সকল মেনু

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস

আছাদুজ্জামান, হটনিউজ২৪বিডি.কম: ১৯৪৯সালের ২৩ জুন ঢাকার কেএম দাস লেনের কেএম বশির হুমায়নের বাসভবন ‘রোজ গার্ডেন’-এ আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করা হয়।
২৪ জুন : সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন আরমানিটোলা মাঠে দলের প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ আগস্ট : দলের প্রথম সাপ্তাহিক মুখপত্র ইত্তেফাক প্রকাশিত হয়।
১৯৫০ সালের ০১ জানুয়ারি : শেখ মুজিবুর রহমান গ্রেফতার।
২৪ জানুয়ারি : হোসেন সোহরাওয়ার্দীর উদ্যোগে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা। সভাপতি মানকি শরীফের পীর এবং সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক ওসমানী।
১৯৫২সালের ২৬ জানুয়ারি : নাজিমুদ্দিনের ঘোষণা উর্দুই হবে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। কারাবন্দী শেখ মুজিব ১৯৫২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হন। মেডিকেলে প্রিজন সেলে থাকা অবস্থায় বাইরের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে আন্দোলন এগিয়ে নেওয়ার দিক-নির্দেশনা দেন।
৩১ জানুয়ারি : তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে ঢাকা বার লাইব্রেরি হলে অনুষ্ঠিত সভায় ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি’ গঠিত।
১৬ ফেব্রুয়ারি : শেখ মুজিবকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর জেলে হস্তান্তর।
২১ ফেব্রুয়ারি : ১৪৪ ধারা ভঙ্গের সিদ্ধান্ত। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মিছিলে গুলি। রফিক, সালাম, জব্বার, বরকত ও অহিউল্লাহ শহীদ।
২২ ফেব্রুয়ারি : প্রতিবাদ মিছিলে আবার গুলি, সফিকুর রহমান শহীদ।
১৯৫৩সালের ০৯ জুলাই : ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পর প্রথম কাউন্সিল অধিবেশন। ভাসানী সভাপতি, শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।
১৪ নভেম্বর : ঢাকায় আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত এবং ২১ দফার খসড়া গৃহীত।
০৪ ডিসেম্বর : যুক্তফ্রন্ট গঠিত। স্বায়ত্তশাসন, ভাষা এবং বাঙালি অধিকার আদায়ের জন্য ঐতিহাসিক ২১ দফা ঘোষণা করা হয়।
১৯৫৪হ ০৮ মার্চ : প্রাদেশিক আইন সভার নির্বাচনে ২১-দফার পক্ষে নিরঙ্কুশ রায়, যুক্তফ্রন্টের বিপুল বিজয়। মুসলিম লীগের ভরাডুবি।
১৯ এপ্রিল : পাকিস্তান গণপরিষদ কর্তৃক বাংলা ও উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা।
১৯৫৫ সালের ২১-২৩ অক্টোবর : পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।
১৯৫৬সালের ০২ মার্চ : গণপরিষদে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান পাস।
৬ সেপ্টেম্বর : পূর্ব বাংলার এবং ১১ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভা গঠন।
১৯৫৭ সালের ১৮ মার্চ : আওয়ামী লীগ থেকে মওলানা ভাসানীর পদত্যাগ। ৩১ মে : মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে শেখ মুজিব সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর : হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে কোয়ালিশন সরকার।
০৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬ থেকে ০৭ অক্টোবর ১৯৫৮ : আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে প্রদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনকাল।
৭ অক্টোবর : পাকিস্তানের মার্শাল ল’ জারি। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ। শেখ মুজিবুরসহ নেতৃবৃন্দ গ্রেফতার।
১৯৫৮সালের ০৭ অক্টোবর : পাকিস্তানে সামরিক আইন জারি, সংবিধান বাতিল। শেখ মুজিবসহ বহু নেতা গ্রেফতার। রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ।
১৯৫৯ সালের ৭ ডিসেম্বর : শেখ মুজিবের মুক্তিলাভ। গোপনে সহকর্মীদের কাছে স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা প্রকাশ।
১৯৬২ সালে স্বাধীনতার লক্ষ্যে শেখ মুজিবের রাজনৈতিক-সাংগঠনিক প্রস্তুতির সূচনা। এ লক্ষ্যে ছাত্র-যুব নেতাদের নিয়ে গোপন নিউক্লিয়াস গঠন।
৩০ জানুয়ারি : সোহরাওয়ার্দী গ্রেফতার। প্রতিবাদে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনের সূচনা।
০৭ ফেব্রুয়ারি : শেখ মুজিবসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের ধরপাকড়।
২৪ জুন : আইয়ুব খানের মৌলিক গণতন্ত্র প্রত্যাখ্যান করে ৯ নেতার ঐতিহাসিক বিবৃতি।
১৭ সেপ্টেম্বর : শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট-বিরোধী আন্দোলন, দুজন নিহত।
০৪ অক্টোবর : রাজনৈতিক দল পুনরুজ্জীবিত না করে আওয়ামী লীগ, ন্যাপ, কেএসপি প্রভৃতি দল মিলে এনডিএফ বা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট গঠন।
১৯৬৩
