প্রথমে অস্ট্রেলিয়ায় এবং পরে কানাডা হয়ে সিঙ্গাপুরে যাবেন। উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর এক মাসের ছুটি চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি পাঠান প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। ওই রাতেই আপিল ডিভিশনের বিচারপতিদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ওয়াহহাব মিঞাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি করে গেজেট প্রকাশ করে আইনমন্ত্রণালয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top