সকল মেনু

চিরিরবন্দরে পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে জনজীবন অতিষ্ঠ

মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কিবাজিতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গভীর রাতে বৃষ্টি আর দিনের বেলা তীব্র গরমের সাথে পাল্টা দিয়ে চিরিরবন্দরে প্রতিনিয়ত চলছে পল্লী-বিদ্যুতের ভেল্কিবাজী। সামান্য ঝড় আসুক আর না ই-আসুক বিদ্যুতের যাওয়াটা আগে। এতে করে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুনতে হচ্ছে লোকসান। পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে সময়ে-অসময়ে ঘন ঘন লোডশিডিং ও বিদ্যুতের ভেল্কিবাজী চলমান থাকলে ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে। গত ১০ দিন যাবত ঝড় বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত বিদ্যুতের ভয়াবহতার কোন কমতি নেই। প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ বার বিদ্যুত আসা যাওয়া করে। পাশাপাশি লোডশিডিং এর মাত্রার ও কমতি নেই।
বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার কারণে চিরিরবন্দরের রাণীরবন্দর সুইয়ারী বাজার সহ উপজেলা বিভিন্ন হাট-বাজারের সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সর্ব সাধারণের মাঝে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
এমন কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো বিদ্যুত ছাড়া অচল। তন্মোধ্যে ক্লিনিকের এক্স-রে মেশিন, ওয়ার্কসপ, ছাপাখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুত ছাড়া কাজ করা যায় না। এছাড়া কম্পিউটার, ফটোকপি, জুয়েলারী দোকান, কসমেটিক্স, গার্মেন্টস, ব্যাংক-বিমা অফিসগুলোতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের বিদ্যুতের কারণে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ভর্তিকৃত রোগীরা সুস্থ না হয়ে আরও বেশী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। মোকলেছুর রহমানের কম্পিউটার অপারেটর মো. সোহেল রানা জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে কাস্টমার রীতিমত আসে না। আর বিদ্যুৎ ছাড়া জেনারেটরের মাধ্যমে কাজ করলে যে পরিমাণ খরচ হয় তা কাস্টমারদের কাছ থেকে আদায় করা যায় না।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মমতাজ জানান, পবিত্র মাহে রমজানের আর অল্পকয়েক দিন বাকী রয়েছে। যেভাবে লোডশেডিং ও বিদ্যুত ভেল্কিবাজী বৃদ্ধি পেয়েছে এতে করে ব্যবসায়ীরা লাভতো দূরের কথা লোকসান গুনতে হবে। রাণীরবন্দর বাজারের এক সেলুন মালিক পলাশ জানান, বিদ্যুৎ না থাকলে আমাদের দোকানে কোন কাষ্টমার আসে না।
এ ব্যাপারে রানীরবন্দর পল্লী বিদ্যুত সমিতি-১ এর ডিজিএম মো. আশরাফুল হক ,ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের বিষয়ে বলেন,কয়েক দিনের ঝড় বৃষ্টির কারনে বিভিন জায়গায় গাছপালা ভেঙ্গে যাওয়ায় সংযোগ বন্ধ করে কাজ করতে হচ্ছে। তাছাড়া তিনি আরো বলেন, আমাদের ইসিটার ঢাকা থেকে নিয়ন্ত্রয়ন হয় তাই বরাদ্ধ অনুযাযী চাপ বেশী হলে বিদ্যুৎ বন্ধ করতে হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top