০৫ ডিসেম্বর : বৈরুতে সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু।
১৯৬৪
১৪ জানুয়ারি : সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।
১৬ জানুয়ারি : শেখ মুজিবের নেতৃত্বে দাঙ্গাবিরোধী প্রতিরোধ। ‘পূর্ব পাকিস্তান রুখিয়া দাঁড়াও’ ইশতেহার প্রচার।
২৫ জানুয়ারি : এনডিএফ ত্যাগ করে আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবন। শেখ মুজিব মূল উদ্যোক্তা। এনডিএফ-পন্থিদের দল ত্যাগ।
১৯৬৬
০৫ ফেব্রুয়ারি : লাহোরে শেখ মুজিবের ৬-দফা দাবি উত্থাপন।
১৮ মার্চ : আওয়ামী লীগ কাউন্সিলে ‘আমাদের বাঁচার দাবি ৬-দফা কর্মসূচি’ অনুমোদন। শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তাজউদ্দিন আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত।
২০ মার্চ : আইয়ুব খানের হুমকি : ৬-দফা নিয়ে চাপাচাপি করলে অস্ত্রের ভাষায় জবাব দেওয়া হবে, গৃহযুদ্ধ হবে।
০৮ মে : শেখ মুজিব ও তাজউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার।
০৭ জুন : ৬-দফা ও বন্দী মুক্তির দাবিতে আওয়ামী লীগের দেশব্যাপী হরতাল। ১০ জন নিহত।
১৭ জুন : ইত্তেফাক পত্রিকা নিষিদ্ধ ঘোষিত।
১৯৬৭
২২ জুন : রেডিওতে সরকারের রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ ঘোষণা।
১৯৬৮
১৭ জানুয়ারি : ১৯৬৬ সালের ৮ মে কারাবন্দী শেখ মুজিবকে ঢাকা জেল থেকে মুক্তি দিয়ে জেলগেটে আবার গ্রেফতার করে ঢাকা সেনানিবাসে আটক।
১৮ জানুয়ারি : শেখ মুজিবকে ১নং আসামি করে ‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব এবং অন্যান্য’ মামলা দায়ের। এ মামলাটিই ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলা হিসেবে পরিচিত।
১৯ জুন : আগরতলা মামলার আনুষ্ঠানিক শুনানি শুরু।
ডিসেম্বর : ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন (দুই গ্রুপ), এনএসএস (একাংশ) ও ডাকসুর নেতৃত্বে আন্দোলনের লক্ষ্যে ‘কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠনের উদ্যোগ।
১৯৬৯
০৮ জানুয়ারি : গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও আইয়ুব শাহীর পতনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগসহ ৮টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে ডেমোক্রেটিক অ্যাকশন কমিটি (ডাক) গঠন।
১০ জানুয়ারি : ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ৬-দফাভিত্তিক ১১-দফা কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা।
১৭-২০ জানুয়ারি : ১৪৪ ধারা ভেঙে ছাত্রদের প্রথম বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল। পুলিশি হামলা। ২০ জানুয়ারি ছাত্রনেতা আসাদ নিহত।
২৪ জানুয়ারি : ছাত্র গণ-অভ্যুত্থান। স্কুলছাত্র মতিউরসহ কয়েকজন নিহত। কারফিউ ভঙ্গ।
জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি : শেখ মুজিবের মুক্তি, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা বাতিল ও ১১-দফা দাবিতে সারাদেশে গণ-অভ্যুত্থানের বিস্তৃতি।
২২ ফেব্রুয়ারি : শেখ মুজিবের নিঃশর্ত মুক্তি, আগরতলা মামলা প্রত্যাহার।
২৩ ফেব্রুয়ারি : রেসকোর্স ময়দানের লক্ষ লক্ষ মানুষের গণসংবর্ধনায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক শেখ মুজিব ‘বঙ্গবন্ধু’ অভিধায় ভূষিত।
২৫ মার্চ : আইয়ুব খানের পতন। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের ক্ষমতা গ্রহণ, সামরিক আইন জারি।
০৫ ডিসেম্বর : সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যু দিবসে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা, ‘এখন থেকে পূর্ব পাকিস্তানের নাম হবে বাংলাদেশ’।
১৯৭০
০৭ ডিসেম্বর : পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন। ৩০০ আসনের জাতীয় পরিষদে পূর্ব বাংলার ১৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৬৭টি আসনে জয়লাভ।
১৭ ডিসেম্বর : পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন। ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের ২৮৮ আসন লাভ।
০৩ জানুয়ারি : রেসকোর্স ময়দানের বিশাল জনসভায় জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের (এমএনএ ও এমপিএ) ৬-দফা ও স্বাধিকারের নামে শপথ গ্রহণ। এই শপথ অনুষ্ঠানে ‘আমার সোনার বাংলা’ গাওয়া হয়।
১৯৭১
০১ মার্চ : ইয়াহিয়া কর্তৃক ৩ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা।
ইয়াহিয়ার ঘোষণার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিতে সমগ্র বাংলাদেশে স্বতঃস্ফূর্ত গণবিস্ফোরণ। ‘জয় বাংলা, বীর বাঙালি অস্ত্র ধরÑ বাংলাদেশ স্বাধীন কর, তোমার আমার ঠিকানাÑ পদ্মা মেঘনা যমুনা, জাগো জাগো বাঙালি জাগো’ প্রভৃতি স্লোগানে সারাদেশ আন্দোলিত। কারফিউ জারি।
