সকল মেনু

বাতিল হলো আরও দুটি হজ ফ্লাইট

ভিসাসংক্রান্ত জটিলতায় যাত্রী সংকটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আরও দুটি হজ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে এবং বিকাল চারটায় ফ্লাইট দুটি জেদ্দার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বৃহস্পতিবারে সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, যাত্রী সংকটের কারণে ফ্লাইট দুটি বাতিল হয়েছে।

বিমান কর্মকর্তা জানান, বিমান বাংলাদেশ বহন করেছে ২৪ হাজার ৩৮৩ হজযাত্রী; আর সৌদি এয়ারলাইন্স বহন করেছে ২৮ হাজার ১০০ হজযাত্রী।

এ নিয়ে গত কয়েক দিনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২১টি নির্ধারিত হজ ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এছাড়া সৌদি এয়ারলাইন্সের আরও চারটি হজ ফ্লাইটও বাতিল হয়েছে। এভাবে একের পর এক হজ ফ্লাইট বাতিল হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে সব হজযাত্রীকে সৌদি আরবে পৌঁছানোর ব্যাপারে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এবার হজযাত্রীদের জন্য ই-ভিসা চালু করা এবং শেষ মুহূর্তে পুনর্বার হজে যাওয়ার ক্ষেত্রে ফি বাড়িয়ে দেয়ায় ভিসা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রী সংকটের কারণেই মূলত ফ্লাইটগুলো বাতিল হয়েছে। অনেক হজযাত্রী সব প্রস্তুতি নিয়ে এসেও শেষ মুহূর্তে যাত্রা বাতিলের খবর পেয়ে মুষড়ে পড়ছেন। হাজিক্যাম্পে অবস্থান নিয়ে তার অপেক্ষা করছেন বিকল্প ফ্লাইটের।

এবারের হজযাত্রীদের সৌদি আরবে পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে শঙ্কিত খোদ বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির  ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোসাদ্দেক আহমেদ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে  ফ্লাইট পরিচালনাসংক্রান্ত বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং’ বলে মন্তব্য করেছেন।

বিমানের সিইও বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই কঠিন। এখনো সব হজযাত্রীকে পরিবহনের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। পরিস্থিতি উত্তোরণে প্রয়োজনীয় সবকিছুই আমরা করব।’

পরিস্থিতি কাঠিন বুঝাতে তিনি বলেন, আগামী তিন দিনে বিমানের ১২টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট পরিচালনার কথা রয়েছে, কিন্তু এর মধ্যে তিনটি ফ্লাইট বাতিলের ঝুঁকিতে রয়েছে।

মোসাদ্দেক আহমেদ বলেন, ১৯টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ইতোমধ্যে বিমানের ৪০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি এটাকে ক্ষতি বলতে চাই না, কেননা আমরা ব্যবসার জন্য হজ ফ্লাইট পরিচালনা করি না। কিন্তু আমি বলতে পারি, আমরা ৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের সুযোগ হারিয়েছি।’

প্রসঙ্গত, এবছর বাংলাদেশের মোট হজযাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৬৩ হাজার ৬০০ জনকে এবং বাকি ৬৩ হাজার ৬০০ জনকে সৌদি এয়ারলাইন্সের পরিবহনের কথা রয়েছে।v

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top