“গত কয়েক দিনে দেশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে আছেন। কিন্তু বন্যা মোকাবেলার জন্য সরকারিভাবে তেমন কোনও তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ”

আজ মঙ্গলবার বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভা এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে চাল বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে বর্তমানে দেশে বন্যাদুর্গতের মাঝে ত্রাণ বিতরণ একেবারেই অপ্রতুল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অথচ বন্যার্ত মানুষের দিকে নজর না দিয়ে ভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশি মাতামাতি করতে দেখা যাচ্ছে বর্তমান সরকারকে। ”

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের বিষয়টি উল্লেখ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, “এটি নিয়ে আওয়ামী লীগ যা করছে তা দেশের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার পরিপন্থী। ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিল করতে ফন্দি-ফিকির করছে সরকার। ইতিমধ্যে তারা (আওয়ামী লীগ) মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও দেখা করেছেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না।
কারণ এটি একটি যুগান্তকারী রায়। ” তিনি বন্যা পরবর্তী সময় রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তা প্রতিরোধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। এ ছাড়া দলের নেতাকর্মীদেরও বন্যার্ত মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব প্রথমে সৈয়দপুর শহরের কাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেওয়া বন্যাদুর্গত ৩২টি পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন। এ সময় নীলফামারী ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ মো. আমজাদ হোসেন সরকার, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. আখতারুজ্জামান, সৈয়দপুর বিএনপির রাজনৈতিক জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, বিএনপি নেতা কাজী মো. একরামুল হক, জিয়াউল হক জিয়া, শাহীন আক্তার শাহিন, আব্দুল খালেক, তারিক আজিজ, জোবায়দুল ইসলাম মিন্টু, পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী মো. মনোয়ার হোসেন হায়দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিএনপি মহাসচিব সৈয়দপুর কলেজ, বাঁশবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারী বন্যার্ত মানুষের মধ্যে চাল বিতরণ করেন।