০২ মার্চ : বঙ্গবন্ধুর হরতাল-ধর্মঘট আহ্বান। ৩ মার্চ জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবনে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক প্রথম ‘জাতীয় পতাকা’ উত্তোলন।
০৩ মার্চ : পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের জনসভায় ‘স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার’ ঘোষণাপত্র পাঠ, জাতীয় পতাকা প্রদর্শন ও জাতীয় সংগীত হিসেবে ‘আমার সোনার বাংলা’ পরিবেশন।
০৭ মার্চ : রেসকোর্স ময়দানের ১০ লাখ লোকের সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কার্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।
বঙ্গবন্ধু অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ১০-দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
০১ থেকে ২৫ মার্চ : বাংলাদেশের প্রশাসন, বিচার বিভাগ, ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক শিল্প-কারখানা, পরিবহন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব কিছু পরিচালিত হয় বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। এই সময়কালে বঙ্গবন্ধু ৩৫-দফা নির্দেশনা প্রদান করেন।
বঙ্গবন্ধু অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ১০-দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
১৬ মার্চ : ইয়াহিয়া খানের সাথে বঙ্গবন্ধুর আলোচনা শুরু। আলোচনার নামে কালক্ষেপণের কৌশল নিয়ে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি গ্রহণ করে।
২৩ মার্চ : আলোচনা কার্যত ভেঙে যায়। বঙ্গবন্ধু ৩২নং বাসভবনে নিজ হাতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
২৫ মার্চ : রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নিরস্ত্র বাঙালি জাতির ওপর সামরিক অভিযান এবং রাজধানী ঢাকায় গণহত্যা শুরু করে।
২৬ মার্চ : পঁচিশে মার্চ রাত ১২টার কিছু পরে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তৎকালীন ইপিআরের ওয়ারলেসযোগে বঙ্গবন্ধুর এই ঘোষণা চট্টগ্রামসহ সারাদেশে প্রচারিত হয়।
চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা মাইকিং করে এবং লিফলেট আকারে বিতরণ করা হয়।
বেলা সোয়া ২টায় চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গমন করেন এবং সেখান থেকে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা পাঠ করেন। ৩০ মার্চ দুপুরে বিমান হামলার পূর্ব পর্যন্ত কালুরঘাটের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র চালু থাকে।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারাদেশে শুরু হয় পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ।
বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে মিয়ানওয়ালি কারাগারে নিঃসঙ্গ অবস্থায় বন্ধী করে রাখা হয়। বঙ্গবন্ধুকে বিচারের নামে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র।
২৬ রাত ৮টায় রেডিও-টেলিভিশনে ইয়াহিয়া খান এক ভাষণে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তান ভাঙার চেষ্টার জন্য দায়ী করেন এবং তাকে পাকিস্তানের শত্রু ঘোষণা করেন। আওয়ামী লীগকে বে-আইনি ঘোষণা করা হয়।
১০ এপ্রিল : বাংলাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ (এমএনএ, এমপিএ) এক সভায় মিলিত হয়ে ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ’ গঠন করেন। গণপরিষদ বঙ্গবন্ধুর ২৬ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা অনুমোদন করেন।
‘গণপরিষদ’ একটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করে। তারা বঙ্গবন্ধুকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে একটি মন্ত্রিসভা গঠন করেন। ১১ এপ্রিল কর্নেল ওসমানীকে সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি নিয়োগ করা হয়।
১৭ এপ্রিল : বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ এবং নবগঠিত সরকার শপথ গ্রহণ করে। বৈদ্যনাথতলার নামকরণ হয় ‘মুজিবনগর’। মুজিবনগরকে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয়।
মার্চ-ডিসেম্বর : পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস ও শান্তি কমিটির সহযোগিতায় বাংলাদেশে ব্যাপক গণহত্যা, গণধর্ষণ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ফলে ত্রিশ লক্ষ মানুষ শহীদ হন। প্রায় ৩ লক্ষ মা-বোন সম্ভ্রম হারায়। ১ কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নেয়। পরাজয়ের পূর্ব মুহূর্তে ডিসেম্বর ব্যাপক সংখ্যক বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়।
মুক্তিবাহিনী দখলদার পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা থেকে পাকিস্তান বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে।
০৪ ডিসেম্বর : পাকিস্তান ভারতের ওপর বিমান আক্রমণের মাধ্যমে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
০৬ ডিসেম্বর : ভারত বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়।
ভাতরীয় মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী যৌথ কমান্ড গড়ে তুলে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে।
১৬ ডিসেম্বর : ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
১৯৭২
০৬ জানুয়ারি : পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তিলাভ।
১০ জানুয়ারি : বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন। পূর্বাহ্নে দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধীর সাথে তার বৈঠক। বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভায় ভাষণদান ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা অপরিবর্তনীয়, পাকিস্তানের সাথে পূর্বতন সম্পর্ক আর পুনঃপ্রতিষ্ঠার নয়।’
০৮ এপ্রিল : আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু দলীয় প্রধান নির্বাচিত।
২৯ আগস্ট : দালাল আইন সংশোধন। সর্ব্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদ- ও সর্বনিন্ম সাজা তিন বছর।
১০ অক্টোবর : বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বশান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান জুলিও কুরি পদক দান।
০৪ নভেম্বর : গণপরিষদে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান অনুমোদন।
১১ নভেম্বর : আওয়ামী যুবলীগ গঠন।
৩০ নভেম্বর : বাংলাদেশকে জাতিসংঘে সদস্যপদ দানের প্রশ্নে সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মত প্রস্তাব।
১৯৭৩
০৭ মার্চ : বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত। নির্বাচনে ৩০০-এর মধ্যে আওয়ামী লীগ দলের ২৯২টি আসন লাভ।
১৬ মার্চ : বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ২১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ।
২৩ মে : ঢাকায় এশীয় শান্তি সম্মেলন। বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি পদক দান।
১৪ অক্টোবর : আওয়ামী লীগ, মোজাফফর ন্যাপ ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ত্রিদলীয় ঐক্যজোট ঘোষণা।
১৮ জানুয়ারি : শেখ মুজিব কর্তৃক আওয়ামী লীগের তিন দিনব্যাপী কাউন্সিলের উদ্বোধন। দলীয় প্রধানের পদ পরিত্যাগ করার সিদ্ধান্ত জানান।
১৯৭৪
২০ জানুয়ারি : কামারুজ্জামান আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত এবং জিল্লুর রহমান দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পুনর্নির্বাচিত।
১৯৭৫
২১ জানুয়ারি : আওয়ামী লীগ সংসদীয় কমিটির সমাপনী সভায় জাতীয় সমস্যা সমাধানের জন্য যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান।
২৫ জানুয়ারি : সংসদে প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতি ও জাতীয় দল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী গৃহীত। শেখ মুজিবুর রহমান প্রেসিডেন্ট।
২৬ জানুয়ারি : সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও মনসুর আলী যথাক্রমে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন। ১৬ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা।
২৪ ফেব্রুয়ারি : প্রেসিডেন্ট কর্তৃক বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) নামে নতুন জাতীয় দলের ঘোষণা। শেখ মুজিবর রহমান নতুন জাতীয় দলের চেয়ারম্যান।
২৫ এপ্রিল : বাকশালে যোগদান করে আতাউর রহমান খানের বিবৃতি।
০৬ জুন : জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রÑ এই চার মূলনীতি নিয়ে বাকশালের সংবিধান ঘোষিত। দলের কার্যকরী ও কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত। মনসুর আলী সাধারণ সম্পাদক, জিল্লুর রহমান, শেখ ফজলুল হক মনি ও আবদুর রাজ্জাক সম্পাদকবৃন্দ নির্বাচিত। দলের ৫টি অঙ্গ সংগঠন হলো ১. জাতীয় কৃষক লীগ ২. জাতীয় শ্রমিক লীগ ৩. জাতীয় মহিলা লীগ ৪. জাতীয় যুবলীগ ৫. জাতীয় ছাত্রলীগ।
০৭ জুন : বাকশালের অফিসে প্রেসিডেন্টের অভিবাদন গ্রহণ ও দ্বিতীয় বিপ্লব বাস্তবায়নের অঙ্গীকার।
১৫ আগস্ট : খুব ভোরে সামরিক বাহিনীর একদল নরপশুর হাতে প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যগণ নিহত হন। খন্দকার মুশতাক আহমেদের রাষ্ট্রপতির দায়িত্বগ্রহণ। দেশে সামরিক আইন জারি।
২৩ আগস্ট : সামরিক আইনের অধীনে নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী, তাজউদ্দিন আহমেদ, আবদুস সামাদ আজাদ, কামারুজ্জামান ও কোরবান আলীসহ ২০ জন গ্রেফতার।
০৬ সেপ্টেম্বর : জিল্লুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ ও আবদুর রাজ্জাক গ্রেফতার।
০৩ নভেম্বর : সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মো. মনসুর আলী, তাজউদ্দিন আহমেদ এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে হত্যা।
১৯৭৭
০৪ এপ্রিল : আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশনে জোহরা তাজউদ্দিন আহ্বায়িকা।
১৯৭৮
০২ মে : প্রেসিডেন্ট পদে জিয়া ও ওসমানীসহ ১১ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল।
১৯৭৯
২১ জুন : বাংলামটরের কাছে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের চেষ্টাকালে আওয়ামী লীগ (মালেক) দলের মিছিলকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ।
২২ জুন : আওয়ামী লীগের (মালেক) ডাকে ঢাকায় আংশিক হরতাল, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা, মারপিটে ৭০ জন আহত, ৯৮ জন গ্রেফতার।
১৯৮১
১৬ ফেব্রুয়ারি : শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ (মালেক)-এর সভানেত্রী নির্বাচিত।
১৭ মে : আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন।
১২ জুন : শেখ হাসিনার কাছে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি হস্তান্তর।
১৯ সেপ্টেম্বর : আওয়ামী লীগের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত।
০২ আগস্ট : আওয়ামী লীগ থেকে মহিউদ্দীন-রাজ্জাকসহ ৬ জনকে অব্যাহতি।
১৯৮২
২৪ মার্চ : জেনারেল এরশাদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল।
১৯৮৩
২৮ নভেম্বর : ১৫ ও ১৭ দলের অবস্থান ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে ঢাকায় ব্যাপক উত্তেজনা, গুলি, টিয়ারগ্যাস। সকল রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ। সান্ধ্য আইন জারি। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া নিরাপত্তামূলক হেফাজতে।
১৯৮৪
১৪ সেপ্টেম্বর : সুপ্রিমকোর্টে আইনজীবী সমাবেশে শেখ হাসিনার ভাষণে ’৭৫-এর পর সকল সরকারকে অবৈধ আখ্যাদান।
১৯৮৭
০৩ জানুয়ারি : শেখ হাসিনা পুনরায় আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত।
১১ নভেম্বর : বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা গৃহে অন্তরীণ। বহু গ্রেফতার। পূর্ণদিবস হরতাল পালিত।
১১ ডিসেম্বর : ঘরোয়া রাজনীতির অনুমতি।
১৯৮৮
২৪ জানুয়ারি : চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৮ দলের মিছিলে গুলিতে ৯ জন নিহত।
১৯৯০
০৩ জানুয়ারি : সিলেটে শেখ হাসিনা, ‘ভাত ও ভোটের অধিকারের জন্যেই ৭-দফার সংগ্রাম’।
২৭ জানুয়ারি : পটুয়াখালীতে শেখ হাসিনা, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রের জন্যেই আমাদের সংগ্রাম’।
০৬ ডিসেম্বর : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ’৯০-এর গণ-অভ্যুত্থান। এরশাদের পতন। সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
১৯৯১
২৫ ফেব্রুয়ারি : পান্থপথে এক বিশাল সমাবেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নৌকায় ভোট দিলে মানুষ গণতন্ত্র পাবে, অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে।’
২৮ ফেব্রুয়ারি : সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এক অদৃশ্য শক্তির গোপন আঁতাতের মাধ্যমে নির্বাচনে সূক্ষ্ম কারচুপি হয়েছে।’
০৮ মার্চ : আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের সভায় শেখ হাসিনা সর্বসম্মতভাবে সংসদীয় দলের নেত্রী নির্বাচিত হন।
২১ মার্চ : সরকারিভাবে শেখ হাসিনাকে বিরোধী দলের নেত্রী ঘোষণা করা হয়।
১০ এপ্রিল : আওয়ামী লীগের সাংসদদের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেন, ‘এরশাদকে শিগগিরই কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হবে।’
১১ এপ্রিল : বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের আনা কৃষি ঋণ সুদ মওকুফের প্রস্তাব নাকচ।
০১ জুলাই : জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ‘সময়ের চাহিদা অনুসারে সংসদীয় সরকার প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
: শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণের ইচ্ছার কাছে নতি স্বীকার করে বিএনপি সংসদীয় পদ্ধতির পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
৩০ জুলাই : মহিউদ্দিন আহমদ ও আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বাকশাল আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
১৫ ফেব্রুয়ারি : গোলাম আযম ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠিত।
১৯৯২
০১ মার্চ : একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত সমাবেশে জাহানারা ইমাম বলেন, ‘গোলাম আযমের বিচার করা আমাদের জন্য ফরজ কাজ।’
০৭ মার্চ : শেখ হাসিনাসহ ১০০ সংসদ সদস্যের গোলাম আযমকে গণ-আদালতে বিচারের দাবির সাথে একাত্ম ঘোষণা।
২৭ মার্চ : স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় শেখ হাসিনা ‘সরকার যদি গণরায় বাস্তবায়ন না করে তা হলে জনতাই এ-রায় কার্যকর করবে।’
১৬ এপ্রিল : ট্রাইব্যুনাল করে গোলাম আযমের বিচার। শেখ হাসিনার প্রস্তাব।
১৯৯৩
২৪ জানুয়ারি : চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার সভায় গুলি ও বোমা হামলা। আহত ৫০।
০১ ডিসেম্বর : বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ জনসভায় শেখ হাসিনা, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।’
২৩ সেপ্টেম্বর : শেখ হাসিনার ট্রেন অভিযাত্রা। ঈশ্বরদী, নাটোরে ব্যাপক সন্ত্রাস, গুলি, বোমা। ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশসহ আহত শতাধিক। তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে বলে শেখ হাসিনার দাবি।
১৯৯৪
২৫ ডিসেম্বর : শেখ হাসিনা মিন্টো রোডের বিরোধীদলীয় নেতার বাসভবন ত্যাগ করেন।
২৮ ডিসেম্বর : জাতীয় সংসদ থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, এনডিপি, জামাতের সদস্যদের একযোগে পদত্যাগ।
১৯৯৬
১৫ ফেব্রুয়ারি : বিরোধী দলবিহীন সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
৩০ মার্চ : বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন।
১২ জুন : জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন।
০২ অক্টোবর : ধানমন্ডি থানায় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়ের।
১২ নভেম্বর : সংসদে ইনডেমনিটি বাতিল বিল পাস।
১৯৯৭
০১ জানুয়ারি : ঐতিহাসিক বাংলা-ভারত পানিবণ্টন চুক্তি কার্যকর। পানিপ্রবাহ ছিল ৮২ হাজার কিউসেক। আগের বছর এ সময়ে পানি ছিল ৪২ হাজার কিউসেক।
১২ মার্চ : বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার শুরু।
২১ এপ্রিল : বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার কাজ শুরু।
০২ ডিসেম্বর : সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি নেতৃবৃন্দের মধ্যে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর।
১৯৯৮
১০ ফেব্রুয়ারি : খাগড়াছড়িতে শান্তিবাহিনীর অস্ত্র সমর্পণের প্রথম পর্ব শেষ। প্রধানমন্ত্রীর সন্তু লারমাকে শান্তির প্রতীক গোলাপ ফুল প্রদান। বেলা ১২টা ৫২ মিনিটে শান্তিবাহিনীর ফিল্ড কমান্ডার ঊষাতন তালুকদারের নেতৃত্বে ৪৫৬ সশস্ত্র সদস্যসহ ৭৩৯ বিদ্রোহীর অস্ত্র সমর্পণ; নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে তারা ৪৫৬টি অস্ত্র তুলে দেন।
১২ সেপ্টেম্বর : প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বেসরকারি খাতে প্রথম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র খুলনা বার্জ মাউন্টেড পাওয়ার প্লান্টের উদ্বোধন।
০৪ নভেম্বর : জেলহত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে গৃহীত।
১৯৯৯
১৬ মার্চ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বঙ্গবন্ধু চেয়ার উদ্বোধন।
০১ এপ্রিল : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর জর্জ মিশেল ইউনেস্কোর ১৯৯৮ সালের হুপোবেইনি শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত।
২৩ জুন : শেখ হাসিনা কর্তৃক আওয়ামী লীগের সুবর্ণজয়ন্তীসহ ৮টি দেশের নিমন্ত্রিত রাজনীতিবিদ উপস্থিত ছিলেন।
০২ আগস্ট : প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সম্মানসূচক সেরেস পদক লাভ।
১৯৯৬-২০০১ : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামল
বিএনপি আমলে খাদ্য উৎপাদন ১ কোটি ৮০ লাখ টন থেকে ২ কোটি ৬৯ লাখ টনে উন্নীতকরণ। খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতার পথে দেশ। শেখ হাসিনার জাতিসংঘের ‘সেরেস’ পুরস্কার অর্জন।
ভারতের সাথে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদিত। পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়।
পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতী হানাহানি বন্ধ। পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর।
শেখ হাসিনার ইউনেস্কোর হুফে বয়েনি শান্তি পুরস্কার লাভ।
যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণকাজ সম্পন্ন।
নারীর ক্ষমতায়ন। স্থানীয় সংরক্ষিত আসনে সরাসরি নির্বাচন প্রথা চালু। পিতার সাথে মাতার নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা। প্রবৃদ্ধির হার ৬.৪ শতাংশে উন্নীতকরণ এবং মুদ্রাস্ফীতি ১.৪৯ শতাংশে নামিয়ে আনা। ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।
২০০১
৩১ মার্চ : ‘এদেশে রাজাকারদের ঠাঁই হবে না।’ Ñ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তন স্থাপন ও মুক্তিযোদ্ধা-জনতার মহাসমাবেশে শেখ হাসিনা।
১৭ মে : শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দু’দশক উপলক্ষে পল্টনে ছাত্রলীগ সমাবেশে শেখ হাসিনাকে ‘দেশরতœ’ উপাধি প্রদান।
১৭ জুলাই : প্রধান উপদেষ্টা সমক্ষে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে এমন কিছু করা সমীচীন হবে না।’
২৩ জুলাই : ‘নির্দলীয় সরকার আমাদেরকে প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরে নিয়েছে।’ শেখ হাসিনা। ইশতিয়াক আহমদ ও হাফিজউদ্দিন খানের উপদেষ্টা নিয়োগে তিনি তাদের নিরপেক্ষতার প্রশ্ন তোলেন।
০৮ আগস্ট : ‘আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে হারানোর জন্য অতি সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র চলছে।’ মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে শেখ হাসিনা।
২৭ আগস্ট : ২৯৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা।
০১ অক্টোবর : সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ চারদলের বিপুল বিজয়।
২০০২
২৬ ডিসেম্বর : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনী কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা।
২০০৪
২১ আগস্ট : বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তাকে এবং তার অনুগামীদের হত্যার উদ্দেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবাণীতে বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। কানের পর্দা ফেটে গিয়ে আহত হন শেখ হাসিনা।
২০০৫
১৫ জুলাই : ১৪ দলের ২৬ দফা রূপরেখা ঘোষণা : ঐক্যমতের ভিত্তিতে প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করতে হবে। রাষ্ট্রপতি প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। প্রতিরক্ষা বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনস্ত হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কেবল কমিশনকে সহায়তা দেবে। ঋণখেলাপি ও ঋণখেলাপিদের জামিনদারও নির্বাচনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের আগেই তার নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের সম্পদের বিবরণ এবং কোনো রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক কর্মকা-ে তার স্বার্থ জড়িত আছে কি-না সে সম্পর্কে বিবরণ দিতে হবে। প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য যোগ্যতা এবং কোনো অপরাধমূলক কাজের রেকর্ড আছে কি-না সে তথ্যসহ আনুষঙ্গিক তথ্যাদি মনোনয়নপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। নির্বাচনের ধর্মের সর্বপ্রকার অপব্যবহার, সাম্প্রদায়িক প্রচার-প্রচারণা শাস্তিযোগ্য অপরাধ গণ্য করতে হবে।
২০০৬
১৬ এপ্রিল : সংলাপের জন্য আওয়ামী লীগ পাঁচ প্রতিনিধির নাম দিয়েছে : তোফায়েল আহমেদ, সংসদ সদস্যগণÑ আবদুল জলিল, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও কাজী জাফরুল্লাহ।
৩০ অক্টোবর : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলের প্রতিনিধিরা বঙ্গবভনে। ১১-দফা প্রস্তাব ও নভেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের আহ্বান। অবরোধ স্থগিত।
০২ নভেম্বর : মধ্যরাতে বঙ্গভবনে নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠক। সকালে তফসিল ঘোষণা। মনোনয়নপত্র দাখিল ১০ ডিসেম্বর, ২১ জানুয়ারি ভোট। উপদেষ্টারা জানতেন না।
০২ ডিসেম্বর : ভোটার তালিকায় ১.২২ কোটি ভুয়া নাম। অত্যধিক ব্যালট, কেরানির ভুল নির্বাচনের ফলকে গ্রহণযোগ্য করবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট।
১০ ডিসেম্বর : প্রধান উপদেষ্টা সেনা মোতায়েনের পক্ষে জাতির উদ্দেশে তার বক্তব্য রাখেন।
: সেনাবাহিনী মোতায়েন করে রাষ্ট্রপতি অন্যায় করেছে Ñ শেখ হাসিনা।
২০০৭
০৩ জানুয়ারি : মহাজোটের নির্বাচন বর্জন। রাষ্ট্রপতির প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ, ভোটার তালিকা প্রকাশের পর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দাবি।
১২ জানুয়ারি : ড. ফখরুদ্দীনের নেতৃত্বে নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্বভার গ্রহণ করে।
২৬ জানুয়ারি : জরুরি ক্ষমতা বিধিমালা ২০০৭ জারি : মিছিল, সভা-সমাবেশ, হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও, ধর্মঘট, লকআউট ও ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম নিষিদ্ধ।
১৮ এপ্রিল : হাসিনার দেশে ফেরার নিষেধাজ্ঞা। শেখ হাসিনার কোনো বক্তৃতা বা মন্তব্য যেন টেলিকাস্ট বা ছাপানো না হয় তার জন্য পরবর্তী আদেশ সাপেক্ষে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলেছে এক মেজরের বার্তা। দ্যা ডেলিস্টার এই সংবাদের সাথে উল্লেখ করে যে বিবিসি বাংলা সার্ভিসে ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে।
২৫ এপ্রিল : শেখ হাসিনার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার। খালেদার দেশ ত্যাগে কোনো চাপ বা চলাচলে কোনো বাধা নেই।
০৬ মে : শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানাতে অনুমতি পেয়েছেন ১০ নেতা। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাজপথে লাখো জনতা।
০৭ মে : ‘আমাকে আসতে বাধা দিয়ে যে ভুল করা হয়েছে, আশা করি এমন ভুল আর হবে না।’ দেশে ফিরে শেখ হাসিনা।
১৬ জুলাই : আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ২০০৮ সালের ১১ জুন প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি কারান্তরীণ থাকেন। চিকিৎসা শেষে ৪ ডিসেম্বর স্বদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা।
২০০৮
০৭ জুন : ৭ জুন থেকে ৩০ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিঃশর্ত মুক্তিসহ ৬-দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দেশব্যাপী গণস্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান পরিচালনা ও ১৫ থেকে ৩০ জুন জেলায় জেলায় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
১২ ডিসেম্বর : শেরাটনের উইন্টার গার্ডেনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ‘দিনবদলের সনদ’ উপস্থাপন করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
২৯ ডিসেম্বর : নবম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৬৪টি আসন লাভ করে।
২০০৯
০৬ জানুয়ারি : জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ।
২৪ জুলাই : আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা সভাপতি এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০১০
১২ জানুয়ারি : বিশ্বখ্যাত ‘ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক ২০০৯’-এ ভূষিত হন শেখ হাসিনা।
২০১২
১৪ মার্চ : মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত মামলায় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল ইটলসের রায়ে বঙ্গোপসাগরে ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটারের বেশি সমুদ্র এলাকায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯ জুন : ছোট বোন শেখ রেহানাকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ ও এর ইংরেজি সংস্করণ ‘ঞযব টহভরহরংযবফ গবসড়রৎবং-’এর মোড়ক উন্মোচন করেন শেখ হাসিনা। ৯ জুলাই গ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসবে তিনি বলেন, ‘জাতির সম্পদ জাতির হাতে তুলে দিলাম।’
১০ আগস্ট : দেশের প্রথম ডিজিটাল কোরআন শরিফ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৪ অক্টোবর : টেলিটকের থ্রিজি প্রযুক্তি উদ্বোধন করেন তিনি।
১৭ ডিসেম্বর : সাধারণ অধিবেশনের সভায় ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া ‘জনগণের ক্ষমতায়ন’ এবং ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব পাস হয়।
২৯ ডিসেম্বর : আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা সভাপতি এবং সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
২০১৩
০৪ আগস্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনসাধারণের জন্য খুলে দেন স্বপ্নের কুড়িল ফ্লাইওভার।
১৮ আগস্ট : গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশি পাটের জীবনরহস্য উন্মোচনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহায়তায় বিজ্ঞানী মাকছুদুল আলমের নেতৃত্বে একদল গবেষকের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জিত হয় যুগান্তকারী এ সফলতা।
২৩ সেপ্টেম্বর : দেশে খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ সাউথ কো-অপারেশনের ‘সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড-২০১৩’ পুরস্কার লাভ করেন প্রধানমন্ত্রী।
০২ অক্টোবর : পাবনার ঈশ্বরদীতে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১১ অক্টোবর : রাজধানীতে নির্মিত দেশের বৃহত্তম ফ্লাইওভার ‘মেয়র মোহাম্মদ হানিফ উড়াল সেতু’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
২১ নভেম্বর : আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠন।
২০১৪
০৫ জানুয়ারি : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
১২ জানুয়ারি : তৃতীয়বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
২০১৫
৫ জানুয়ারি : বিএনপি-জামাত জোট সারাদেশে অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোলবোমা, গান পাউডার, ককটেল, অগ্নিসংযোগ এবং গোলাগুলি করে টানা ৯০ দিনে ১৪০ মানুষকে হত্যা, ৩৫০ মানুষকে অগ্নিদদ্ধ করা এবং ১ হাজার ৫০০ মানুষকে আহত করার পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সফলভাবে পরিচালনা করে।
২৯ মে : সমুদ্র বিজয়, ভারতের সাথে স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসহ জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনে নেতৃত্ব দেওয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটি ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে এক বিশাল নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top